ফরিদগঞ্জে প্রকাশ্যে এক স্বতন্ত্র প্রার্থী ও তার সহযোগীর অস্ত্রের মহড়ায় জনগণ আতঙ্কিত
বৈধ অস্ত্রধারীও নির্বাচনকালে অস্ত্র বহন, প্রদর্শন ও ব্যবহার করতে পারবে না : রিটার্নিং অফিসার
ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে এক স্বতন্ত্র প্রার্থীর এবং তার সহযোগীর প্রকাশ্যে অস্ত্রের ব্যবহার ও অস্ত্রের মহড়ায় জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। নিরাপত্তাহীনতার অজুহাত তুলে ওই চেয়ারম্যান প্রার্থী গণসংযোগকালে প্রকাশ্যে নিজেও অস্ত্র প্রদর্শন করছেন এবং তার সাথে থাকা তার সহযোগীও প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রদর্শন এবং ব্যবহার করছেন। অথচ এরূপ কর্মকা- বৈধ অস্ত্রধারীর জন্যেও নিষিদ্ধ এবং এটি নির্বাচন আচরণবিধির সুস্পষ্ট লংঘন।
ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী তোফায়েল আহাম্মেদ ভূঁইয়া (আনারস) ও তার সহযোগীর গত ১৬ মার্চ শনিবার ফরিদগঞ্জে প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রদর্শন ও গুলি বর্ষণের ঘটনা এখন জেলাব্যাপী আলোচিত। দুই পক্ষের কর্মীদের মাঝে কিছুটা উত্তেজনার ঘটনায় মুহূর্তে তোফায়েল আহাম্মেদ ও তার সহযোগীর গুলিবর্ষণের ঘটনায় ফরিদগঞ্জব্যাপী জনমনে তীব্র ক্ষোভ এবং আতঙ্ক বিরাজ করছে। অবস্থা এখন এমন যে, ওই বেআইনী কাজ এবং নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘনের বিষয়ে প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি জরুরি ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে যে কোনো সময় জনমনের ওই ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটে অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। তাই ফরিদগঞ্জ উপজেলাবাসী প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছে, নির্বাচন আচরণবিধি লংঘনের দায়ে এবং প্রকাশ্যে বেআইনীভাবে আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন ও ব্যবহারের কারণে ওই স্বতন্ত্র প্রার্থী তোফায়েল আহাম্মেদ (আনারস) এবং তার সহযোগীকে গ্রেফতার করা হোক।
নির্বাচনকালে বৈধ অস্ত্রধারীর অস্ত্র ব্যবহার ও প্রদর্শন বিষয়ে জানতে চাওয়া হয় ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ শওকত ওসমানের কাছে। ১৭ মার্চ রোববার এ বিষয়ে তাঁর সাথে কথা হলে তিনি জানান, এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা হচ্ছে- বৈধ অস্ত্রধারীও নির্বাচনকালীন সময়ে অর্থাৎ ভোটগ্রহণের পূর্বের সাতদিন, ভোটগ্রহণের দিন এবং ভোটগ্রহণের পরের সাতদিন অস্ত্র বহন, প্রদর্শন এবং অস্ত্রের ব্যবহার করতে পারবেন না। এটি করলে আচরণবিধির সুস্পষ্ট লংঘন হবে।
উল্লেখ্য, গত ১৬ মার্চ শনিবার বিকেলে ফরিদগঞ্জের ১৫নং রূপসা পশ্চিম ইউনিয়নের সর্দারপাড়া এলাকায় নৌকা মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা গণসংযোগ করছিলেন। এমন সময় স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী তোফায়েল আহাম্মেদ ও তার সহযোগী প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন করে সশস্ত্র অবস্থায় কিছু সমর্থকসহ সে এলাকায় মহড়া দেন। প্রকাশ্যে এমন অস্ত্রের মহড়া দেখে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মাঝে উত্তেজনা দেখা দেয়। এই উত্তেজনাকালে চেয়ারম্যান প্রার্থী তোফায়েল ও তার এক সহযোগী হঠাৎ নৌকা মার্কার কর্মীদের ওপর গুলি বর্ষণ করতে থাকে। ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হারুনুর রশিদ চৌধুরী এ ঘটনার সময় ২ রাউন্ড গুলি বর্ষণ করা হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন। যদিও প্রদক্ষদর্শী ও আক্রান্তরা আরো বেশ কয়েক রাউন্ড গুলির কথা জানিয়েছেন।