আশার প্রতিদান দেব : প্রধানমন্ত্রী
একাদশ সংসদ নির্বাচনে জনগণের বিশাল সমর্থনের জন্য দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের জনগণ যে আশা নিয়ে ভোট দিয়েছেন, তাদের সেই আশার প্রতিদান দেবেন তিনি।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যে আশা নিয়ে আপনারা নৌকায় ভোট দিয়েছেন, যে আশা নিয়ে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করেছেন; আমরা তার প্রতিদান দেবো, আশা পূরণ করব- ইনশাআল্লাহ।’
এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে এ দেশ স্বাধীন করে বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা তৈরি করতে চেয়েছিলেন। মাত্র সাড়ে তিন বছর সময় পেয়েছিলেন দেশের মানুষের জন্য কাজ করার। সাড়ে তিন বছরে যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশ গড়তে যেভাবে তিনি কাজ শুরু করেছিলেন তাতে আর ১০ বছর দেশ চালাতে পারলে এ দেশ উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হতো।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত ’৭৫ এর পর ২৯ বছর দেশ চালায়। এ সময় তারা মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের ইতিহাসকে মুছে ফেলতে চেয়েছিল। তারা তখন বঙ্গবন্ধুর ভাষণ পর্যন্ত বাজাতে দেয়নি। যে ভাষণ তারা বাজাতে দেয়নি, সে ভাষণ আজ জাতিসংঘের ইউনেস্কোতে স্থান পেয়েছে। বিশ্বের মানুষ ৭ মার্চের ভাষণ গ্রহণ করলেও বিএনপি-জামায়াত তা পারেনি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের আদর্শ হলো- দেশের মানুষের জন্য কিছু করা। দেশের মানুষকে যদি উন্নত জীবন দিতে পারি, মানুষকে যদি ভালো রাখতে পারি এর চেয়ে স্বার্থকতা আর কী হতে পারে।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘শুধু সন্ত্রাস, লুটপাট, আগুনে পুড়িয়ে মানুষ মারা এবং ব্যাপক হারে মনোনয়ন বাণিজ্যের কারণে তাদের এই ভরাডুবি। একই আসনের জন্য সকালে একজন, দুপুরে একজন ও বিকেলে একজনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। তাদের অনেকেই আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে নিজেদের দুঃখের কথা বলেছেন। একজন তো আমাদের দলে জয়েন করলেন।’
বিএনপির যেসব প্রার্থী উইনেবল ছিলেন তারা কেউই মনোনয়ন পাননি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘টাকা বেশি না দিতে পারায় তারা মনোনয়ন পাননি। সকালে যাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়, তার চেয়ে বেশি টাকা দেওয়ার পর দুপুরে আরেকজন মনোনয়ন পান। বিকেলে তার চেয়ে বেশি টাকায় পাওয়ায় সকাল ও দুপুরের প্রার্থী মনোনয়ন থেকে আউট হয়ে যান। এভাবে যে দল মনোনয়ন দেয় তাদের জনগণ কেন ভোট দেবে?’
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সাবেক আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরু, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ এমপি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ঢাকা উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি রহমতুল্লাহ এমপি ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম।
সূত্র : রাইজিংবিডি