বিশ্ব ইজতেমা: কী সমঝোতা হলো দু পক্ষের মধ্যে?
বাংলাদেশের ঢাকার কাছে টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমার সময় বাড়িয়ে চারদিন করা হয়েছে। দু গ্রুপ আলাদা করে নিয়ন্ত্রণ করবে ইজতেমা। বাংলাদেশের ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো: আব্দুল্লাহ বলেছেন বিশ্ব ইজতেমার সময়সীমা শেষ পর্যন্ত তিনদিনের বদলে চারদিন করা হয়েছে। তাবলীগের বিবদমান দু গ্রুপের সাথে বৈঠকে এ বিষয়ে আরও কিছু সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৫ই ফেব্রুয়ারি থেকে ১৮ই ফেব্রুয়ারি- এ চারদিন বিশ্ব ইজতেমা হবে। এর মধ্যে প্রথম দুদিন ইজতেমা নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনায় থাকবে মাওলানা জুবায়ের আহমদ।
"প্রথম দুদিন তারা তাদের মতো করে আয়োজন করে সবকিছু শেষ করে মোনাজাত করে চলে যাবে," বলছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, " শেষ দু দিনের দায়িত্বে থাকবেন সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম। তারা তাদের মতো করে ওই দু দিনের সবকিছু করবেন"।
তাহলে সবকিছু আলাদা ভাবেই হচ্ছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, "বাংলাদেশে তাবলীগের ইজতেমা একসাথে হবে। সুন্দর ব্যবস্থাপনার জন্য দু ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম দুদিন মাওলানা জুবায়ের সব ব্যবস্থাপনা করবেন। আর শেষ দুই দিনে সৈয়দ ওয়াসিফ দায়িত্ব পালন করবেন"।
তারা দুজন মিলেই দায়িত্ব ভাগ করে নিয়েছেন যাতে কোনো মারামারি না হয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন ইজতেমা এবার হচ্ছেনা বলে বলা হচ্ছিলো। কিন্তু সেটি হবে এবং সুন্দরভাবে যাতে পরিচালনা হয় যাতে কোনো বিতর্ক না হয় সেজন্য ব্যবস্থা নিচ্ছি।
"সবার সুবিধার জন্য ইজতেমা একদিন বাড়ানো হয়েছে। মাওলানা জুবায়ের ও সৈয়দ ওয়াসিফের ব্যবস্থাপনায় চারদিনের ইজতেমা একত্রিত অবস্থায় আমরা সম্পন্ন করবো"।
তাবলীগের সাদ পন্থী গ্রুপের একজন আশরাফ আলী বিবিসি বাংলাকে বলেছেন তারা তাদের নিজেদের মতো করে দুদিন ইজতেমা আয়োজন করবেন।
ইজতেমা সূত্রগুলো বলছে সাদ কান্দালভী এবার আসবেননা কিন্তু তার প্রতিনিধিদের আসার সম্ভাবনা আছে।
সাদ বিরোধী গ্রুপের মাহফুজ হান্নান বিবিসি বাংলাকে বলেনে দু দিন করে আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়েছে সেটি ভালো হয়েছে বলেই মনে করেন তিনি। -বিবিসি