• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

চাঁদপুর জেলা পুলিশের বার্ষিক সমাবেশ ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা

নিজ জেলায় অতিথি হয়ে আসতে পারাটা তো এমনিই আনন্দের, তার উপর আবার এমন বর্ণাঢ্য আয়োজনে সত্যিই অভিভূত : ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী

প্রকাশ:  ০৮ মার্চ ২০১৯, ০২:০৩
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

দিনটি ছিলো ৭ মার্চ। ৭ মার্চ মানে বাঙালির গৌরব ও ঐতিহ্যের উল্লেখযোগ্য একটি স্মারক। আর ঐতিহ্যম-িত এ দিনেই হয়ে গেলো চাঁদপুর জেলা পুলিশের বার্ষিক সমাবেশ ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। দিনব্যাপী পুলিশের এ মিলন মেলা ছিলো ৭ মার্চের আবহকে ঘিরেই। প্রতিযোগিতার নানা ইভেন্টে ছিলো মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি জাগানিয়া বিষয় এবং বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের আমেজ। তাই জেলা পুলিশের দিনব্যাপী এই বর্ণাঢ্য আয়োজনে উৎসবের পাশাপাশি ভাবগাম্ভীর্যের কমতি ছিলো না। তাছাড়া দিবসের কার্যক্রমও শুরু হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ‘চেতনায় মুক্তিযুদ্ধ’ ভাস্কর্যে পুলিশ প্রধানের পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে। চাঁদপুর জেলা পুলিশের বার্ষিক সমাবেশ ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি ছিলেন চাঁদপুরের কৃতী সন্তান ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিপিএম (বার)।
নানা ইভেন্টে প্রতিযোগিতা শেষে বিকেলে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী প্রত্যেকের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। পুরস্কার প্রদান শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইজিপি বলেন, দেশের সব জেলাতেই এদিনটির জন্যে পুলিশ সদস্যরা অধীর আগ্রহে থাকেন। এদিন শুধু খেলাই হয় না, আশপাশের কয়েকটি জেলার পুলিশ সদস্যদের মাঝে একটি মিলন মেলাও হয়ে থাকে। চাঁদপুরের আজকের এ আয়োজনটি খুবই চমৎকার এবং আনন্দদায়ক হয়েছে। বর্ণাঢ্য এ আয়োজনে চাঁদপুরের সকল শ্রেণী পেশার প্রতিনিধিসহ গণ্যমান্য লোকদের এমন স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি দেখে সত্যিই আমি গর্বিত। তিনি বেশ উচ্ছ্বাসের সাথে বলেন, নিজ জেলায় অতিথি হয়ে আসতে পারাটা এমনিই আনন্দের, তার উপর আবার এমন বর্ণাঢ্য আয়োজন, সত্যিই আমি অভিভূত। এ আয়োজনের সাথে যারা সম্পৃক্ত ছিলেন এবং আমন্ত্রিত অতিথি যারা এসে এ আয়োজনকে সুন্দর ও সার্থক করেছেন সকলের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। এমনিভাবে পুলিশের সাথে জনগণের বন্ধুত্ব অটুট থাকার ব্যাপারে তিনি দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
গতকাল ৭ মার্চ বৃহস্পতিবার বাবুরহাটস্থ পুলিশ লাইন্স মাঠে চাঁদপুর জেলা পুলিশের বার্ষিক সমাবেশ ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আইজিপির সহধর্মিণী এবং বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির সভানেত্রী হাবিবা জাবেদ, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক বিপিএম (বার), পিপিএম ও ডিআইজির  সহধর্মিণী শারমিন আক্তার খান। অনুষ্ঠানে সভাপ্রধানের বক্তব্য রাখেন চাঁদপুরের পুলিশ সুপার এবং জেলা পুলিশের বার্ষিক সমাবেশ ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ২০১৯ উদ্যাপন কমিটির সভাপতি জিহাদুল কবির বিপিএম, পিপিএম। পুরো অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন পুলিশ হেড কোয়াটার্সের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এনামুল হক সাগর ও চাঁদপুর সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার শাকিলা ইয়াছমিন সূচনা।
দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানের শুরুতে চাঁদপুর জেলা পুলিশ লাইন্সে অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ‘চেতনায় মুক্তিযুক্ত’ ভাস্কর্যে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিপিএম (বার)। তাঁর সাথে ছিলেন চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক বিপিএম (বার), অতিরিক্ত ডিআইজি রোকন উদ্দিন আহম্মেদ ও চাঁদপুরের পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির বিপিএম, পিপিএম।
চাঁদপুর জেলা পুলিশের এ আয়োজনে চাঁদপুর, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুরসহ আশপাশের আরো ক’টি জেলার পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এসেছেন। তাই বলতে গেলে এটি ছিলো চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোর পুলিশের মিলনমেলা।
এ অনুষ্ঠানে শুধু পুলিশ বিভাগের কর্মকর্তাগণই নন, জেলা প্রশাসক মোঃ মাজেদুর রহমান খানসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ; জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ¦ ওচমান গণি পাটওয়ারী, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডাঃ জামাল সালেহ উদ্দিন আহমেদ, চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. এএসএম দেলওয়ার হোসেন, চাঁদপুর প্রেসক্লাব ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি আলহাজ¦ অ্যাডঃ ইকবাল-বিন-বাশার, পুরান বাজার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার, চাঁদপুর জেলা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আলহাজ¦ জাহাঙ্গীর আখন্দ সেলিম সহ বিভিন্ন পর্যায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের উল্লেখযোগ্য একটি বিষয় ছিলো অনুষ্ঠানে শুধু বিজয়ী বা পুলিশ কর্মকর্তাদেরকেই পুরস্কৃত করা হয়নি, আমন্ত্রিত সকল অতিথিকে উপহার দেয়া হয়।
সন্ধ্যার পর সাড়ে ৭টায় নৈশভোজ ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়। প্রধান অতিথি আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটওয়ারীর উপস্থিতিতে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

 

সর্বাধিক পঠিত