আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে সব গ্রাম শহর হবে: হাসিনা
তিনি বলেছেন, “এই বছরের ডিসেম্বর নির্বাচন হবে। আপনারা যদি নৌকা মার্কায় ভোট দেন আর আওয়ামী লীগ যদি সরকারে আসতে পারে, আমরা প্রত্যেকটা গ্রামের প্রতিটা জনগোষ্ঠী শহরের মতো সুবিধা পাবে এবং সুন্দরভাবে বাঁচবে। প্রতিটি গ্রামকে আমরা নগরে উন্নীত করব, শহরে উন্নীত করব।”
শনিবার পাবনা জেলা শহরে পুলিশ লাইন্স মাঠে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় ভাষণে একথা বলেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী।
দুপুরে পাবনায় গিয়ে রূপপুরে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর বিকালে জনসভাস্থলে উপস্থিত হয়ে পাবনার অর্ধশত উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন ও ভিত্তিস্থাপন করেন তিনি।
উন্নয়নের জন্য নৌকায় ভোট চেয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “আমরা প্রতি জেলায় জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় করে দিচ্ছি। ছেলেমেয়েদের শিক্ষার ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। কারণ শিক্ষা ছাড়া একটা জাতি কখনও উন্নতি করতে পারে না। আমরা সেই লক্ষ্য নিয়েই কাজ করি, দেশের উন্নয়নটা কীভাবে হয়।”
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের ‘সন্ত্রাস-দুর্নীতি’রও সমালোচনা করেন তিনি।
“বিএনপি-জামায়াতের কাজই দুর্নীতি, হত্যা, খুন, এতিমের টাকা মেরে খাওয়া। তারা ধ্বংস করতে জানে, দেশকে কিছু দিতে পারে না।”
মাদক-সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে অভিভাবক, শিক্ষক, ধর্মগুরুসহ সমাজের সবাইকে এক হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ লুটপাট আর নিজেদের ভাগ্য গড়তে আসেনি। আমরা আসি আপনাদের ভাগ্য গড়তে। দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ আমরা গড়তে চাই। জঙ্গিমুক্ত বাংলাদেশ আমরা গড়তে চাই। মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই।
“মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান করে যচ্ছি। আপনাদের কাছে সাহায্য চাই। মা-বোনেরা, ভাইয়েরা আছেন, মুক্তিযোদ্ধা ভাইয়েরা আছেন, শিক্ষক, মসজিদের ইমামসহ প্রত্যেকটা ধর্মের যারা আছেন তাদের কাছে আমার আবেদন থাকবে মাদক একটা পরিবারকে ধ্বংস করে দেয়।”
তরুণরা যেন বিপথে না যায়, সেজন্য তাদের উপর দৃষ্টি রাখতে অভিভাবকদের পাশাপাশি শিক্ষকদের প্রতিও আহ্বান জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মসজিদের ইমাম সাহেবসহ প্রত্যেক ধর্মের ধর্মগুরু যরা আছেন তাদের বলব, ইসলাম শান্তির ধর্ম। কেউ যেন জঙ্গীবাদ-সন্ত্রাসের দিকে না যায় সেদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দেবার জন্য এবং সকলকে এক হয়ে কাজ করার জন্য আমি আহ্বান জানাচ্ছি।”
শেখ হাসিনা তার সরকারের সময় অবকাঠামো উন্নয়ন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিসহ বিভিন্ন খাতের উন্নয়ন, কৃষকদের সহায়তা দেওয়া, কৃষি গবেষণায় গুরুত্ব দিয়ে নানা জাতের ফসলের ফলন ও জাত বাড়ানো এবং দুস্থ ও গরিবদের জন্য বিভিন্ন ধরনের সামাজিক সুরক্ষা দেওয়ার কথা তুলে ধরেন।
প্রায় অর্ধশত প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিস্থাপন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা পাবনাবাসীর জন্য তার ‘উপহার’। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে ভবিষ্যতে আরও উন্নয়ন কাজ হবে।
ভূমিমন্ত্রী ও পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর সভাপতিত্বে জনসভায় কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুর রাজ্জাক, দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, খালিদ মাহমুদ চৌধরী, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, এস এম কামাল ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক উপস্থিত ছিলেন।