বাছাইয়ে সারাদেশে ৭৮৬ জনের মনোনয়ন বাতিল
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৭৮৬টি মনোনয়ন ফরম বাতিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। একই সঙ্গে দুই হাজার ২৭৯টি ফরম বৈধ ঘোষণা করেছে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে।
অাগামী ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০টি অাসনে দুই হাজার ২৭৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার সুযোগ পাবেন। ঋণ খেলাপি, মামলা, মনোনয়নপত্র পূরণে ত্রুটি ও অসঙ্গতির জন্য এসব ফরম বাতিল করা হয়েছে।
এর মধ্যে ঢাকা অঞ্চলের ছয় জেলায় দাখিল হওয়া ৪৭৭টি মনোনয়নপত্রের মধ্যে ১১৬টিই বাতিল হয়েছে। বৈধ ঘোষণা করা হয়ে ৩৬৩টি মনোয়নপত্র। তবে যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে তারা সোমবার (৩ ডিসেম্বর) থেকে তিন দিনের মধ্যে ইসিতে আপিল করতে পারবেন।
ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ জানিয়েছিলেন ২৮ নভেম্বর শেষ দিনে মোট মনোনয়নপত্র দাখিল হয়েছিল ৩ হাজার ৬৫টি। এর মধ্যে বাতিল হয়েছে ৭৮৬টি মনোনয়নপত্র। আর বৈধ প্রার্থী ২ হাজার ২৭৯ জন।
গত সংসদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৫৪ জন নির্বাচিত হলেও এবার কোনো আসনেই একক প্রার্থী নেই। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতের সুযোগ নেই।
এবার ৩৫টি আসনে কোনো প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়নি। ২৬৫টি আসনে এক বা একাধিক প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। সর্বোচ্চ বাতিল হয়েছে কুড়িগ্রাম-৪ আসনে। এখানে জমা পড়েছিল ২৩ মনোনয়নপত্র, বাতিল করা হয়েছে ১৩টি।
যে ৩৫টি আসনে কারও মনোনয়নপত্র বাতিল হয়নি : ঠাকুরগাঁও-২, দিনাজপুর-৫, জয়পুরহাট-২, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩, নওগাঁ-২, নাটোর-৩, পাবনা-২ ও ৪, কুষ্টিয়া-৩, বাগেরহাট-৩, খুলনা-১, ৩, ৪, ৫, সাতক্ষীরা-৩, পটুয়াখালী-৪, ভোলা-৩, বরিশাল-৪ ও ৫, পিরোজপুর-২, টাঙ্গাইল-২, ৫, জামালপুর-২, নেত্রকোণা-৩, ঢাকা-১২ ও ১৩, নরসিংদী-৪, গোপালগঞ্জ-২, মৌলভীবাজার-৪, কুমিল্লা-৭, চাঁদপুর-৩, ফেনী-২, নোয়াখালী-৫, লক্ষ্মীপুর-৩, কক্সবাজার-১।
যেসব আসনে ছয়টির বেশি মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে : ঢাকা-১৭ আসনে ২৭টির মধ্যে ১১টি বাতিল হয়েছে। ফরিদপুর-৪ আসনে ১৪টির মধ্যে ১০টি মনোনয়নপত্র বাতিল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে ২৭টির মধ্যে ১১টি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে ১৬টির মধ্যে ১০টি, কুমিল্লা-৩ আসনে ২৭টির মধ্যে ১০টি বাতিল হয়েছে।
বগুড়া-৭ আসনে ১৪টির মধ্যে সাতটি বাতিল, রাজশাহী-১ আসনে ১২টি মধ্যে আটি, যশোর-২ আসনে ১৫টির মধ্যে সাতটি, ময়মনসিংহ-৩ আসনে ১৭টির মধ্যে ১০টি, কিশোরগঞ্জ-২ আসনে ১০টির মধ্যে সাতটি, ঢাকা-৮ আসনে ২২টির মধ্যে সাতটি বাতিল।
ইসি জানায়, রিটার্নিং বা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারা কারও মনোনয়নপত্র বাতিল করলে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি আপিল করতে পারবেন। আপিল করতে হবে ইসির কাছে। ৩ ডিসেম্বর সোমবার থেকে ৫ ডিসেম্বর বুধবারের মধ্যে ইসিতে অভিযোগ করতে পারবেন। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্ত মনঃপূত না হলে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ বা আপিল করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিকে সাদা কাগজে আবেদন করে তথ্য-প্রমাণসহ ইসিতে অভিযোগ করতে হবে। ৬ থেকে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত আপিলগুলোর শুনানি করে সিদ্ধান্ত দেবে ইসি।