• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

সুস্থ রাজনৈতিক পরিবেশ ফেরাতে ডাকসু ভূমিকা রাখবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ:  ১৭ মার্চ ২০১৯, ০০:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) এবং হল সংসদ নির্বাচনে নব-নির্বাচিত শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে দেয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নেতৃত্ব গড়ে তোলার জন্য এ নির্বাচন (ডাকসু) কতোটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা মনে রাখতে হবে। এ নির্বাচনের মাধ্যমে সুস্থ রাজনৈতিক পরিবেশ ফিরে আসুক এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

শনিবার গণভবনে ডাকসু নবনির্বাচিতদের্ আমন্ত্রণ জানান প্রধানমন্ত্রী। সেখানে শুরুতে শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের বক্তব্য শুনেন তিনি। এসময় ডাকসু নব-নির্বাচিত সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর ডাকসু কার্যকর করতে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা প্রত্যাশা করে বক্তব্য তুলে ধরেন।
 
প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে শুরুতে বলেন আমি যখন দেশে ফিরে আসি আমার একটা লক্ষ্যই ছিলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তথা দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে অস্ত্রের ঝনঝনানি দূর করবো। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন: এমন কোন দিন ছিলো না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গুলি-বোমার আওয়াজ আসতো না। আমার অনেক বন্ধু দেখা যাচ্ছে তারা তখন শিক্ষক, তাদের জিজ্ঞাসা করতাম তোমরা এগুলার মধ্যে থাকো কিভাবে?

তারা বলতো:আমাদের অভ্যাস হয়ে গেছে, গুলি-বোমার আওয়াজ না শুনলে আমাদের ঘুম আসে না।শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অস্ত্রের প্রতিযোগিতা থাকবে কেন? তখনই আমি লক্ষ্য স্থির করে রেখেছিলাম দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে যেভাবেই হোক অস্ত্রের প্রতিযোহিতা বন্ধ করবো। আজ সেটা সম্ভব হয়েছে। ২০০৮ সালে আমরা ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে সেই গুলি-বোমার আওয়াজ আর পাওয়া যায়না। অস্ত্রের প্রতিযোগিতা বন্ধ হয়েছে।

কোটা সংস্কার আন্দোলন প্রসঙ্গও ওঠে আসে টানা তৃতীয় মেয়াদে থাকা জাতির পিতার কন্যার বক্তব্যে। তিনি বলেন, সেই ১৯৪৮ থেকে শুরু করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন হয়েছে বারবার। ভাষা আন্দোলন, ছয় দফা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনসেহ সব বড় আন্দোলনের কেন্দ্র বিন্দু ছিলো এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু কখন ভিসির বাসায় আক্রমণ, অগ্নি সংযোগ, লুটপাটের মতো ঘটনা ঘটেনি। যা এবার কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় আমরা দেখেছি। এটা কোন ভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

পরিবর্তীত পরিস্থিতি তুলে ধরে তিনি বলেন: এমন সময় বদলেছে। সবাইকে মনে রাখতে হবে আন্দোলন হলে একটি শ্রেণী সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করে। ভিসির বাড়িতে হামলা চালানোর সিসিটিভির ফুটেজ আমি দেখেছি। চায়ের দোকানদার-বিড়ির দোকানদাররাও আন্দোলনে মিশে গেছে! আমাদের যেকোন আন্দোলনে আগের খেয়াল রাখতে হবে যেন কোন মতলবি মহল সুযোগ নিতে না পারে।
 
বিশেষ করে কোটা সংষ্কার আন্দোলনে রাতে হলের মেয়েদের রাস্তার নেমে আসার বিষয়টি বিশেষ ভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সরকার প্রধান। বলেন: রাতে যখন মেয়েরা রাস্তায় নেমে এলো আমি সারা রাত ঘুমাতে পারিনি। আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের পাঠালাম মেয়েদের হলে ফেরত পাঠাতে। ভোর ৬টায় যখন তারা আমাকে জানালো মেয়েরা হলে ফিরেছে, তখন আমি ঘুমাতে গেছি। যদি কারও কোন ক্ষতি হতো এর দায় কে নিতো, প্রশ্ন রাখে প্রধানমন্ত্রী বলেন; অবশ্যই সরকার এর দায় এড়াতে পারতো না।