তৃতীয়বারের মতো এমপি হওয়ায় নেতা-কর্মীরা উজ্জীবিত
অগণিত মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত ডাঃ দীপু মনি
রাজনীতিতে শুধু সফলতার সাক্ষরই রেখে যাচ্ছেন ডাঃ দীপু মনি। প্রথম মনোনয়নেই এমপি, আর এমপি হওয়ার সুবাদে পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এরপর দ্বিতীয়বার এবং তৃতীয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন ডাঃ দীপু মনি। অর্থাৎ পর পর তিনবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য এই নারী নেত্রী। তাই দলের নেতা-কর্মীরা উজ্জীবিত। একই সাথে উল্লসিত চাঁদপুর সদর ও হাইমচরের জনগণ।
চাঁদপুরের মাটির সন্তান, একজন ভাষাসৈনিকের কন্যা ডাঃ দীপু মনি প্রথম এমপি হওয়ার পুরস্কারস্বরূপ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতো অতীব গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়া শুধু বাংলাদেশের রাজনীতিতেই নয়, দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে আলোচিত বিষয় ছিলো। সরকারের পূর্ণ মেয়াদে অর্থাৎ পাঁচ বছর তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন।
নবম জাতীয় সংসদের মেয়াদ শেষে ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত হয় দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ডাঃ দীপু মনি দ্বিতীয়বারের মতো এ নির্বাচনেও দলের মনোনয়ন পেলেন। এবার তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করলেন। চাঁদপুর-৩ আসন থেকে পর পর দুইবার এমপি হলেন তিনি। দ্বিতীয়বার তিনি মন্ত্রী না হলেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হলেন। পাশাপাশি দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের সাংগঠনিক দায়িত্ব ন্যস্ত হলো তাঁর ওপর। দল এবং সরকার উভয়তেই তিনি সমানতালে কাজ করে চললেন।
২০০৮ এবং ২০১৪ সাল। পর পর এই দুই মেয়াদে দলে এবং সরকারে উল্লেখযোগ্য অবদান ও ভূমিকা রাখার পর ডাঃ দীপু মনি পৌঁছে যান সফলতার উচ্চ শিখরে। নবম ও দশম জাতীয় সংসদে চাঁদপুর-৩ (সদর ও হাইমচর) আসন থেকে প্রতিনিধিত্ব করলেন ডাঃ দীপু মনি। এবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, যেটি অনুষ্ঠিত হলো ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮। এ নির্বাচনেও চাঁদপুর-৩ আসন থেকে ডাঃ দীপু মনি তাঁর দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন। নির্বাচনে বিজয়ী হতে ডাঃ দীপু মনি বিরামহীন গণসংযোগ করলেন। সফলতাও আসলো। তাও যেনতেনভাবে সফলতা নয়, বিশাল ভোটের ব্যবধানে জয়ের মালা পরলেন তিনি।
৩০ ডিসেম্বর রোববার রাতে ভোট গণনা শেষে চাঁদপুর-৩ আসনের তথা চাঁদপুর সদর ও হাইমচর উপজেলার ১শ’ ৫৭টি কেন্দ্রের ফলাফল যখন একটার পর একটা আসতে থাকে, তখন আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী এবং সমর্থকদের মাঝে আনন্দের বন্যা বইতে থাকে। সাধারণ জনগণের মাঝেও এ আনন্দের কমতি ছিলো না। সে রাতেই হাজার হাজার নেতা-কর্মী-সমর্থক ও সাধারণ মানুষ ডাঃ দীপু মনির চাঁদপুর শহরের বাসায় আসতে থাকে। মিছিলের পর মিছিল আসে। মানুষের ভিড় বাসা ছেড়ে রাস্তা পর্যন্ত গিয়ে পৌঁছে। দীপু মনিকে অভিনন্দন জানিয়ে নানা রকমের শ্লোগান ও করতালিতে মুখরিত হয়ে ওঠে চাঁদপুর শহরের নতুনবাজারস্থ জেএম সেনগুপ্ত রোড এলাকা। দীপু মনি এসব মানুষের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন। এরপর অনেক রাত পর্যন্ত দলীয় অনেক নেতা-কর্মী দলবেঁধে ডাঃ দীপু মনিকে একের পর এক ফুল দিতে থাকেন। শুধু দলীয় নেতা-কর্মীই নয়, বিভিন্ন পেশার লোকজন এবং বিভিন্ন সংগঠন এমনকি অনেকে ব্যক্তিগতভাবেও ডাঃ দীপু মনিকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
গতকাল সোমবারও সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এ দৃশ্য দেখা গেলো ডাঃ দীপু মনির বাসায়। অগণিত মানুষের ভালোবাসা এবং ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হলেন টানা তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত এই সংসদ সদস্য। একইভাবে দলের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদেরও দেখা গেলো বেশ উজ্জীবিত। তাদের দীর্ঘ সময়ের পরিশ্রম স্বার্থক হয়েছে। তাদের প্রিয় নেত্রী আবার পাঁচ বছরের জন্যে এই জনপদের উন্নয়নে প্রত্যক্ষভাবে ভূমিকা রাখতে পারবেন এটাই হচ্ছে তাদের সফলতা।