চিকিৎসা নেয়া হলো না রশুমা বেগমের ॥ ঘাতক ট্রাক কেড়ে নিলো প্রাণ
দুই সন্তানের জননী রশুমা বেগম শারীরিকভাবে অসুস্থ। চিকিৎসা নিতে যাচ্ছিলেন নিজ গ্রামের উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। বাড়ির কিছুটা দূরে গেবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের ধানুয়া বাজারের অদূরে এ উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অবস্থান। কিন্তু সিমেন্ট বোঝাই ট্রাক যেনো যমদূত হয়ে আসলো রশুমার সামনে। চিকিৎসা নেয়ার আগেই এ ঘাতক ট্রাকটি চাকায় পিষ্ট করে পরপারে পৌঁছে দিয়েছে রশুমাকে। গতকাল সোমবার সকাল ১১টার দিকে চাঁদপুর-ফরিদগঞ্জ-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের ধানুয়া বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ ঘাতক ট্রাকটি জব্দ করেছে। ঘটনার পরপরই চালক পালিয়ে যাওয়ায় পুলিশ তাকে আটক করতে পারেনি।
জানা গেছে, ধানুয়া মজুমদার বাড়ির ফারুকের স্ত্রী ১ ছেলে ও ১ মেয়ের জননী রশুমা বেগম (৩০) গতকাল সকাল ১১টার দিকে হাসপাতালে যাওয়ার জন্যে ধানুয়া বাজারে পৌঁছলে চাঁদপুর থেকে রায়পুরের উদ্দেশ্যে যাওয়া শাহ সিমেন্ট বোঝাই একটি ট্রাক (ঢাকা মেট্রো- উ- ১১-৪৭৯১) তাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। ঘটনার পর পরই ঘাতক ট্রাকের চালক পালিয়ে যায়। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ট্রাকটি জব্দ করে থানায় নিয়ে আসে।
ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ হারুনুর রশিদ চৌধুরী জানান, দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে পোস্টমর্টেমের জন্যে চাঁদপুর পাঠানো হয়েছে।
চাঁদপুর-ফরিদগঞ্জ-লক্ষ্মীপুর সড়কের ধানুয়া এলাকাটি যেনো মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে। একসময় প্রায় প্রতিদিনই এখানে সড়ক দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটতো। ক’বছর আগে সড়ক ও জনপথ বিভাগ এই সড়কসহ কয়েকটি সড়কে বড়পাথর দিয়ে অমসৃণভাবে ঢালাই দেয়। তখন বেপরোয়া গাড়ি চালানো কমে গেলে এখানে দুর্ঘটনাও অনেকটা কমে যায়। কিন্তু বর্তমানে সড়কটি সংস্কার করে প্রশস্তসহ মসৃণ করলে গাড়িগুলো এখন আবার বেপরোয়াভাবে চলাচল করছে। এতে দুর্ঘটনা আবার বেড়ে গেছে। তাই দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা হিসেবে ধানুয়ার এই অংশটিকে দুর্ঘটনা রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে আহ্বান জানান স্থানীয় লোকজন।