মেঘনার চরাঞ্চলে নিয়মিত বসছে মা ইলিশের হাট
মতলব উত্তর উপজেলার মেঘনা নদীর পশ্চিম পাড়ে বসছে ইলিশের হাট। চরউমেদ ও বোরচরে রাতে জমজমাট ইলিশের হাট বসলেও দিনের বেলাও হাট বসতে দেখা যাচ্ছে। প্রশাসন মা ইলিশকে রক্ষার জন্যে মেঘনা নদীসহ পূর্ব অঞ্চলে অভিযান চালালেও পশ্চিম অঞ্চল থাকে এ অভিযানের বাইরে। তাই জেলেরা নির্দ্বিধায় মা ইলিশ ধরছে এবং তা বিক্রি করছে কম দামে।
উপজেলার মেঘনা নদীর পশ্চিম পাড়ে চরউমেদের নদীর পাড়ে ৪টি এবং চরকাশিমে ৫টি মাছের আড়ত রয়েছে। এখানে ইলিশ বেচাকেনা হচ্ছে উৎসবমুখর পরিবেশে। উপজেলার মূল ভূখ-ের মেঘনা নদীর পাড়ের স্থায়ী মৎস্য আড়ৎগুলো বন্ধ থাকলেও লঞ্চঘাটগুলোর সংলগ্ন অঞ্চল, মেঘনার পূর্ব ও পশ্চিম পাড়ের গুরুত্বপূর্ণ কিছু স্থানে বিক্রি হচ্ছে এই মা ইলিশ। এছাড়া বাড়ি বাড়ি গিয়েও মা ইলিশ ফেরি করে বিক্রি তো হচ্ছেই।
দিনের বেলাতে মেঘনা নদীর পূর্ব অঞ্চলের জেলেদের মাঝে পুলিশি আতঙ্ক থাকলেও সন্ধ্যার পর পুলিশি আতঙ্ক কেটে যায়। তবে মেঘনা নদীর পশ্চিমাংশের নদীতে পুলিশি অভিযান না থাকায় জেলেদের কোনো রকমের ভয় কাজ করে না। সেখানে মা ইলিশ রক্ষাকারী মতলব উত্তর উপজেলার টাস্কফোর্স তেমন একটা যায় না বললেই চলে। ফলে মেঘনায় জেলেরা নির্দ্বিধায় প্রজননের জন্যে আসা মা ইলিশগুলো ধরছে। আর এর নেপথ্যে কাজ করছে স্থানীয় কিছু অর্থলোভী প্রভাবশালী লোক। যাদের সাহস যোগানোর কারণেই জেলেদের বড় একটি অংশ এ কাজে উৎসাহ পাচ্ছে। সন্ধ্যার পর মেঘনা নদীর পশ্চিম পাড়ে মা ইলিশ শিকার ও বিক্রির উৎসবমুখর দৃশ্য দেখলে যে কারোর মনেই উপজেলা টাস্কফোর্সের রহস্যজনক ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শাখাওয়াত হোসেন বলেন, উপজেলার ষাটনল থেকে আমিরাবাদ পর্যন্ত এতো বিশাল অঞ্চলে ২২ দিন দেখাশোনার জন্যে সরকারি বরাদ্দ খুবই কম। অঞ্চল ও কাজের তুলনায় যা খুবই সামান্য। তারপরেও আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তবে স্পীডবোট হলে অভিযান পরিচালনা করা সহজ হতো, ট্রলার দিয়ে নদীতে কাজ করা অনেক কঠিন। কেননা, জেলেদের ট্রলারের অনেক গতি। আগে কোস্টগার্ড থাকলেও আমার উপজেলায় এবার কোস্টগার্ডের কোনো ক্যাম্প নেই।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর থেকে আগামী ২৮ অক্টোবর মেঘনা ও পদ্মাসহ বিভিন্ন নদীতে ২২ দিন ইলিশ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
সূত্র : চাঁদপুর কণ্ঠ