• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস উপলক্ষে

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধাঞ্জলি

প্রকাশ:  ০৭ জুন ২০১৮, ২২:৩০ | আপডেট : ০৭ জুন ২০১৮, ২৩:০৪
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
প্রিন্ট

 প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। রাজধানীর ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সন্মুখে রক্ষিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে প্রধানমন্ত্রী এই শ্রদ্ধা জানান।
জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণের পরে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি এই মহান নেতার প্রতি সম্মান জানানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন । দলের সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের নিয়ে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে আরেকটি ফুলেল শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন।
এ সময় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মুহম্মদ ফারুক খান এবং ড. আব্দুর রাজ্জাক, দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন এবং এনামুল হক শামীম এবং দপ্তর সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।
১৯৬৬ সালের ৭ জুন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ ৬-দফা দাবির পক্ষে এবং পূর্ব পাকিস্থানের স্বায়ত্বশাসনের দাবিতে দেশব্যাপী তীব্র গণআন্দোলনের সূচনা হয়।
বঙ্গবন্ধুর যাদুকরী নেতৃত্বের অধীনে আওয়ামী লগ পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সরকারের শোষণ-বঞ্চনা ও অধীনতা অবসানে স্বায়ত্তশাসনের দাবীতে ১৯৬৬ সালের ৭ জুন দিনব্যাপী হরতাল আহ্বান করে। আওয়ামী লীগের ডাকা এ হরতালে টঙ্গি, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে পুলিশ ও ইপিআর’র গুলিতে মনু মিয়া, শফিক ও শামসুল হকসহ ১১ জন বাঙালি শহীদ হন।
এরপর থেকেই বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আপোষহীন সংগ্রামের ধারায় ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের দিকে এগিয়ে যায় পরাধীন বাঙালি জাতি।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি তাসখন্দ চুক্তিকে কেন্দ্র করে লাহোরে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের সাবজেক্ট কমিটিতে ৬-দফা উত্থাপন করেন এবং পরের দিন সম্মেলনের আলোচ্যসূচিতে যাতে এটি স্থান পায় সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেন। কিন্তু এই সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুর এ দাবির প্রতি আয়োজকপক্ষ থেকে গুরুত্ব প্রদান করা হয়নি। তারা এ দাবি প্রত্যাখ্যান করে।
প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধু সম্মেলনে যোগ না দিয়ে লাহোরে অবস্থানকালেই ৬-দফা উত্থাপন করেন। এ নিয়ে পশ্চিম পাকিস্তানের বিভিন্ন খবরের কাগজে বঙ্গবন্ধুকে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা বলে চিহ্নিত করা হয়।