• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

দিনভর ভারী বৃষ্টিপাতে চাঁদপুরে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা

প্রকাশ:  ২৫ জুন ২০১৮, ২১:২৩
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চলতি বর্ষা মৌসুমের প্রথম ভারি বর্ষণে হাটু পানিতে তলিয়ে গেছে চাঁদপুর শহরের বিস্তীর্ণ এলাকা। আজ সোমবার দিনভর এমন বৃষ্টির কারণে শহরের প্রধান সড়কগুলো- রহমতপুর কলোনি, নাজিরপাড়া, প্রফেসরপাড়া, ষোলঘরসহ আরো বেশ কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে চাঁদপুর শহরের নাগরিক জীবনে এক ধরনের দুর্ভোগ নেমে আসে। এতে অনেকেই প্রয়োজন ছাড়া বাসা-বাড়ি থেকে বের হননি। এমন বৃষ্টিপাতে চাঁদপুর সেচপ্রকল্প ও মেঘনা-ধনাগোদা সেচপ্রকল্প এলাকা জলাবদ্ধতার মুখে পড়েছে। 

এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শাহাবউদ্দিন জানান, ভারি বৃষ্টিপাতে জলাবদ্ধতার শিকার হয়েছে তাঁর কার্যালয়। নিচতলার ফ্লোর হাটু পানিতে ডুবে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রয়োজন ফাইলপত্র নিরাপদে তুলে রাখা হয়েছে। তবে পানি আটকে থাকার কারণে একদিকে যেমন দুর্ভোগ বেড়েছে, অন্যদিকে দাপ্তরিক কাজ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। 

শহরের চিত্রলেখা এলাকার বাসিন্দা লায়ন মাহমুদ হাসান খান জানান, তাঁর বাসার নিচতলা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। এতে বাসার আসবাবপত্রসহ অন্যান্য সামগ্রী পানিতে ভিজে নষ্ট হবার উপক্রম হয়েছে। 
অন্যদিকে চাঁদপুর হাসান আলী স্কুল খেলার মাঠসহ আশপাশে এখন হাটু পানি। এতে ওই এলাকার বাসিন্দাদের দুর্ভোগ বেড়েছে। 

অভিযোগ রয়েছে, মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্যের লেকে মাছ চাষের ইজারাদারদের অবৈধ বাঁধের কারণে পানি নিষ্কাষণ হচ্ছে না। একই সাথে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকার ড্রেনেজ ব্যবস্থাও ভেঙে পড়েছে। ফলে চাঁদপুর হাসান আলী স্কুল খেলার মাঠসহ আশপাশে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পাশের খালে নামতে পারছে না। অন্য এলাকায় অপরিকল্পিতভাবে নানা স্থাপনা নির্মাণের কারণে এবারের বর্ষার শুরুতে দুর্ভোগ পোহাতে হবে শহরের বাসিন্দাদের। 

এছাড়া টানা ভারি বর্ষণে চাঁদপুর সেচপ্রকল্প ও মেঘনা-ধনাগোদা সেচপ্রকল্প এলাকা জলাবদ্ধতার মুখে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে এমন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে সেখানে ভয়াবহ জলাবদ্ধতার শিকার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে কয়েক হাজার খামারের মাছ ভেসে যাবে বলে শংকিত খামারিরা।

অপরদিকে দিনভর বৃষ্টিপাতের কারণে চাঁদপুর-ঢাকা ও চাঁদপুর-নারায়ণগঞ্জ নৌপথে চলাচলকারী  লঞ্চে যাত্রী সংখ্যা কমে গেছে। তবে এখনো মেঘনা ও শাখা নদীগুলোতে পানি বিপদসীমার নিচ দিয়েই প্রবাহিত হচ্ছে। 

স্থানীয় আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মৌসুমি লঘুচাপের কারণে এমন ভারিবর্ষণ আরো কয়েকদিন চলবে। 

সর্বাধিক পঠিত