দেশের পাইপলাইনের ৮০ শতাংশ পানিতেই ডায়রিয়ার জীবাণু
দেশের পাইপলাইনে সরবরাহকৃত ৮০ শতাংশ পানিতে ডায়রিয়ার জীবাণু ই-কলাই ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি রয়েছে। আর ১৩ শতাংশ পানির উৎসে আর্সেনিকের উপস্থিতি মিলেছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে বিশ্বব্যাংকের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
পানি সরবরাহ এবং পয়ঃনিষ্কাশনবিষয়ক ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে দেশের জনসাধারণের প্রয়োজনে বিভিন্ন উৎস থেকে উত্তোলিত ৪১ শতাংশ পানিতেই ডায়রিয়ার জীবাণু ই-কলাই ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি আছে। আর দেশে পাইপলাইনে সরবরাহকৃত ৮০ শতাংশ পানিতে এই জীবাণু আছে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। এমনকি ৮০ শতাংশ পুকুরের পানিতেও ই-কলাই ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতির কথা জানিয়েছে সংস্থাটি।
বিশ্বব্যাংকের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ জর্জ জোসেফ বলেন, বাংলাদেশের পানিতে ডায়রিয়ার জীবাণু অনেক বেশি আছে। সরকারের এ বিষয়ে নজর দেওয়া উচিত। কারণ নিম্নমানের পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা বাংলাদেশের দারিদ্র্য দূরীকরণে বাধা হতে পারে।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের মাত্র ২৮ শতাংশ টয়লেটে পানি ও সাবানের ব্যবস্থা রয়েছে। অন্যদিকে দেশের ১৩ শতাংশ পানির উৎসে আর্সেনিক আছে জানিয়ে বিশ্বব্যাংকের রিপোর্ট বলছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে আর্সেনিকের উপস্থিতি বেশি।
অনুষ্ঠানে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘দেশের মানুষের সংখ্যা বেড়েছে, তাই বিশুদ্ধ পানির চাহিদাও বেড়েছে। সেটা নিশ্চিত করাটাই এখন চিন্তার বিষয় আমাদের।’
এ ছাড়া দ্রুত দারিদ্র্য নিরসনে, বিশুদ্ধ পানি এবং স্বাস্থ্যকর পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা নিশ্চিতের তাগিদ দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।