• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

ঘূর্ণিঝড় ফণী: আশ্রয় কেন্দ্রে ১২ লাখ মানুষ

প্রকাশ:  ০৩ মে ২০১৯, ২২:৪৭
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র তান্ডবের কবল থেকে নিরাপত্তার লক্ষ্যে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ উপকূলীয় জেলাগুলোর ১২ লাখ ৪০ হাজার ৭৯৫ জনকে আশ্রয় কেন্দ্রে সড়িয়ে নেয়া হয়েছে।

আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র সর্বশেষ অবস্থান ও প্রস্তুতি নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব শাহ কামাল।
সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান, প্রধান তথ্য অফিসার জয়নাল আবেদিন, আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

শাহ কামাল বলেন, ‘আজ সকাল থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত ১২ লাখ ৪০ হাজার ৭৯৫ জনকে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে সড়িয়ে নেয়া হয়েছে। আমাদের আশ্রয় কেন্দ্রের সংখ্যা হচ্ছে ৪ হাজার ৭১টি। তবে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার পূর্বেই ১৫ থেকে ১৮ লাখ মানুষকে আমরা আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসতে পারবো।’
এর আগে, দুপুর সাড়ে ১২টায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, ‘বেলা ১২ টা পর্যন্ত ৪ লাখ ৪ হাজার ২৫০ জনকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণী’র প্রভাবে সারা বাংলাদেশের আকাশ মেঘলা হয়ে গেছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হচ্ছে। আজ শুক্রবার মধ্যরাত নাগাদ বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে। তবে ঘূর্ণিঝড় আগের তুলনায় অনেকটা দুর্বল হয়ে আঘাত হানবে।

দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ২০০ কিমি বেগে ভারতের ওডিশায় আছড়ে পড়ে ফণী। ভারতের আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, এরপর সেটি পশ্চিমবঙ্গে ঢুকে দক্ষিণবঙ্গের ওপর দিয়ে বাংলাদেশের দিকে চলে যেতে পারে।

এ কারণে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর, চট্টগ্রাম বন্দরে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত এবং কক্সবাজারে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদফতর।

সামছুদ্দিন বলেন, ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার পর থেকে প্রবল ঝড়ো হাওয়া হবে। আজ শুক্রবার সারারাত এবং শনিবার সারাদিন দুর্যোগ পূর্ণ আবহাওয়া থাকতে পারে। বাংলাদেশে যখন আঘাত হানবে তখন বাতাসের গতিবেগ ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার থাকবে।

ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বলেন, দুর্যোগ পরিস্থিতির জন্য যে প্রস্তুতি আছে, আশা করি আমরা সফলভাবে মোকাবিলা করতে পারবো। কোনো প্রাণহানি হবে না না বলে আমাদের প্রত্যাশা।