• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকারের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ:  ১৫ অক্টোবর ২০১৮, ১৭:৪৮ | আপডেট : ১৫ অক্টোবর ২০১৮, ১৭:৫০
বাসস
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রিন্ট

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে আজ এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। আগামীকাল ১৬ অক্টোবর বিশ্ব খাদ্য দিবস পালিত হবে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘কর্ম গড়ে ভবিষ্যৎ, কর্মই গড়বে ২০৩০-এ ক্ষুধামুক্ত বিশ্ব’।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘কৃষিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বর্তমান সরকারের গৃহীত নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণের ফলে কৃষিক্ষেত্রে অভাবনীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে। ধান, পাট, আলু, সবজি, ফলসহ মাছ, মাংস উৎপাদনে বাংলাদেশের সাফল্য আজ বিশ্ব স্বীকৃত।’
তিনি বলেন, ‘আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি। আমরা খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পেরেছি। এখন পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। সেলক্ষ্যে সরকারের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।’
বর্তমান সরকার কৃষির সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে কৃষিবান্ধব নীতি ও সময়োপযোগী বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সার, বীজসহ সকল কৃষি উপকরণের মূল্যহ্রাস করেছি। কৃষকদের সহজশর্তে ও স্বল্পসুদে ঋণসুবিধা এবং বিভিন্ন প্রণোদনা প্রদান করা হচ্ছে। আমরা কৃষি গবেষণায় অধিক বরাদ্দ নিশ্চিত করে নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছি।’
তিনি বলেন, ‘কৃষিকাজে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের লক্ষ্যে ই-কৃষির সম্প্রসারণ কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছি। আমাদের সরকার ১০ টাকায় ব্যাংক একাউন্ট খোলার সুযোগ করে দিয়েছে। কৃষি ভর্তুকির টাকা ঐ একাউন্টে সরাসরি প্রেরণ করা হচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পরপরই কৃষিখাতের উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলেন। তিনি কৃষকভাইদের জন্য ২৫ বিঘা পর্যন্ত জমির মালিকদের খাজনা মওকুফ করে দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু পরিবেশ সুরক্ষায় বৃক্ষের গুরুত্ব অনুধাবন করে দেশকে আবারও সবুজের সমারোহে পরিপূর্ণ করে তুলতে বৃৃক্ষরোপণ অভিযান কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলেন।’
বাণীতে তিনি বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব খাদ্য দিবস-২০১৮’ পালন করা হচ্ছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ এবং দিবসটির সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামনা করেন।