• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

জাটকা রক্ষায় টাস্কফোর্সের সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত

পুরাণবাজার থেকে ৭০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ

প্রকাশ:  ২১ মার্চ ২০১৯, ১০:১৭
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজার রণাগোয়াল মৎস্য আড়ত সংলগ্ন মেঘনা নদীপাড় এলাকায় জাটকা রক্ষায় সাঁড়াশি অভিযান চালিয়েছে সদর উপজেলা টাস্কফোর্স। এ সময় ওই এলাকার জেলেদের বসতঘর ও নৌকায় তল্লাশি করে প্রায় ৭০ হাজার মিটার পরিমাণের ৩৫টি নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়।
    গতকাল ২০ মার্চ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চাঁদপুর মডেল থানা, পুরাণবাজার ফাঁড়ির পুলিশ ও সদর উপজেলা মৎস্য বিভাগের ৪টি ইউনিট সম্মিলিতভাবে এ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানের নেতৃত্ব দেন চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ জাহেদ পারভেজ চৌধুরী।
    তিনি জানান, জাটকা রক্ষায় নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে এ অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযানে জব্দকৃত জাল ও নৌকা পুড়িয়ে দিতে আইনে বলা হয়েছে। আমরা জাল জব্দ করেছি। কিন্তু মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে নৌকাগুলো বিনষ্ট করছি না। জেলে ভাইদের প্রতি আমাদের অনুরোধ আপনারা এই অভয়াশ্রম চলাকালে নদীতে নামবেন না। জাটকা রক্ষার এ অভিযান জেলেদের ভালোর জন্যেই। কারণ পোনা ইলিশ বড় হলে সেগুলো জেলে ভাইয়েরাই ধরবেন। তাই পোনা ইলিশগুলো বড় হতে সুযোগ দিতে হবে। এ ব্যাপারে তাদের সহযোগিতা প্রয়োজন। কিন্তু এরপরেও কেউ যদি আইন অমান্য করে নদীতে নামেন তবে এক্ষেত্রে আমরা ছাড় দিবো না।
    সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, অভিযানে জেলেদের ব্যবহৃত নিষিদ্ধ ৩৫টি জাল জব্দ করা হয়েছে। যার পরিমাণ হবে প্রায় ৭০ হাজার মিটার। অভয়াশ্রম চলাকালে জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্সের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
    এ সময় সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) হারুন আর রশীদ, হাজীগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মাহবুব মোস্তফা, পুরাণবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইন্সপেক্টর শহীদ হোসেন, এসআই পলাশ বড়–য়া উপস্থিত ছিলেন।
    উল্লেখ্য, জাটকা রক্ষায় গত ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল দুই মাস চাঁদপুরের ষাটনল থেকে লক্ষ্মীপুরের চরআলেকজান্ডার পর্যন্ত একশ’ কিলোমিটার নদীসহ দেশের ৬টি অভয়াশ্রমে সকল প্রকার মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। সে সুবাদে হাইমচর, চাঁদপুর সদর, মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ-এ ৪ উপজেলার প্রায় ৫১ হাজার জেলেকে সরকার জনপ্রতি ৪০ কেজি করে চাল প্রণোদনা দিচ্ছে। মার্চ, এপ্রিল, মে ও জুন এ চার মাস জেলেরা খাদ্য সহায়তার চাল পাবে।

 

সর্বাধিক পঠিত