• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

অ্যাডঃ জহির ও রাকিবের রিমান্ড না মঞ্জুর ॥ আরো কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ

প্রকাশ:  ২৫ জুলাই ২০১৮, ১০:২৮
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

অধ্যক্ষ শাহীন সুলতানা ফেন্সি হত্যাকা-ের রহস্য উদ্ঘাটনের জন্যে এ ঘটনায় সন্দেহজনক আটক অ্যাডঃ জহিরুল ইসলামের পুনরায় রিমান্ড না মঞ্জুর করেছে আদালত। অ্যাডঃ জহির ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র জুলেখা জহিরের চাচাতো ভাই রাকিবুল হাসানের ৩ দিনের রিমান্ড চেয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের ইন্সপেক্টর মহিউদ্দিন আদালতে আবেদন করেন। গত ১৮ জুলাই এই রিমান্ডের শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও তারিখ পরিবর্তন করে গতকাল ২৪ জুলাই দিন ধার্য্য করা হয়। গতকাল এ শুনানি শেষে রিমা- না মঞ্জুর করেন আদালত।
    গত ৪ জুন চাঁদপুর শহরের ষোলঘর শেখ বাড়ি রোড এলাকায় অ্যাডঃ জহিরুল ইসলামের নিজ বাসায় তার প্রথম স্ত্রী ফরিদগঞ্জ গল্লাক আদর্শ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী শাহীন সুলতানা ফেন্সি খুন হন। ওই খুনের ঘটনায় পুলিশ হত্যাকা-ের পর সন্দেহভাজন হিসেবে ফেন্সির স্বামী অ্যাডঃ জহিরুল ইসলামকে আটক করে। একই হত্যাকা-ে অ্যাডঃ জহিরুল ইসলামের দ্বিতীয় স্ত্রী জুলেখা বেগম, তার ভগ্নিপতি ওয়ায়েছকুরুনি ও জুুলেখার চাচাতো ভাই রাকিবুল হাসানকে আটক করা হয়। এদেরকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে আবেদন করে একাধিকবার রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। গত বুধবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মহিউদ্দিন অ্যাডঃ জহিরুল ইসলাম ও রাকিবুল হাসানকে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্যে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ কায়সার মোশাররফ ইউসুফের আদালতে ৩ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।
    গত কদিন পূর্বে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সিআইডি পুলিশ যৌথভাবে জুলেখা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। বিজ্ঞ বিচারক জুলেখা বেগমের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তবে এখনো পর্যন্ত জুলেখা বেগমকে রিমান্ডে নেয়নি বলে জানা গেছে। অ্যাডঃ জহিরুল ইসলামের পক্ষে চাঁদপুর জেলা আইনজীবী সমিতির আইনজীবীগণ জামিনের আবেদন করায় মামলার কাগজপত্র জেলা জজ আদালতে রয়েছে। তা আগামী ২৯ জুলাই শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। অন্যদিকে আটক রাকিবুল হাসানের প্রবাস ফেরৎ অপর এক ভাইকে এই মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ওই অভিযুক্ত ছেলেটির ভাই ভাবীসহ তিনজনকে গত ৩ দিন ধরে তাদের আয়ত্তে এনে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করছে বলে জানা গেছে। অতঃপর সোমবার সন্ধ্যার পর ওই তিনজনকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ফেন্সি হত্যাকা-ের কোনো রহস্য উদ্ঘাটন করতে না পেরে ছেড়ে দিয়েছে।