সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নে ডাঃ দীপু মনির দিনব্যাপী গণসংযোগ
যারা টাকা দিয়ে ভোট কিনে তারা কখনো জনগণের জন্যে কাজ করে না : ডাঃ দীপু মনি
চাঁদপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি নৌকা মার্কার সমর্থনে দিনব্যাপী উঠোন বৈঠক, পথসভা, মহিলা সমাবেশ ও গণসংযোগ করেছেন।
২৩ ডিসেম্বর রোববার সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনি সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে মুক্তিযোদ্ধা মরহুম মন্নান মিয়াজীর বাড়ির উঠোন বৈঠক ও মরহুমের কবর জিয়ারত, ফরাক্কাবাদ ডিগ্রি কলেজ মাঠের জনসভা, ২নং ওয়ার্ড ঈদগাঁ ময়দানের সমাবেশ, ৬নং ওয়ার্ড বালিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম রাজ্জাকুল হায়দার শিমু খান বাড়ির উঠোন বৈঠক, ৫নং ওয়ার্ডে ডাক্তার কানাই শীলের বাড়ির উঠোন বৈঠক, ৩নং ওয়ার্ডে তালুকদার বাড়ির উঠোন বৈঠক, ৯নং ওয়ার্ড পূর্ব গুলিশায় সমাবেশ, ৮নং ওয়ার্ডে পশ্চিম গুলিশা এলাকায় হামিদ মেম্বারের বাড়ির উঠোন বৈঠককে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।
এসব অনুষ্ঠানে ডাঃ দীপু মনি বক্তব্যে বলেন, এর আগে অনেকেই এই আসনে নির্বাচিত হয়েছিলেন কিন্তু চাঁদপুরের কোনো উন্নয়ন করেন নি। কিন্তু আমি নির্বাচিত হওয়ার পর আল্লাহর রহমতে আমার ওয়াদার প্রায় সবকটিই বাস্তবায়ন করতে পেরেছি। আর এই উন্নয়ন করতে পেরেছি, তার কারণ জণগণ আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছিলেন বলে।
তিনি আরো বলেন, অনেকের অনেক সম্পদ রয়েছে, কিন্তু আমার তাদের থেকেও অনেক বড় সম্পদ রয়েছে, আর সে সম্পদ হলো জণগণ। আর আমি জানি সেই জনগণই আমাকে আগামীতে আবারও নির্বাচিত করে তাদের সেবা করবার সুযোগ দিবে। আপনাদের এমপির কি কোনো দুর্নাম কিংবা বদনাম আছে? যদি না থাকে তাহলে আপনাদের ভোটের প্রতি আমার হক জন্মিয়েছে। তাই আমাকে আবারো নৌকায় ভোট দিয়ে কাজ করার সুযোগ দিন। সাথে সাথে শেখ হাসিনাকে আবার প্রধানমন্ত্রী করুন। ইনশাআল্লাহ আগামী ৩০ ডিসেম্বরে আমরা বিপুল ভোটে সাফল্য নিয়ে জয়ী হবো।
তিনি বিএনপির প্রার্থী প্রসঙ্গে বলেন, তারা আপনাদের কাছে এসে বলবে আপনারা ভোট দিলে আমরা কাজ করবো। যারা এতটা বছর ক্ষমতায় থেকে কাজ করেনি, তারা কি এখন ভোট পেয়ে জয়ী হলে কাজ করবে? নিশ্চয়ই না। আমি শুনতেছি তারা ভোটের আগের দিন টাকা দিয়ে ভোট কিনবে। মনে রাখবেন যারা টাকা দিয়ে ভোট কিনে তারা কখনো জনগণের জন্যে কাজ করবে না। কারণ জয়ী হওয়ার পর যখন আপনি সেই প্রার্থীর কাছে যাবেন তখন তিনি বলবেন, আপনিতো আমাকে ভোট দেননি আমি টাকা দিয়ে ভোট কিনেছি।
তিনি আরো বলেন, প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত আজানে ডাকা হচ্ছে নামাজের জন্যে আসো, কল্যাণের জন্য আসো। আওয়ামী লীগ সরকার কল্যাণের জন্যে কাজ করে যাচ্ছে। আশাকরি আপনারা নৌকায় ভোট দিয়ে কল্যাণকর কাজের অংশীদার হবেন। সমৃদ্ধির পথে যেতে হলে আবারো নৌকায় ভোট দিন।
দীপু মনি আরো বলেন, আপনাদের ভোটের মর্যাদা রক্ষা করে বিগত ১০টি বছর আপনাদের সেবায় নিয়োজিত ছিলাম। ২০০৮ আপনাদের প্রথম চাওয়াছিল নদী ভাঙ্গন রোধ। সে সময় আপনারা বলেছিলেন আগুনে পুড়লে ভিটাটা অন্তত থাকে নদীতে ভাঙলে কিছুই থাকে না। বাপ মায়ের কবরখানাও চলে যায়। আপনাদের চোখে মুখে যে হাহাকার ও আর্তনাদ দেখেছি, তা আমাকে ভীষন ব্যথিত করেছে। আপনাদেরকে কথা দিয়ে আমি ১৯ কিলোমিটার দীর্ঘস্থায়ী বাঁধের ব্যাবস্থা করেছি। আজ হাইমচর-চাঁদপুরের মানুষকে নদী ভাঙার ভয়ে দিন কাটাতে হয় না। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আবারও নৌকায় ভোট দিন। তাহলে অসমাপ্ত যে ছোট খাটো কাজ বাকি রয়েছে তা সম্পন্ন করতে পারবো।
সুজিত রায় নন্দী বক্তব্যে বলেন, প্রত্যেক ঘরে বিদ্যুৎ দেয়া হয়েছে। চাঁদপুরবাসী অনেক ভাগ্যবান এখানে অনেক হেভীওয়েট নেতা রয়েছে, তাই কাজ হচ্ছে দ্রুতগতিতে। শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় আছে বলেই চাঁদপুরসহ সারাদেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হচ্ছে।
পৌর মেয়র নাছির উদ্দিন আহমেদ বক্তব্যে বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা নারীর ক্ষমতায়নে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করেছেন। ভোটারের অর্ধেক নারী। প্রার্থী নির্বাচনে নারী ভোটরের অবদান অনেক বেশী। শেখ হাসিনা সংবিধান মেনে সকলের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। বিগত দশ বছরের দীপু মনি চাঁদপুরে আমূল পরিবর্তন করেছেন। যা আগের কোন সংসদ সদস্য করেনি। তাই নৌকায় ভোট দিয়ে আওয়ামীলীগকে ক্ষমতায় আনুন।
আবু নঈম দুলাল পাটওয়ারী বক্তব্যে বলেন, এ এলাকায় বিএনপির দৃশ্যমান কোন উন্নয়ন কাজ নেই। আপনাদের এলাকায় মেরিন একাডেমী হয়েছে। মেডিকেল কলেজেও আপনাদের এলাকায় স্থাপন হবে। এলাকার আমূল পরিবর্তন ঘটেছে শুধু নৌকায় ভোট দেওয়ার জন্য। তাই ৩০ তারিখ আবারও নৌকায় ভোট দিন উন্নয়নের সাথে থাকুন।
গণসংযোগে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মেয়র নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ এডভোকেট নুরজাহান বেগম মুক্তা, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুর রশিদ সর্দার, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রব ভূঁইয়া, যুগ্ম সম্পাদক আহসান উল্লা আখন্দ, ক্রীড়া সম্পাদক মাসুদ আলম মিন্টু, সদস্য জাকিয়া সুলতানা শেফালী, বাগাদী ইউপি চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বেলায়েত হোসেন গাজী বিল্লাল, অ্যাডঃ সাইয়েদুল ইসলাম বাবু, আইয়ুব আলী বেপারী, সাজেদা সুলতানা কাকন, ঢাকা সিটির কাউন্সিলর মিলি রহমান, ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ড. সেলিনা রশিদ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক জয়নাল আবেদীন, সদস্য সচিব এমএ হাসান লিটন, যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডঃ জাফর ইকবাল মুন্না, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মাহফুজুর রহমান টুটুল, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পারভেজ করিম বাবু, ময়মনসিংহ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শিউলী আক্তার, আন্না আক্তার, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শিউলী আক্তার।
আরো উপস্থিত ছিলেন বালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তাজুল মিজি, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল্লা পাটওয়ারী, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান মিয়াজী, যুবলীগের আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খান, সাধারণ সম্পাদক মঞ্জিল খান, ছাত্রলীগের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর হোসেন নবীর, যুগ্ম আহবায়ক আরিফ হোসেন তালুকদার, মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী রেহানা বেগম ও সাধারণ সম্পাদক শারমিন আক্তার প্রমুখ।