• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

ইলিশের ডিম ভারত ও মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে

প্রকাশ:  ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৩:০৭
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

রূপালী ইলিশের রাজধানী খ্যাত চাঁদপুর মৎস্য আড়ৎ থেকে দেশ-বিদেশে ইলিশ রপ্তানির পাশাপাশি ইলিশের ডিমও প্রতিদিন রপ্তানি হচ্ছে। ইলিশের ডিম প্রক্রিয়াজাত করে ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রামে পাঠাচ্ছে ব্যবসায়ীরা। এই ডিম দেশ ছাড়িয়ে ভারত হয়ে মালয়েশিয়াসহ বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে বলে জানালেন ক’জন মাছ ব্যবসায়ী। এতে করে ব্যবসায়ীরা অনেক লাভবান হচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে সরাসরি রপ্তানি সরকার বন্ধ করে দেয়ায় ভারত হয়ে এসব ইলিশের ডিম বিভিন্ন দেশে যাচ্ছে বলে চাঁদপুর থেকে বিভিন্ন স্থানে মাছ রপ্তানিকারক ব্যবসায়ীরা জানান।
    গত সোমবার চাঁদপুর মৎস্য আড়ৎগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, চাঁদপুরের স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ৭শ’ থেকে ৮শ’ গ্রামের ইলিশ ক্রয় করে সে ইলিশ হতে ডিম খুলে  ইলিশের ডিম প্লাস্টিকের ছোট আকারের বক্স করে রপ্তানির জন্যে প্রস্তুত করছে। শত শত প্লাস্টিক বক্সে ইলিশের ডিম বেঁধে বড় ককসিটের মধ্যে একত্রিত করছে। তারপরে বরফজাত করে  ট্রাকে করে চালান করা হয় ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রামে। ইলিশের ডিম খুলে ফেলার পর ইলিশ মাছকে স্থানীয় হোটেল ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করা হয়ে থাকে। এছাড়া ডিম খুলে ফেলা ইলিশকে লোনা ইলিশে রূপান্তরিত করে সে ইলিশ লোনা ইলিশ হিসেবে সিলেট, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও কিশোরগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয় এবং লোনা ইলিশ হিসেবে অনেক ব্যবসায়ী সে ইলিশ মাটির নীচে অথবা মাটির মটকায় স্টোর করে রাখে। পরে তারা সে ইলিশ বৈশাখ মাসে চাহিদা অনুযায়ী বিক্রি করে প্রচুর অর্থ উপার্জন করে বলে জানান।
    চাঁদপুর মাছঘাটের ভাই ভাই আড়তের ব্যবসায়ী আব্দুল আজিজ জানান, বড় সাইজের ইলিশের কেজি আড়াই হাজার টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে ইলিশের ডিম। স্থানীয় ক্রেতারা ইলিশের ডিম না কিনলেও বিদেশে এর চাহিদা অনেক বেশি। তবে সরকার সরাসরি বিদেশে রপ্তানি বন্ধ রাখায় প্রথমে চট্টগ্রামে এ ডিম পাঠানো হয়। সেখানকার ব্যবসায়ীরা বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ব্যবসায়ী জানান, শুধু ইলিশের ডিম নয়, ইলিশ মাছও চাঁদপুর থেকে চট্টগ্রাম সড়ক পথে যাওয়ার সময় সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে চলে যায়। ব্যবসায়ীদের মধ্যে একটি বড় সিন্ডিকেট এ কাজ করেন। চাঁদপুর মৎস্য আড়তে বর্তমানে প্রচুর পরিমাণ ইলিশ আসলেও তাদের বেঁধে দেয়া নির্দিষ্ট দামেই ইলিশ বিক্রি হয়। সেজন্যে সাধারণ মানুষ কম দামে ইলিশ কিনতে পারেন না। আর এজন্যে অনেকেই সরকারি তত্ত্বাবধায়নে চাঁদপুরে মৎস্য বিপনন সেন্টার করার জন্যে মতামত দিয়েছেন।
    চাঁদপুর মৎস্য আড়ৎ থেকে একমাত্র ইলিশের ডিম রপ্তানি করে মেসার্স এএমএস ট্রেডার্স। বিদেশে ইলিশের ডিম রপ্তানি করা হয় এমন প্রশ্নের জবাব দিতে রাজি নন ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাগণ। তবে তারা জানান, আমরা চট্ট্রগ্রামে পাঠাই, সেখান থেকে কোথায় পাঠানো হয় তা বলতে পারবো না।
    মৎস্যজীবী নেতা তছলিম বেপারী জানান, মাছঘাটের একাধিক ব্যবসায়ী প্রতি বছর ইলিশ মাছের ডিম বক্স করে ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রামে মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানায় পাঠান। সেখানে থেকে এসব ডিম তাদের নির্ধারিত দেশের সাথে কন্ট্রাকের মাধ্যমে দেশি ও বিদেশী মোকামে পাঠান।