বিষ্ণপুর ইউনিয়নে গণসংযোগ
উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আবারও নৌকায় ভোট দিন : ডাঃ দীপু মনি
চাঁদপুর-৩ আসনে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি নৌকার মার্কার সমর্থনে দিনব্যাপী উঠোন বৈঠক, পথ সভা, মহিলা সমাবেশ ও গণসংযোগ করেছেন।
শনিবার (২২ ডিসেম্বর) সদর উপজেলার বিষ্ণপুর ইউনিয়নে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের সাহেব বজারের সমাবেশ, ৮নং ওয়ার্ডে খেরুদিয়া সরকার বাড়ির উঠোন বৈঠক, মনোহরখাদি এলাকার ২নং রামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠের সমাবেশ, ৩নং ওয়ার্ডে দামোদরদী এলাকার বকাউল বাড়ির উঠোন বৈঠক, মধ্য বিষ্ণুপুর এলাকায় লালপুর বালুধুম উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে জনসভা, উত্তর বিষ্ণপুরে পথসভা, পৌরসভার ১৫নং ওয়ার্ডের সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।
এসব প্রচারানুষ্ঠানে ডাঃ দীপু মনি বক্তব্যে বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকায় ৩০টি আশ্রয়ন প্রকল্পে ৩৭৫০ নদী ভাংতি মানুষ বসবাস করছে। দেশের কোন নির্বাচনী এলাকয় এতগুলো আশ্রয়ন প্রকল্প নেই। কারন আমার নির্বাচনী এলাকা নদীতে বেষ্টিত। আপনরা কঠোর পরিশ্রম করেন তা বিএনপির আমলেও করতেন কিন্তু আয় রোজগার নিশ্চয় এত ভাল ছিল না। আওয়ামী লীগের আমলে কেউ না খেয়ে থাকি না। সকলে এখন সুন্দর ভাবে বসবাস করছে, আ তা সম্ভব হয়েছে একমাত্র শেখ হাসিনার কারণে।
তিনি আরো বলেন, যারা ওয়াদা দিয়ে ওয়াদা রাখেনি তাদের ভোট দিবেন নাকি, ওয়াদা রক্ষাকারীকে ভোট দিবেন। যারা জনগণের কল্যাণে কাজ করছে তাদেরইতো ভোট চাওয়ার অধিকার বেশী। শেখ হাসিনা সরকার যা যা ওয়াদা করেচে তা রক্ষা করেছে। তাই আবারো নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন। বিষ্ণপুরবাসী আমাকে কখনো খালি হাতে ফিরায় নাই।
তিনি আরো বলেন, আপনাদের ভোটের মর্যাদা রক্ষা করে বিগত ১০টি বছর আপনাদের সেবায় নিয়োজিত ছিলাম। ২০০৮ আপনাদের প্রথম চাওয়াছিল নদী ভাঙ্গন রোধ। সে সময় আপনারা বলেছিলেন আগুনে পুড়লে ভিটাটা অন্তত থাকে, নদীতে ভাঙ্গলে কিছুই থাকে না, বাপ মায়ের কবরখানা ও চলে যায়। আপনাদের চোখে মুখে যে হাহাকার ও আর্তনাদ দেখেছি তা আমাকে ভীষন ব্যথিত করেছে। আপনাদেরকে কথা দিয়ে আমি ১৯ কিলোমিটার দীর্ঘ স্থায়ী বাঁধের ব্যাবস্থা করেছি। আজ হাইমচর চাঁদপুরের মানুষকে নদী ভাঙ্গার ভয়ে দিন কাটাতে হয় না। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আবারও নৌকায় ভোট দিন। তাহলে চলমান ও বাকী যে ছোট খাটো কাজ রয়েছে তা সম্পন্ন করতে পারবো।
তিনি শিক্ষা প্রসঙ্গে বলেন, আপনাদের সন্তানরা বছরের প্রথমে চার রঙ্গা নতুন বই পাচ্ছে। বই কেনার টাকার জন্য কাউকে এখন আর চিন্তা করতে হয়না। আপনাদের শিশুদের উপবৃত্তি দেওয়া হচ্ছে টাকা মায়েদের হাতে যাচ্ছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশুদের জন্য মিট ডে মিল দেওয়া হচ্ছে।
দীপু মনি আরো বলেন, নৌকা প্রতীক মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, মানচিত্র, জাতীয় পতাকা, গণতন্ত্র, সুশাসন, মানবধিকার, বাকস্বাধীনতা, নাগরিক অধিকার ও উন্নয়নের প্রতীক। তাই নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে ৩০ ডিসেম্বর নৌকার ভোট দিন।
গনসংযোগে অংশ গ্রহন করেন ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক এর স্ত্রী রুবানা হক। তিনি ভোটারদের উদ্দেশ্যে এসব অনুষ্ঠানে বলেন, দীপু আমার ৩২ বছরের বন্ধু। সে আমার স্বামী আনিসুল হক ঢাকা উত্তরের মেয়র নির্বাচনকালীন সময়ে ভীষনভাবে কাজ করেছিল, সে জন্য আমি তার কাছে কৃতজ্ঞ। আনিস বেঁচে থাকলে সে করজোড়ে আপনাদের কাছে ভোট চাইতেন। দীপু ও নৌকার কোন বিকল্প নেই। আমার সাথে তার পরিবারের এক আত্মিক সম্পর্ক। আমার বন্ধুকে ভোট দিলে আপনারা সকলে ভাল থাকবেন উন্নয়নও অব্যাহত থাকবে। গত ১০টি বছর শেখ হাসিনার সরকার দেশের জনগণের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তরের সাবেক মেয়র প্রয়াত আনিসুল হকের পতœী সাহিত্যিক, কবি ও সফল ব্যবসায়ী রুবানা হক, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবলীগের এডভোকেট সালমা হাই টুনি, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, যুগ্ম সম্পাদক আজিজ খান বাদল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক জাফর ইকবাল মুন্না।
আরো উপস্থিত ছিলেন বিষ্ণপুর ইউনিয়ন অওয়ামীলীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়াম্যান নাছির উদ্দিন খান শামীম, সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়ুন খান চুন্নু, সাবেক সাধারন সম্পাদক নুর হোসেন সরকার, কল্যানপুর ইউনিয়নের সারবক চেয়ারম্যান আব্দুল মন্নান মাল, কেন্দ্রীয় দলিল লিখক সমিতির সিনিয়র সহ সভাপতি খোরশেদ আলম বাবুল, সদর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহিদা বেগম, সাধারন সম্পাদক নাহিদ সুলতানা রনি, ছাত্রনেতা জিয়া, হযরত আলী মাস্টার, সমর্থক নেয়াজ উদ্দিন বেপারী, বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগদানকৃত মোস্তফা হাওলাদার ও গোলাম হাওলাদার।