শেখ হাসিনাকে গণসংবর্ধনা: উন্নয়নের স্লোগানযুক্ত ব্যানার-ফেস্টুনে সেজেছে ঢাকা
সরকারের উন্নয়নের স্লোগান তুলে ধরে ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে ঢাকার রাজপথ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেওয়া গণসংবর্ধনা উপলক্ষে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে উন্নয়নের প্রচার করতে রাজধানীকে বেছে নেওয়া হয়েছে। সড়ক-মহাসড়কে লাগানো এসব বানার-ফেস্টুনে শেখ হাসিনার সরকারের বিভিন্ন অর্জনের কথা তুলে ধরা হয়েছে। অন্যদিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চিত্রশিল্পীরা শেখ হাসিনার বিভিন্ন বয়সের ১৬টি ছবি এঁকেছেন আজ শুক্রবার (২০ জুলাই)। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের গণসংবর্ধনার প্যান্ডেলে ছবিগুলো শোভা পাবে।
আজ শনিবার (২১ জুলাই) শেখ হাসিনাকে গণসংবর্ধনা দেওয়া হবে।
উন্নয়ন ও অর্জনে অসাধারণ অবদান রাখায় তথা মহাকাশে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের সফল উৎক্ষেপণ, বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ, অস্ট্রেলিয়ায় গ্লোবাল উইমেনস লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড এবং সর্বশেষ ভারতের কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিলিট ডিগ্রি অর্জন করায় তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে এ সংবর্ধনা দেওয়া হবে। গণসংবর্ধনায় দলের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনাকে সম্মাননাপত্র দেওয়া হবে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ সম্মাননাপত্র পাঠ করে প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেবেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের জন্য শেখ হাসিনার বিভিন্ন বয়সের ১৬টি ছবি এঁকেছেন চিত্রশিল্পীরা। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের জনসভা প্যান্ডেলে এসব ছবি শোভা পাবে।
ছবি আঁকা নিয়ে শুক্রবার সকাল থেকে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চিত্রশিল্পীদের ব্যস্ত সময় কাটাতে দেখা গেছে। তাদের রং-তুলির আঁচড়ে ফুটে উঠছে প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন বয়সের এই ছবিগুলো। চিত্রশিল্পী হাশেম খানের নেতৃত্বে ১৬ জন শিল্পী এ ছবিগুলো এঁকেছেন।
হাশেম খান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তির নেতৃত্ব দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন, বিশ্বসভায় দেশকে যেভাবে সম্মানিত করছেন তা অতুলনীয়, অসাধারণ। আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভালোবেসে ছবিগুলো আঁকছি।’
তিনি বলেন, ‘ছবি আঁকার ক্ষেত্রে চিত্রশিল্পীদের আমরা স্বাধীনতা দিয়েছি। তারা নিজের পছন্দমতো ছবি আঁকছেন। বিভিন্ন সময়ের বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রীর ছবি আঁকা হচ্ছে।’
ঢাকার বিভিন্ন সড়ক ছাড়াও গণসংবর্ধনা উপলক্ষে বিশেষভাবে সাজানো হয়েছে সংবর্ধনাস্থল সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। মৎস্য ভবন, শেরাটন মোড়, শাহবাগ, কাওরানবাজারসহ আশপাশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বিশ্বনেতৃবৃন্দের বড় আকারের বিভিন্ন ছবি রাস্তার পাশে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের পাশে দক্ষিণমুখী করে তৈরি করা হচ্ছে গণসংবর্ধনার মূল প্যান্ডেল। ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনের সড়ক থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সব প্রবেশমুখেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শেখ রেহানাসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের বড় আকারের ছবি শোভা পেয়েছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশের সব সড়কে তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। এসব তোরণে শেখ হাসিনার ছবি ও বিভিন্ন সেক্টরের উন্নয়নের কথা স্লোগানে-স্লোগানে তুলে ধরা হয়েছে। এসব তোরণে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের বিভিন্ন অর্জনের কথা তুলে ধরা হয়েছে।
এ সংবর্ধনাকে গতানুগতিক কোনও অনুষ্ঠান হিসেবে দেখছেন না আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। এ অনুষ্ঠান জনসভার আদলেও হবে না। এখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থাকবে, প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন অর্জনের কথা বিভিন্ন ব্যক্তিত্ব তাদের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে তুলে ধরবেন। প্রযুক্তি ব্যবহার করেও উন্নয়নের ভিডিওচিত্র অনুষ্ঠানে তুলে ধরা হবে। এছাড়া আওয়ামী লীগের প্রচার কমিটির পক্ষ থেকে সরকারের অর্জন ও উন্নয়ন সংবলিত একটি প্রকাশনা সবার হাতে তুলে দেওয়া হবে। মূল প্যান্ডেলে প্রত্যেক চেয়ারে একটি করে জাতীয় পতাকা থাকবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এটা গতানুগতিক কোনও অনুষ্ঠান নয়। গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি ব্যতিক্রম করে তুলতে চাই আমরা। এ অনুষ্ঠানে লাখ লাখ মানুষের সমাগম ঘটবে।’
সূত্র : বাংলা ট্রিবিউন