• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

ইলিশ কিনে প্রতারিত হচ্ছে ক্রেতারা

সাগরের পচাঁ ইলিশে সয়লাব মাছঘাট

প্রকাশ:  ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২০:৩৩
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

সাগরের পচাঁ ইলিশ চাঁদপুর মাছঘাটে এনে বিক্রি করা হচ্ছে প্রতিমন ১২ হাজার টাকায়। এ  পচা ইলিশ এক শ্রেণীর মৌসুমী মাছ ব্যবসায়ী বরফ দিয়ে শক্ত করে শহরের বিভিন্ন স্থানে বা রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে ঝুড়িতে করে বিক্রি করছে। ইলিশ একেবারে শস্তা বলে চিৎকার করে খোলাবাজারে ৮শ’ গ্রাম হতে শুরু করে ১ কেজি সাইজের  ইলিশ ৪শ’ টাকা কেজিতে বিক্রি করছে। এসব ইলিশ ক্রয় করে শহরবাসী ও ভ্রাম্যমাণ যাত্রী ও পথচারীরা নিয়মিত প্রতারিত হচ্ছে।
এসব ইলিশ বিক্রি হচ্ছে শহরের বড় স্টেশন মাছঘাট, কোর্ট স্টেশন, বাইতুল আমিন মসজিদের সামনে, শহরের নতুনবাজার সেতু সংলগ্ন স্থানে, পুরাণবাজার ব্রীজের গোড়ায়, নতুনবাজার মোড়ে, হকার্স মার্কেটের সামনে, ছায়াবানী মোড়, চিত্রলেখা মোড়, বাস টার্মিনাল এলাকায়, ব্যাংক কলোনী মোড়, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে। এ ইলিশ বিক্রি হচ্ছে দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত। চাঁদপুরে গত ক’দিন যাবত সাগরের ইলিশ আমদানি বেড়েছে কয়েকগুণ। ট্রলার আর ট্রাকে করে আসছে ইলিশের ঝুঁড়ি। আবার ট্রলারে বরফজাত করেও ঢালাওভাবেও আনা হচ্ছে প্রচুর পরিমান ইলিশ। এটি এখন চাঁদপুর মাছঘাটের নিত্যদিনের চিত্র। তবে এসব ইলিশের মধ্যে কিছু ইলিশ আসছে পঁচা। এসব পঁচা ইলিশও বিক্রি হচ্ছে ১২ হাজার টাকা মন দরে।
শনিবার দুপুরে চাঁদপুরের বড় স্টেশন মৎস্য আড়তে গিয়ে দেখা যায় নৌপথে ভোলা এবং হাতিয়া থেকে ট্রলার ভর্তি করে ইলিশ আনা হচ্ছে। শ্রমিকরা টুকরিতে করে ঘাটে উঠাচ্ছে। গত ৫ দিন ধরে ইলিশের আমদানি বেড়েছে বলে জানান এখানকার ব্যবসায়ীরা। ভোলা থেকে ইলিশের ট্রলারে করে আসা শ্রমিক আজিজ মিয়া জানান, জেলেদের কাছ থেকে ইলিশ সংগ্রহের পর একত্রিত করে রাখা হয় এসব ইলিশ। কিন্তু এসব ইলিশ আনার সময় উপরে নীচে কম বেশি বরফ থাকার কারণে নষ্ট হয়ে পচে যায়। তবে আড়তে উঠানোর সময় ভাল আর পঁচাগুলো আলাদা করে উঠানো হয়।
চাঁদপুর মাছঘাটের মেসার্স ভাই ভাই মৎস্য আড়তের ব্যবসায়ী আব্দুল আজিজ জানান, প্রতিদিন ভোলা এবং হাতিয়া থেকে কমপক্ষে ৫ থেকে ৬ হাজার মন ইলিশ আসছে। কিন্তু বরফ সঙ্কটের কারণে জেলেরা ইলিশ আনার সময় ট্রলারে থেকেই অনেক ইলিশ পঁচে যায়। বরফ ছাড়া ইলিশ সংরক্ষণ করার আর কোনো ব্যবস্থাও নেই।
মেসার্স সিরাজ চোকদার ফিসিংয়ের ব্যবসায়ী ফারুক চোকদার জানান, এক সপ্তাহ পূর্বে আড়তে ইলিশ এসেছে এক থেকে দেড় হাজার মন। এখন কয়েকগুন বৃদ্ধি পেয়েছে। আমদানিকৃত ইলিশের মধ্যে যেসব ইলিশ পঁচে যাচ্ছে এসব ইলিশ ভাল থাকলে প্রতিমন বিক্রি হতো ২৭ থেকে ৩০ হাজার টাকা। কিন্তু পঁচে যাওয়ার কারণে এসব ইলিশ বিক্রি হচ্ছে মাত্র ১২ হাজার টাকা মন দরে।
তিনি আরো বলেন, পঁচা ইলিশগুলো দ্রুত বিক্রির জন্যে অনেক সময় খুচরা বিক্রেতারা ক্রয় করেন। আবার মাছঘাটের অনেক ব্যবসায়ী পঁচা ইলিশের ডিম আলাদা করে বাকি ইলিশ লবন দিয়ে সংরক্ষণ করেন।