ঈদের আনন্দে চাঁদপুর ত্রিনদীর মোহনায় ছিলো মানুষের ঢল
পবিত্র ঈদুল আযহার আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে ঈদের ক’দিন ধরে চাঁদপুর ত্রিনদীর মোহনায় ছিলো মানুষের উপচে পড়া ভিড়। ত্যাগের মহিমায় মেতে উঠে গত ২২ আগস্ট বুধবার সারাদেশে একযোগে পালিত হলো মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আযহা। সারা দেশের সাথে ঈদের এমন আনন্দে মেতে উঠেছিলো চাঁদপুরবাসি ও। আর ঈদের এ আনন্দকে ভাগাভাগি করে নিতে চাঁদপুর শহরের বড়স্টেশন মোলহেডে ত্রিনদী’র মোহনায় ছিলো দর্শনার্থীদের উপছে পড়া ভিড়। প্রতিবছরই ঈদের দিন হতে শুরু করে এ ভিড় থাকে ঈদের চার পাঁচদিন পর্যন্ত। তবে এবার ঈদের দিন বৈরী আবহাওয়ার কারনে ঈদের দিন বিকেলে মানুষের তেমন কোন উপস্থিতি দেখা না দিলেও ঈদের ২য় দিন থেকে শুরু হয় মানুষের বাঁধভাঙ্গা ঢল। আর দর্শনার্থীদের এমন ঢল চলতে থাকে ঈদের ৫ম দিন পর্যন্ত।
চাঁদপুরের একমাত্র পর্যটন কেন্দ্র পদ্মা, মেঘনা ও ডাকাতিয়া এ তিন নদীর মিলনস্থল বড় স্টেশন মোলহেডে গিয়ে দেখাযায় ঈদের দিন বিকেলে চাঁদপুর শহর এবং বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা মোহনার চারপাশে ছিলো ছোট বড় অসংখ্য মানুষের উপচে পড়া ভিড়। বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ ঘুরতে এসেছেন তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে। কেউ কেউ তাদের ভাই, ভাবি, ভাতিজী ,বোন, ভাগিনা , ভাগ্নি কিংবা কেউ তাদের প্রিয়জনকে নিয়ে বিকেল থেকে সন্ধ্যার পরেও অধিক সময় পর্যন্ত তিনটি নদীর মিলনস্থলে ঘুরে ফিরে সময় কাটাতে দেখা যায়। বিভিন্ন মানুষের উপস্থিতিতে সেখানে সৃষ্টি হয় এক মহা মিলন মেলা। সেখানে নাগর দোলা এবং চরকী ঘোড়া থাকায় শিশুরা সেগুলিতে চড়ে আরো বেশি আনন্দপায়। আবার কেউ কেউ নিজস্ব ক্যামেরা কিংবা মুঠোফোনে বিভিন্ন রঙে ঢঙে ইলিশ সেলফি জোন , রক্তধারা এবং ত্রিনদীর মোহনায় দাঁড়িয়ে সেলফি তুলে ঈদে অনেক আনন্দ উপভোগ করতে দেখা যায় দর্শনাথীদের।এভাবেই দর্শনার্থীরা চাঁদপুর শহরের বড় স্টেশন মোলহেডে ঈদের কয়েকদিন ঘুরে ফিরে সময় কাটান।আর ঈদের এ আনন্দকে নিজেদের মতো করে উপভোগ করে নেন। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার দর্শনাথীদের জন্য মোটর সাইকেলসহ বিভিন্ন গাড়ী পাকিংয়ের জন্য ছিলো সুন্দর ব্যবস্থা। চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে মোলহেডে এসব গাড়ি পাকিংয়ের ব্যবস্থা হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। তাই এবার মোলহেডে গাড়ি পাকিংয়ের ব্যবস্থা করায় দর্শনার্থীরা সেখানে গাড়ি পাকিং করে নিশ্চিন্তে ঘুরে বেড়িয়েছেন।
বড় স্টেশন মোলহেডে ঘুরতে আসা সাদ্দাম হোসেন, পারুল বেগম, সমাইয়া আক্তার, রিপন হোসেন, শাহাদাত হোসেন, আলিফা আক্তারসহ বেশ কয়েকজন দর্শনার্থী জানান চাঁদপুরে তেমন কোনো পর্যটন কেন্দ্র না থাকায় এটিই এখন চাঁদপুরের একমাত্র পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে ব্যাবহার করা হ”্ছ।ে তাই তাদের দাবি মোলহেডের এই জায়গাটি যদি আরো উন্নত করা হতো তাহলে হয়তো দর্শনার্থীরা এখানে এসে আরো বেশি আনন্দিত হতেন। তবে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসন এ স্থানটি জেলা ব্র্যান্ডিংয়ের আওতায় এনে মাটি ফেলাসহ বিভিন্ন কাজ করাতে গত বছরের তুলনায় এবার মোলহেড এলাকা কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে বলে দর্শনার্থীরা জানান।