নির্বাচনী ইশতেহারের চেয়ে বেশি কাজ করেছি: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা নির্বাচনী ইশতেহারের চেয়ে বেশি কাজ করেছি। সামনে আরও করবো। বাংলাদেশটাকে একটা ব্রান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাই। যেটা অন্যরা তাকিয়ে দেখবে।
গতকাল মঙ্গলবার (২৭ নভেম্বর) বিকেলে গণভবনে অবসরপ্রাপ্ত দেড় শতাধিক সামরিক অফিসারদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
সামরিক অফিসারদের উদ্দেশে মেখ হাসিনা বলেন, আপনাদের আগমন ও সমর্থন আগামী দিনে বাংলাদেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে সহযোগিতা করবে। আপনারা বলেছেন, নির্বাচনে কাজ করবেন। এজন্য আপনাদের ধন্যবাদ জানাই। সবাই আমাকে প্রশ্ন করে, আমি কেন এত খাটি। আসলে একটা আদর্শ ও চেতনার বাস্তবায়ন করতে আমার এক খাটনি।
সুশীলদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আমাদের জ্ঞানীগুণি ও অনেক সুশীল আছে। তারা সুন্দর সুন্দর কথা বলেন। কিন্তু তাদের ব্যক্তিস্বার্থ এত বড় যে তার জন্য নীতি বিসর্জন দেন। তারা সন্ত্রাস ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে বলেন। এখন আবার সেই দলে গিয়ে ভিড়েছে। তারা বলেন, গণতন্ত্র রক্ষা করতে গেছে। গণতন্ত্রের সংকট কোথায়? তারা সাজাপ্রাপ্ত মানুষের নেতৃত্বে চলে গেছেন। সুশীল বাবুরা গণতন্ত্র উদ্ধার করতে গেছেন। আসলে তাদের গণতন্ত্রের সংজ্ঞা কী? তারা তি খুনি ও সাজাপ্রাপ্ত আসামির সঙ্গে হাতি মিলিয়ে কোন গণতন্ত্র উদ্ধার করতে চায়?
শেখ হাসিনা বলেন, ড. কামালসহ সুশীল বাবুরা সাজাপ্রাপ্ত আসামির কাছ থেকে নমিনেশন নিয়ে নাকি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করবে। তারা আসামিদের সাথে হাত মিলিয়ে ক্ষিরের পাহাড় আর দুধের নহর বইয়ে দিবেন! তারা দেশটাকে কোথায় নিতে চায়?
এসময় সুশীলদের আরও সমালোচনা করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের ভালো কিছু তাদের চোখে পড়ে না। কেমনে দেখবে? দুর্নীতিবাজের কাছ থেকে নমিনেশন নিলে তো দেখবেই না। চোখ থাকতে অন্ধ হলে আমার কিছু করার নেই।
বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে উচ্চ পর্যায়ের অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন শেখ হাসিনা। এসময় তারা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন। তারা এ সরকারের ধারাবাহিকতা চান। উন্নয়নের জন্য শেখ হাসিনাকে চতুর্থ বারের মত প্রধানমন্ত্রী দেখতে চান।