• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

আশিকাটি ইউনিয়নে ডাঃ দীপু মনির গণসংযোগ ও উঠোন বৈঠক

৩৫ বছরে অনেক এমপি মন্ত্রী ক্ষমতায় এসেছে কিন্তু কেউ নদী ভাঙ্গণে ব্যবস্থা নেয় নাই : ডাঃ দীপু মনি এমপি

প্রকাশ:  ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮, ২১:৩২
স্টাফ রিপোর্টার ॥
প্রিন্ট

ডাঃ দীপু মনি যেখানেই গণসংযোগ করছেন সেখানেই নারী-পুরুষের ঢল নামছে। সদর উপজেলা আশিকাটি ইউনিয়নেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। গতকাল দিনভর চাঁদপুর-৩ আসনের আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি সদর উপজেলার আশিকাটি ইউনিয়নে ব্যাপক গণসংযোগ ও কয়েকটি উঠোন বৈঠকে অংশ নিয়েছেন। ১৩ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে শুরু করে বিকেল পর্যন্ত মধ্য আশিকাটি খান বাড়ি, দক্ষিণ আশিকাটি সাজু খানের বাড়ি,  চানখার দোকান এলাকায়, রালদিয়া বিল্লাল খানের বাড়ি, ৩নং ওয়ার্ডের সেনগাঁও এলাকা, ৮নং ওয়ার্ডের পাইকাস্তা মিয়াজী বাড়ি, পাইকাস্তা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠের সমাবেশ করেন তিনি। এছারা তিনি আশিকাটি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মিজান মৃধা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মরহুম উমিদ আলী ভুঁইয়াসহ প্রয়াত নেতাদের কবর জিয়ারত করেন।  উঠোন বৈঠকে উপস্থিত হাজার হাজার নারী-পুরুষের উদ্দেশ্যে ডাঃ দীপু মনি তার বক্তব্যে বলেন, আপনারা নৌকায় ভোট দিয়েছিলেন তাই আমি এমপি হয়েছিলাম, সে কারনেই শেখ হাসিনা আমাকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বানিয়েছিলেন। ৩০ তারিখের নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি আপনাদের কাছে ভোট চাওয়ার হকদার, কারণ আমি  এ দশটি বছর আপনাদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করেছি। বিএনপির লোক এসে ভোট চাইবে কিন্তু আপনার বিবেক বুদ্ধি খাটিয়ে ভোট দিবেন। শেখ হাসিনার উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে আবার নৌকায় ভোট দিন। শেখ হাসিনার সরকার বার বার দরকার। আমি আপনাদের কাছে আবারও কাজ করবার সুযোগ চাই। পিংরা বাজার থেকে ছৈয়াল বাড়ি পর্যন্ত রাস্তাটি ২ বছর আগে কাজ পেয়েও বিএনপির একজন ঠিকাদার রাস্তাটি করেনি। রাস্তা হয়ে গেলে আমর সুনাম হবে তাই তিনি কাজটি করেনি। কাজটি আবার টেন্ডার হয়েছে কাজ দ্রুত শুরু হবে ইনশাল্লাহ। বর্তমানে অনেক নতুন ভোটার হয়েছে উন্নয়নকে ধরে রাখতে আমি আশা করি, নতুন ভোটারসহ সকলের ভোট নৌকার পক্ষে হোক, উন্নয়নের পক্ষে হউক। উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকায় শতভাগ বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে। ১৫৯টি সেতু কালভাট তৈরি করা হয়েছে। নাসিং ইনিস্টিউট, কোস্টগার্ড স্টেশন, পাসপোর্ট অফিস, মেডিকেল কলেজ, কমিউনিটি ক্লিনিক, ৩০টি আশ্রয়ন প্রকল্পে ৩৭৫০ গৃহহারা পরিবারকে ঘর দেওয়া হয়েছে। আমাদের প্রধান সমস্যা ছিল নদী ভাঙ্গন। গত ৩৫ বছরে অনেক এমপি মন্ত্রী ক্ষমতায় এসেছে কিন্তু কেউ নদী ভাঙ্গণে ব্যবস্থা নেয় নাই। আমি চাঁদপুর-ইামচরবাসীকে  নদী ভাঙ্গার হাত থেকে রক্ষায় ৬শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৯ কিলোমিটার নদীরপাড় স্থায়ীভাবে বাধ দেয়ার ব্যবস্থা করেছি। ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১১৫ বছরের পুরোনো লাকসাম চাঁদপুর রেলপথকে নতুন করে তৈরি করা হয়েছে। আমার নির্বাচনী এলাকায় ৩২৪ টি স্কুল, ৫৩টি কলেজ,  ২২৭ কিলোমিটার নতুর রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। ৩৮টি নতুন কমিউনিটি ক্লিনিক করা হয়েছে। যাতে সাধারণ মানুষ হাতের কাছেই তাদের স্বাস্থ্য সেবা নিতে পারে। আমি নির্বাচনের আগে যে সকল কাজের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম তার চেয়ে অনেক বেশি করেছি। ইনশাল্লাহ আগামীদিনে আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখবো। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক আলমগীর সরকার, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জাফর ইকবাল মুন্না, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবিএম রেদওয়ান, সাধারণ সম্পাদক নাছির হোসেন গাজী, সদর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শাহিদা বেগম, ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক সেলিম মাল, ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা বিল্লাল মাস্টার, নাজিম উদ্দিনসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সন্ধ্যায় তিনি পৌর এলাকার ১৩নং ওয়ার্ডে ব্যাপক গনসংযোগসহ কয়েকটি উঠোন বৈঠকে অংশ নেন।