নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে সংসদ নির্বাচনের তফসিল : ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। আর অক্টোবরের মাঝামাঝি অথবা শেষ দিকে নির্বাচনকালীন সরকার গঠিত হবে।
আজ রবিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। কিন্তু নির্বাচনের সময় ক্ষমতাসীন সরকারের ক্ষমতা সংকুচিত হবে। সরকার নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো বিষয় নিয়ে কোনো কাজে সম্পৃক্ত হবে না।’
তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর মানুষ বর্তমান সরকারের বিস্ময়কর উন্নয়ন কর্মকাণ্ড দেখছে। স্বয়ং জাতিসংঘের মহাসচিব বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন রোহিঙ্গা ইস্যুতে মানবিক ও সাহসী ভূমিকা পালন করার জন্য। বাংলাদেশের এ বিস্ময়কর উন্নয়নেও পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে জাতিসংঘ।’
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ তো অশান্ত নয়। তবে বিএনপি ও তার সহযোগীরা অশান্তির উস্কানি দিচ্ছে।’
ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের প্রশ্ন করে বলেন, ‘দেশে কী এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে যে দেশে এখন বিশেষ সরকারের প্রয়োজন পড়েছে?’
বিএনপি যদি নির্বাচনে না আসে তবে তাদেরকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করানোর জন্য বিশেষ কোনও পদক্ষেপ নেবেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এটা কি আমার বাড়ির মেজবান যে আমি তাদের দাওয়াত দিয়ে আনবো? নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা তো বিএনপির গণতান্ত্রিক অধিকার। সেটিকে তারা দয়ার দান ভাবছে কেন?’
তিনি বলেন, ‘সোহরাওয়ার্দীতে সমাবেশ করার জন্য না কি অনুমতি দেই না। এবার তো অনুমতি দিলাম, জনসভা করুক। লাগলে মঞ্চ তৈরি করে দিবো, মাইক লাগিয়ে দিবো, যত খুশি কথা বলুক। বিএনপির শাসনামলে অনুমতি আমাদেরকেও নিতে হয়েছে। এখন তো অনুমতি দেই দিনে, আমরা অনুমতি পেতাম রাত ১১টার পর।’
তিনি বলেন, ‘টকশো দেখলাম, টকশোর বিষয় হচ্ছে অনুমতি, বিএনপির পক্ষ থেকে যে গেছে সে কিছু জানে না, আমার দলের পক্ষ থেকে যে গেছে সেও কিছু জানে না। যে টকশো চালাচ্ছে সে ও কিছু জানে না। অনুমতি একটি সাধারণ জিনিস। সবারই নিতে হয়। সাধারণ মানুষরাও জনসভা করলে অনুমতি নিতে হয়।’
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে তিনি বলেন, ‘একটি আইনে সব কিছু উল্লেখ থাকে না। পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করে পরিপূর্ণ করা হয় বিধিমালায়। সম্পাদক পরিষদের যে উদ্বেগ সেটি সরকার আমলে নিয়েছে বলেই তথ্যমন্ত্রী আজকে সম্পাদক পরিষদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। তাদের দাবি যৌক্তিক হলে মানতে বাধা কোথায়। বিধিমালা চূড়ান্ত হলে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। সংবাদপত্রকে তো আমরা অস্বীকার করতে পারি না।’
সূত্র : এবিনিউজ