• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

প্রকাশ:  ২৮ মার্চ ২০১৯, ০৯:৪৩
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৬ মার্চ সন্ধ্যায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে তা অনুষ্ঠিত হয়। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ শওকত ওসমানের সভাপতিত্বে ও ডাঃ পীযূষ কান্তি বড়–য়ার সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোঃ মঈনুল হাসান।
    তিনি বলেন, যে নেতা ৫৫ বছরে ১৪ বছর কারাভোগ করেছেন তিনি হলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁর নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। আজকের এ দিনটিতে প্রতি বছরের ন্যায় আমরা স্মৃতিচারণ করছি। মুক্তিযুদ্ধের যে অর্জন তা মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম হিসেবে পুরোপুরি আমরা জানতাম না। যেটুকু জেনেছি তা বই পড়ে জেনেছি। বঙ্গবন্ধু এখন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ডাকটিকেট প্রকাশ করা হয়েছে। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে ১৮ মিনিটের বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন ‘আমি যদি হুকুম দিতে নাও পারি’ এ কথাটির মাধ্যমে তিনি স্বাধীনতার হুকুম দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু একটি দর্শন। তিনি যে স্বপ্ন দিয়ে গেছেন আমরা তা পালন করবো। তাঁর কন্যা শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসে যে ভিশন গ্রহণ করেছেন এটা একটা মুক্তিযুদ্ধ। স্বাধীনতার যে আস্বাদন, তা এখন আমরা গ্রহণ করছি।
    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আলহাজ্ব নাছির উদ্দিন আহমেদ বলেন, স্বাধীনতার আজ ৪৮ বছর। স্বাধীনতা একদিনে আসেনি। এ জাতি ছিল শোষিত, নিপীড়িত ও ঘুমন্ত জাতি। এই বাংলাদেশে অনেক বরেণ্য নেতা ছিলেন। কিন্তু কেউ স্বাধীনতার ডাক দিতে সাহস পায়নি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম স্বাধীনতার চিন্তা করেছেন। ৫২-এর ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে স্বাধীনতার বীজ বপন করা হয়। অনেক মূল্য দিয়ে আমাদের এই স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধু ফাঁসির কাষ্টে গিয়েছিলেন। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ভাষণকে ইউনেস্কো স্বীকৃতি দিয়েছে। বাঙালি জাতির জাতীয় ভাষণ এটি। তিনি বলেন, পৃথিবীর কোনো দেশে স্বাধীনতার জন্যে এতো রক্ত দিতে হয়নি। ৭০-এর নির্বাচনে জয়লাভ করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যেতে পারেনি। বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে আক্রমণ করবে না। কিন্তু আক্রান্ত হলে প্রতিহত করবে। তাই তিনি করেছেন। স্বাধীনতার জন্যে রক্ত দিয়েছি। তিনি আরো বলেন, যারা স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে তাদের রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসিয়েছে বিএনপি। খালেদা জিয়া জামাতকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় এনে তাদের গাড়িতে পতাকা তুলে দিয়েছিল। আমরা এর ধিক্কার জানাই। চট্টগ্রামে আব্দুল হান্নান প্রথম স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। একদিন পর জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।
    জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী বলেন, ‘তোমার নেতা আমার নেতা শেখ মুজিব শেখ মুজিব।’ এ স্লোগান দিয়ে আমরা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করি। মুক্তিযুদ্ধের সময় অনেকেই মুক্তিযোদ্ধাদেরকে মুড়ি, গুড় চিড়া খাইয়েছিল। এ খাবার খেয়ে মুক্তিযোদ্ধারা আবার যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ত। এভাবে তারা যুদ্ধ করে এদেশকে স্বাধীন করে। তিনি বলেন, অবাক হয়ে বিশ^ এখন বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে আছে। আরও বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জামল হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জাহেদ পারভেজ চৌধুরী, চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. এ.এস.এম দেলোয়ার হোসেন, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক জীবন কানাই চক্রবর্তী, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ সৈয়দা বদরুন নাহার চৌধুরী, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শহীদ পাটোয়ারী প্রমুখ। সবশেষে রূপালী চম্পকের পরিচালনায় জেলা শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে সংগীত পরিবেশন করেন রূপালী চম্পক, ইতু চক্রবর্তী, অনিতা নন্দী, রুমা সরকার, সত্য চক্রবর্তী, মৃনাল সরকার, রিয়া চক্রবর্তী, ডানা দেবনাথ, বিশ্বজিৎ কর রানাসহ আরো অনেকে। নৃত্য পরিবেশন করে নৃত্যাঙ্গন, নৃত্যধারা, সপ্তসুর, রংধনু সৃজনশীল নৃত্য সংগঠন ও শিশু একাডেমির নৃত্য শিল্পীরা।