অনিয়ম হলে উপজেলায় ভোট বন্ধ, আপস নয় : সিইসি
উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে কোনো ধরনের অনিয়ম হলে ভোট বন্ধ করে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা।
অনিয়মের সঙ্গে আপস না করার নির্দেশনা দিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের তিনি বলেছেন, নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত হলে উপজেলার পুরো ভোট বন্ধ করতে হবে।
গতকাল বুধবার রাজধানীর নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটে (ইটিআই) পঞ্চম উপজেলা নির্বাচন পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ‘প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ’ উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন তিনি।
আগামী ১০ মার্চ থেকে উপজেলা পরিষদের ভোট শুরু হবে। প্রথম ধাপে ৮৭ উপজেলায় ভোট হবে। এ নির্বাচনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা ভোট পরিচালনার দায়িত্বে থাকছেন।
অনিয়মের বিরুদ্ধে সতর্ক করে সিইসি কে এম নূরুল হুদা বলেন, যদি কখনও কোনো জায়গায় কোনো প্রার্থী, দল বা কেউ অতিরিক্ত নিষ্প্রয়োজনীয় আইন ব্যত্যয়কারী ঘটনা সৃষ্টি করে বা নির্বাচন রিটার্নিং অফিসারের নিয়ন্ত্রণের বহির্ভূত হয়ে যাবেÑএমন কিছু হলে পুরো উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বন্ধ হবে। কিন্তু নির্বাচনে কোনো রকম অনিয়মের সাথে আপস করা যাবে না।’
কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে সিইসি বলেন, যদি রিটার্নিং অফিসার মনে করেন যে তার সম্পূর্ণ উপজেলায় নির্বাচন করার পরিবেশ নেই, তাহলে সেটা বন্ধ করে দেয়ার সুপারিশ করবেন। কমিশন সেটা বন্ধ করে দিতে পারবে। আমরা সে অবস্থানে থাকতে চাই।
“মানুষ ভোট দেবে। ভোটারের পছন্দের প্রার্থী বিজয়ী হবে। ভোটার যাকে যোগ্য মনে করবেন তিনিই হবেন তাদের নির্বাচিত প্রার্থী।” এজেন্টদের নিরাপত্তা নিশ্চিতেরও নির্দেশ দেন সিইসি।
“এজেন্টদেরকে নিয়ে সবসময় আপনাদেরকে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়। নির্বাচনে প্রার্থীরা যাতে ভোটকেন্দ্রে এজেন্ট দেন সেজন্যে তাদেরকে উৎসাহিত করবেন। এজেন্টরা খুব গুরুত্বপূর্ণ।...প্রার্থীদেরকে উৎসাহিত করবেন যাতে তারা এজেন্ট দেয়। এজেন্টরা যাতে সেখানে নিরাপদে নির্ভয়ে থাকতে পারে এটা দেখবেন।”
অনেক এজেন্টকে কেন্দ্রে যেতে দেয়া হয়নিÑঅতীতের এমন অভিযোগের প্রসঙ্গ টেনে সিইসি প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা যদি না পাঠান তাহলে কেন্দ্রে এজেন্ট কীভাবে যাবে? পোলিং এজেন্টদের বিষয়ে অভিযোগ আসে যে তাদেরকে কেন্দ্রে যেতে দেয়া হয় না। এর অনেকগুলোই সঠিক না। ভোটারদের কোথাও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ পেলে তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন তিনি।
“বলা হয়ে থাকে যে, ভোটারদেরকে ভোট দিতে আসতে দেয়া হয় না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদেরকে এ বিষয়টি ভালোভাবে বুঝিয়ে দেবেন। কোনো কোনো জায়গায় ভয়ভীতি দেখানো হয় বা হতে পারে, সেগুলোকে ভালোভাবে নজরদারিতে রাখতে হবে।”
নির্বাচনের আগে-পরে ও ভোটের দিন যাতে কোনো সহিংসতার ঘটনা না ঘটে সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে নির্দেশ দেন সিইসি।
ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপ্রধানে অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মোঃ রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, শাহাদাত হোসেন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
তথ্যসূত্র : বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।