ফরিদগঞ্জে নৌকার মিছিলে প্রতিপক্ষ প্রার্থীর গুলি বর্ষণ ॥ জনতার ধাওয়ায় পলায়ন ॥ থানায় অভিযোগ
ফরিদগঞ্জে আনারস মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী তোফায়েল আহাম্মেদ নৌকা মার্কার কর্মীদের লক্ষ্যে করে গুলি বর্ষণ করেছে। পরে স্থানীয় জনতা একত্রিত হয়ে ধাওয়া করলে পালিয়ে যায় তোফায়েল আহাম্মেদ। ঘটনাটি ঘটেছে ১৬ মার্চ শনিবার ফরিদগঞ্জের ১৫নং রূপসা পশ্চিম ইউনিয়নের সর্দার পাড়া এলাকায়। এ ঘটনায় নৌকা মার্কার প্রার্থীর পক্ষে মনির হোসেন বাদী হয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় এবং রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী জাহিদুল ইসলাম রোমানের সমর্থনে ধারাবাহিক গণসংযোগ কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল শনিবার সকাল থেকে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ১৫নং রূপসা পশ্চিম ইউনিয়নের রূপসা বাজারে এবং আশপাশের এলাকায় গণসংযোগ ও মিছিল করছিলেন। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ইউনিয়নের সর্দার পাড়া এলাকায় নৌকা মার্কার কর্মী-সমর্থকদের গণসংযোগকালে এ স্থান দিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী তোফায়েল আহাম্মদ ভূঁইয়া তার কিছু কর্মী নিয়ে মিছিল করে যাচ্ছিলেন। তখন উভয় পক্ষের কর্মীদের মধ্যে খানিকটা উত্তেজনা দেখা দেয়। আর তখনি কিছু বুঝে ওঠার আগেই আনারস মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী তোফায়েল আহাম্মেদ ভূঁইয়া নিজেই পিস্তল দিয়ে নৌকা মার্কার কর্মীদের উপর গুলি চালায়। একই সাথে তোফায়েল আহাম্মেদ ভূঁইয়ার সাথে থাকা এক যুবক রাইফেল দিয়ে নৌকার কর্মীদের উপর গুলি বর্ষণ করতে থাকে। তখন নৌকা মার্কার কিছু কর্মী দিগি¦দিক দৌড়িয়ে কেউ কেউ পুকুরে ঝাঁপিয়ে পড়ে। পরক্ষণে নৌকা মার্কার সকল কর্মী-সমর্থক ও গ্রামবাসী একত্রিত হয়ে তোফায়েল আহাম্মেদ ও তার সহযোগীদের ধাওয়া করে। জনতার ধাওয়ার মুখে তোফায়েল গুলি করতে করতে পালিয়ে যায়।
ঘটনার খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান ঘটনাস্থলে যান। এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হারুনুর রশিদ চৌধুরীর সাথে কথা হলে তিনি জানান, বিকেলে ১৫নং রূপসা পশ্চিম ইউনিয়নের সর্দার পাড়া এলাকায় নৌকা মার্কা ও আনারস মার্কার কর্মীরা মুখোমুখি হলে উভয়ের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এক পর্যায়ে আনারস মার্কার প্রার্থী তোফায়েল আহম্মেদের গানম্যান অস্ত্র দিয়ে ২ রাউন্ড গুলি চালায়। ওসি বলেন, প্রার্থীর লাইসেন্সধারী অস্ত্র হলেও তিনি নির্বাচনের সময় গুলি চালাতে পারেন না। এটা নির্বাচন আচরণবিধির লংঘন।
এ ঘটনার বিষয়ে আনারস মার্কার প্রার্থী তোফায়েল আহাম্মেদের বক্তব্য নেয়ার জন্যে তাকে একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় নৌকা মার্কার প্রার্থীর সমন্বয়ক এবং হামলার শিকার ফরিদগঞ্জ পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনির হোসেন বাদী হয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় এবং রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কাছে অভিযোগ করেছেন। এ ঘটনায় এখন পুরো ফরিদগঞ্জে উত্তেজনা ও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।