পুরাণবাজারে একুশ উদযাপনের ৫০ বছর পূর্তি ও ভাষাবীর এমএ ওয়াদুদকে মরণোত্তর সম্মাননা
সত্যিকার একটা সুন্দর সমাজ গড়ার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি : শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি
‘সময় আলোকিত হোক একুশের চেতনায়’ এ স্লোগানে চাঁদপুর পুরাণবাজার শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদ্যাপন পরিষদের ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষে ২৩ মার্চ শনিবার দুপুরে মধুসূদন হাই স্কুলের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ এবং অনুষ্ঠানে ভাষাবীর এমএ ওয়াদুদকে মরণোত্তর সম্মাননা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ও চাঁদপুর-৩ সদর আসনের সংসদ সদস্য ডাঃ দীপু মনি।
উদ্যাপন পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা ও চাঁদপুর পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাধা গোবিন্দ গোপের সভাপ্রধানে এবং মহাসচিব মুক্তিযোদ্ধা ব্যাংকার মুজিবুর রহমানের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল। স্বাগত বক্তব্য রাখেন একুশ উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি ফয়েজ আহম্মদ মন্টু।
বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ড. এএসএম দেলওয়ার হোসেন, জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমির প্রশিক্ষণ বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ড. উম্মে আসমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ জাহেদ পারভেজ চৌধুরী ও অ্যাডঃ আবুল ফজল ফাউন্ডেশনের পরিচালক লেখক মনিরা আক্তার।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাঃ দীপু মনি এমপি বলেন, জাতির পিতার ডাকে এ দেশ স্বাধীন হয়েছে। আজকে জাতির পিতার কন্যার নেতৃত্বে এ দেশটিকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক ও সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়বার জন্যে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আজকে রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং অবকাঠামোগত উন্নয়ন হচ্ছে, দরিদ্রতা কমে যাচ্ছে। যে মানুষটি হতদরিদ্র সেও এখন দুবেলা খেতে পারছে। এই উন্নয়ন এবং অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হবে।
তিনি বলেন, সুন্দর ও শান্তিময় বাংলাদেশ গড়বার জন্যে মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ, ইভটিজিং, বাল্যবিয়ে, যৌতুকমুক্ত অর্থাৎ সকল সামাজিক ব্যাধি মুক্ত একটা সমাজ আমাদের তৈরি করতে হবে। আর সেই সমাজ তৈরিতে আমাদের এই সাংস্কৃতিক কর্মী যারা আছেন তারা সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে। এই সমাজটা যেন সত্যিকার একটা সুন্দর সমাজ হয়ে উঠে এবং আমাদের স্বপ্নের বাংলাদেশ যেন আমরা গড়তে পারি সেই লক্ষ্যে সবাই একযোগে সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতা দিয়ে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে কাজ করব এই হোক আমাদের প্রতিজ্ঞা।
মন্ত্রী আরো বলেন, পুরাণবাজার একুশ উদ্যাপন পরিষদে তৎকালীন ছাত্র সংসদের নেতারা জড়িত হন। যারা মহান ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে এদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন। এই পরিষদ গত ৫০ বছর ধরে নতুন প্রজন্মকে উৎসাহিত করে আসছে। তারা একুশ উদ্যাপনে সাহিত্য-সংস্কৃতি প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে। এজন্যে আমি এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সমর কান্তি বসাক, পৌর প্যানেল মেয়র ছিদ্দিকুর রহমান ঢালী, পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নূরুল ইসলাম নুরু, ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ আলী মাঝি, একাত্তর ফাউন্ডেশনের পরিচালক হাবিবুর রহমান, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বাবু, একুশ উদ্যাপন পরিষদের সহ-সভাপতি আলহাজ¦ আবুল বাশার মিলন, গোপাল চন্দ্র সাহা, যুগ্ম সম্পাদক মোশারফ হোসেন মানিক, সাংস্কৃতিক উপ-পরিষদের আহ্বায়ক ধ্রুবরাজ বণিক, সদস্য সচিব শিপন খানসহ উদ্যাপন পরিষদের সকল সদস্য।হ এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও শহীদ জাবেদের ছোট ভাই মোঃ রফিকুল্লাহ, চেম্বারের সাবেক পরিচালক রেজওয়ানুর রহমান রিজু, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের জেলা সভাপতি জাফর ইকবাল মুন্না, পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক আঃ মালেক শেখ, ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আসলাম গাজী, সহ-সভাপতি আঃ মজিদ খান ডেঙ্গু, শফিকুর রহমানসহ পৌর ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ এবং যুবলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকম-লী, অভিভাবক, সুধীজন ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।