দেশের অগ্রযাত্রা যেন থেমে না যায় : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ এখন নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ। এ দেশের সঙ্গে নিম্ন শব্দটি থাকতে পারে না। আমরা সমুদ্রের তলদেশ থেকে মহাকাশে পৌঁছে গেছি। এ অগ্রযাত্রা যেন থেমে না যায়। আমরা রাজনীতি করি কখনও ক্ষমতায় কখনও জেলখানায়। কিন্তু আপনারা থাকবেন। দেশকে এগিয়ে নেয়ার দায়িত্ব আপনাদের।
সোমবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত জনপ্রশাসন পদক ২০১৮ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ইসমত আরা সাদেক। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফয়েজ আহমদ। জাতীয় ও জেলা পর্যায়ে প্রশাসনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ, উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন ও অবদানের জন্য পুরস্কার প্রাপ্তদের হাতে পদক, সাটিফিকেট ও চেক তুলে দেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শ্রদ্ধা নিদর্শন স্বরূপ ক্রেস্ট প্রদান করেন প্রতিমন্ত্রী ইসমত আরা সাদেক।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করে এ দেশের উন্নয়ন থামিয়ে দেয়া হয়েছিল। দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র অপশাসন, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ দেশের উন্নয়ন অগ্রগতিকে থামিয়ে দিয়েছিল। ৭৫ পরবর্তীতে যারা ক্ষমতায় এসেছে তারা কখনই চায়নি এ দেশ উন্নত হোক।
২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে জাতিকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে শিখিয়েছে। আমরা ক্ষমতায় এসে জনগণের শাসক নয়, সেবক হয়ে কাজ করেছি। বঙ্গকন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমরা কাজ করছি। গ্রামকে ভিত্তি ধরে দেশের মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজ করছি। গ্রামে বসে মানুষ যেন শহরের সব সুযোগ-সুবিধা পায় সেভাবে পরিকল্পনা করে আমরা কাজ করছি।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়শীল দেশ হতে যে কয়টি ক্রায়টেরিয়া প্রয়োজন তার সবগুলো আমরা অর্জন করেছি। উন্নয়নশীল দেশের সনদ লাভ করেছি। ২০২৪ সাল পর্যন্ত এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। এখন আমরা ক্ষুধামুক্ত দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার আগে আমরা ঘোষণা করেছিলাম দেশ হবে ডিজিটাল বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করে প্রমাণ করেছি বালাদেশ এখন ডিজিটাল। ৭৫ এর পরে ২১ বছর যারা রাষ্ট্র চালিয়েছে তারা ভারতের সঙ্গে ল্যান্ডবাউন্ডারি, সমুদ্রসীমা, পানি চুক্তি কিছুই করেনি। আমরা ৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর পানি চুক্তি করেছি। এছাড়া পরবর্তিতে সমুদ্র সীমার সমাধান করেছি। সর্বশেষ বিনা রক্তপাতে সিটমহল বিনিময় করেছি।
শেখ হাসিনা বলেন, ঢাকাকে ঘিরে আমাদের অনেক পরিকল্পনা রয়েছে। ঢাকার চারপাশে এলিভিটেড রিং রোড হবে, রেললাইন হবে এবং নদী খনন করে ঢাকার চারপাশে নৌপথে যোগাযোগ চালু করা হবে।
সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, এ টার্মে আপনাদের সঙ্গে এটাই শেষ দেখা। আগামী ডিসেম্বরে নির্বাচন। জনগণ ভোট দিলে আছি না দিলে নেই। তবে বাংলাদেশকে যে উন্নয়নের মহাসড়কে তুলে দিয়েছি তার ভাগিদার আপনারাও। এ উন্নয়নের গতি যেন থেমে না যায় সেজন্য কাজের মাধ্যমে এ গতি অব্যাহত রাখতে হবে।
সূত্র : উত্তরাধিকার নিউজ