• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’ : আভ্যন্তরীন নৌযান চলাচল বন্ধ

প্রকাশ:  ১০ অক্টোবর ২০১৮, ২৩:২১
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’ আরও শক্তিশালী হচ্ছে। । আবহাওয়া অফিস থেকে চাঁদপুর নদীবন্দরকে ২ নম্বর নৌ-হুশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত নিম্নচাপটি গত ৯ অক্টোবর রাতে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। 

১০ অক্টোবর বুধবার থেকে চাঁদপুর-ঢাকাগামী  ছোট-বড় যাত্রীবাহী লঞ্চ ও অন্যান্য নৌ-যান পরবর্তী নির্দেশ দেয়া পর্যন্ত চলাচল বন্ধ থাকছে।

এ ব্যাপারে চাঁদপুর জেলা নৌ-যান শ্রমীকলীগের সভাপতি বিপ্লব সরকার চাঁদপুর পোস্টকে জানান, ‘আবহাওয়া অধিদপ্তরের চাঁদপুরকে ২নং সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে। সে হিসেবে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে লঞ্চ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ তথা আবহাওয়া সতর্ক সংকেত ইতিবাচক না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’ আরও শক্তিশালী হচ্ছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়া অফিস সূত্রে আরো জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট এই ঘূর্ণিঝড় আকারেও বেশ বড়। এটি ভারতের সমুদ্র উপকূলবর্তী তিনটি রাজ্য এবং বাংলাদেশের ওপর বিস্তৃত। তিতলি প্রতি ঘণ্টায় ১৪ কিলোমিটার বেগে উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে। এর ফলে চট্টগ্রাম, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর এবং কক্সবাজারে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

১০ অক্টোবর বুধবার  মধ্যরাতে বা বৃহস্পতিবার ভোরবেলা ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের খুলনা উপকূলে আঘাত হানতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ জানান, তিতলি অনেক শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। ১৪ কিলোমিটার বেগে এগিয়ে যাচ্ছে। ভারতের দক্ষিণ ওডিশা, অন্ধ্র প্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ—এই চারটি অঞ্চলজুড়ে ঘূর্ণিঝড়টি বিস্তৃত। প্রথমে ওড়িশায় আঘাত হানতে পারে। এরপর বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে আসার আশঙ্কা রয়েছে। তবে বাংলাদেশে আসতে আসতে যদি দুর্বল হয়ে যায়, তাহলে ভালো। কিন্তু আরও শক্তি সঞ্চয় করলে বিপদ।

যেভাবই আসুক না কেন, তিতলির প্রভাবে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশের উপকূল অঞ্চলসহ বেশির ভাগ এলাকায় বৃষ্টি হবে বলে জানান সামছুদ্দিন আহমেদ।

বুধবার দুপুরে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্র বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রবল ঘূর্ণিঝড় আকারের তিতলি দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৯১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সৈকত থেকে ৮৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে ও পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। ঘূর্ণিঝড়টি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর, উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর উত্তাল রয়েছে।

এদিকে, ঝড়ের প্রভাবে ভোলার নদ-নদীগুলো উত্তাল হয়ে পড়েছে। থেমে থেমে বৃষ্টি ও বাতাসের কারণে জনমনে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।