সরকার গণগ্রেফতার চালাচ্ছে: ফখরুল
বিএনপিতে গ্রেফতার আতঙ্ক
বিক্ষোভে পুলিশি বাধা গুলি টিয়ার শেল
জামায়াতে ইসলামীর আট শীর্ষ নেতাকে গ্রেফতার ও দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপি নেতাদের বাড়িতে অভিযানের পর আতঙ্ক চলছে দলের ভিতরে ও বাইরে। এর মধ্যে সামাজিক গণমাধ্যমে বিভিন্ন গুজব ছড়ানোর কারণে জামায়াত ও বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি গ্রুপকে শনাক্ত করেছে বিভিন্ন সংস্থা।
নতুন করে গুজব ছড়িয়ে সরকারকে অস্থির করার চেষ্টা করছে তারা। এদিকে গতকাল রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপির সমাবেশে পুলিশ বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে দলটি। তারা বলেছে, সারা দেশে বিএনপির বিক্ষোভে পুলিশি বাধা, সংঘর্ষ ও গুলির ঘটনা ঘটেছে। তবে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তারা বলছে, বিচ্ছিন্নভাবে আইনের শাসন বিঘ্নিত করায় এবং অনুমতি না থাকায় কিছু স্থানে বাধা দিলেও সংঘর্ষ হয়নি।
এদিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সারা দেশে বিএনপিসহ বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের পর্যুদস্ত করতে বর্তমান শাসকগোষ্ঠী অতিমাত্রায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। আমাদের যে কোনো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশি হামলা তথা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্লজ্জভাবে ব্যবহার চরমে উঠেছে। বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার হরণ করে দেশে একচ্ছত্র আধিপত্য বজার রাখতে চায় শাসকগোষ্ঠী। এ জন্য তারা কোনো গণতান্ত্রিক কর্মসূচিই বরদাশত করতে পারছে না।
বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার পাশাপাশি গণগ্রেফতার চালাচ্ছে। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ অভিযোগ করেন। বিবৃতিতে তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক হীন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে বিএনপি ঘোষিত সারা দেশে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ ও সরকারি দলের সন্ত্রাসীরা নগ্নভাবে হামলা চালিয়েছে। বেপরোয়া গুলিবর্ষণ আর বর্বরোচিত এ হামলায় অসংখ্য নেতা-কর্মীকে আহত ও গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে মির্জা ফখরুল অবিলম্বে গ্রেফতার নেতা-কর্মীদের মুক্তি দাবি করেন।
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, গতকালের এই হামলা ও গ্রেফতারের ঘটনা সারা দেশে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর চলমান আওয়ামী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও নিপীড়নেরই অবিচ্ছেদ্য অংশ। দমন-পীড়ন চালিয়ে জনগণের মৌলিক অধিকার হরণ এবং বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের ওপর ক্রমাগত জুলুম-নির্যাতনের ফলে দেশের মানুষ সর্বদা আতঙ্কিত জীবন-যাপন করছে। বর্তমান সরকারের অন্যায় ও জুলুম নির্যাতনের বিরুদ্ধে দেশবাসীর ঐক্যবদ্ধ হওয়া এখন অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে।
বিক্ষোভে পুলিশি বাধা-সংঘর্ষ : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ ১৪৮ জন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনকালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে শতাধিক আহত ও অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী গ্রেফতার হয়েছে। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ মিছিল বের করলে পুলিশি বাধার মুখে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়াসহ এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বিক্ষোভ কর্মসূচিতে পুলিশের হামলা, গুলি, টিয়ার শেল ও লাঠিচার্জসহ নেতা-কর্মীদের গ্রেফতারের অভিযোগ করেন।
তিনি জানান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির থানায় থানায় বিক্ষোভ মিছিল চলাকালে পুলিশ লাঠিচার্জ করে নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করে। কলাবাগানে বিএনপির নির্বাহী সদস্য শেখ রবিউল আলমের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল থেকে ইকবাল হোসেন টিটুসহ সাতজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান আশিক, আশরাফ ফারুক হীরা, আরাফাত বিল্লাহ খান, সাজিদ হাসান বাবু, কাজী শহিদুল, ইমরান, রাকিবুল ইসলাম, ইয়াসিন ভূইয়া, যুবদলের শোয়েব খান, রানা, মনির, ওমর ফারুক, বাবু, আবু সাঈদ, শাকিল আহমদ ও সাজ্জাদ মিয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা জুয়েল, মো. সুজন, মোস্তাক, সাইদুল, সুমন, দুলাল, উজ্জল, নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মোল্লা মোহাম্মদ শাখাওয়াত, মো. শাহজাহানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশের লাঠিচার্জে আহত হয়েছে শাহজাহানপুর স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা বাদল ও নিউমার্কেট থানার রিংকু। বাগেরহাট জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মোজাফফর আলম এবং সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ ইদ্রিশ আলী নিকারীকে আগের রাতে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। নোয়াখালীতে বিএনপি নেতা মো. পারভেজ, সোহেল, জাহিদ আলম বাপ্পি, ইয়াছিন, মহিউদ্দিন, বাবুল মেম্বার, কামাল উদ্দিন, মো. বাবলু, বাবু, অন্তর, কামরুল, সজীব, সোহেল, আবু তাহের মিঠু, মো. ফারুক, নোমান, জুয়েল, সামু, ইউছুফ, পাপ্পু, আবু সাদেক, জনি, বাবলু, বুলু, শামিম, রিয়াজুল ইসলাম, রাহাত, আকবর, নাসিম গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল হাসান শামসুকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে এবং মিছিলে টিয়ার শেল, লাঠিচার্জ এবং গুলি চালিয়েছে। এতে ৩০ জনের অধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ (দক্ষিণ) থানা বিএনপির নেতা মো. সিরাজুল ইসলামকে পুলিশ মিছিল থেকে গ্রেফতার করেছে এবং পুলিশের লাঠিচার্জ ও ক্ষমতাসীন দলের হামলায় ২৫ জনের অধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। রিজভী আহমেদ জানান, বরিশালে যুবদলের মিছিলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এ সময় ১৫ জন নেতা-কর্মী আহত ও সাতজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। লক্ষ্মীপুর জেলায় মিছিল থেকে ১৫ জন নেতা-কর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করে। ময়মনসিংহ উত্তর জেলার তারাকান্দায় পুলিশের লাঠিচার্জে ১০ জন আহত হন।
কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি আশরাফুল আলম আশরাফ, ছাত্রদল নেতা আনিসুর রহমান খোকন, সজীব সিকদার ও আলমগীরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও যুবদল নেতা সোহেল আহমেদসহ কয়েকজন নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন মোল্লা এবং শাজাহানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তিনি জানান, গতকাল সকাল থেকে রাজধানী ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে দলের নেতা-কর্মীরা। এ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ হয়েছে। সকাল ১০টার দিকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহানের নেতৃত্বে বিএনপির নেতা-কর্মীরা জেলা শহর মাইজদীতে বিক্ষোভ মিছিল বের করার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। পরে বেলা ১১টার দিকে পুনরায় শহরের রশিদ কলোনি এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল বের করলে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ছোড়ে। সংঘর্ষে ৩ পুলিশ সদস্য ও ১৭ নেতা-কর্মী আহত হন। এ সময় কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুরেরও ঘটনাও ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে জেলা যুবদলের সভাপতি মাহবুল আলম আলো ও সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ভিপি জসীম উদ্দিনসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। টাঙ্গাইলে বিক্ষোভ করেছে বিএনপি নেতা-কর্মীরা। গাইবান্ধায় পুলিশের বাধার মুখে পড়ে সংঘর্ষে কমপক্ষে পাঁচ নেতা-কর্মী আহত হয়। পুলিশি বাধায় পণ্ড হয়ে গেছে নওগাঁ জেলা বিএনপির মিছিল।
অন্যদিকে রাজশাহীতে মহানগর বিএনপির সভাপতি মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু।
সারা দেশে বিক্ষোভ : কুমিল্লা জেলা জজ আদালতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে গতকাল সারা দেশে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে দলটি। অনেক জেলায় মিছিলে পুলিশ বাধা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশের সঙ্গে নেতা-কর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও হাতাহাতি হয়েছে কোথাও কোথাও। চার জেলায় আটক করা হয়েছে ৩৯ জনকে।
নোয়াখালী : জেলা শহর মাইজদীর রশিদ কলোনির সামনে থেকে মিছিল বের করলে পুলিশের বাধায় পণ্ড হয়ে যায়। এ সময় পুলিশ ও নেতা-কর্মীদের ধাওয়া- পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বিএনপি কর্মীরা সদর থানার ওসির গাড়ি ভাঙচুর করে। পুলিশ পাল্টা রাবার বুলেট নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করলে আহত হন ১০ নেতা-কর্মী। আটক হন জেলা যুবদল নেতা মাহবুব আলগীর আলো, বিএনপির ভিপি জসিমসহ চারজন।
সিরাজগঞ্জ : শাহজাদপুরে বিএনপির মিছিল থেকে ১৩ নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে। পৌরসভার মনিরামপুর বাজার এলাকায় বিএনপির স্থানীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে গতকাল তাদের আটক করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, দুপুরে দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিল বের করার চেষ্টা করে বিএনপি নেতা-কর্মীরা। তারা উসকানিমূলক স্লোগান দিতে থাকে।
লক্ষ্মীপুর : জেলা শহরের উত্তর তেমহনী এলাকা থেকে মিছিল বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ শেষে আলিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে। এর আগে রবিবার রাতে পৌরশহরের পুরাতন পৌরসভার সামনে গোপন বৈঠক করার সময় যুবদল ও ছাত্রদলের ১৫ নেতা-কর্মীকে আটক করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রংপুর : নগরীর গ্র্যান্ড হোটেল মোড়ে দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিল বের করে জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতা-কর্মীরা। পুলিশি বাধায় সড়কে নামতেই পারেনি তারা। পরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করা হয়।
বরিশাল : সদর রোডের দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করে মহানগর বিএনপি। সমাবেশ শেষে মিছিল বের করার চেষ্টা করলে আটকে দেয় পুলিশ। এ সময় ধস্তাধস্তিতে আহত হন শরীফ তাছলিমা কালাম পলি ও শামীমা আকবরসহ তিনজন নারী।
গাইবান্ধা : নেতা-কর্মীরা দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিল বের করে সার্কুলার রোডের দাস বেকারির মোড়ের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় উভয়পক্ষে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পুলিশ টিয়ার শেল নিক্ষেপ করলে মিছিল পণ্ড হয়ে যায়। আটক করা হয় বিএনপি নেতা ছামছুল হাসানকে।
টাঙ্গাইল : শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে মিছিল এসে ভিক্টোরিয়া রোডের দলীয় কার্যালয়ে সমবেত হতে থাকে। সেখান থেকে মিছিল বের হতে চাইলে বাধা দেয় পুলিশ। ফলে সেখানেই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
নওগাঁ : দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিল বের হওয়ার সময় পুলিশ বাধা দেয়। পরে পুলিশি ব্যারিকেডের মধ্যে দলীয় অফিসের সামনে সমাবেশে বক্তৃতা করেন নেতারা।
লালমনিরহাট : মিছিল নিয়ে নেতা-কর্মীরা প্রধান সড়কের দিকে আসার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। ধস্তাধস্তির পর সেখানেই সমাবেশ করা হয়।
সুনামগঞ্জ : শহরের পুরাতন বাসস্টেশন থেকে মিছিল বের হয়ে ট্রাফিক পয়েন্ট এলাকায় এলে পুলিশ বাধা দেয়। বাধাস্থলে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন নেতা-কর্মীরা।
দিনাজপুর : বিরল হাসপাতাল রোড থেকে শুরু করে পৌর শহর প্রদক্ষিণকালে মিছিলটি পুলিশি বাধার মুখে পড়ে। এ সময় লাঠিচার্জ শুরু করলে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
কুড়িগ্রাম : পোস্ট অফিস পাড়া থেকে মিছিলটি বের হলে পুলিশ মিছিলে বাধা দেয়। পরে সেখানে সমাবেশ করা হয়।
ফরিদপুর : শহর বিএনপির উদ্যোগে স্থানীয় সদর হাসপাতালের সামনে থেকে মিছিল শুরু হয়ে প্রেস ক্লাবের সামনে গেলে সেখানে পুলিশ বাধা দেয়। পুলিশি বাধার মুখে মিছিলটি সেখানেই সংক্ষিপ্ত করে সমাবেশ করে।
ঠাকুরগাঁও : শহরের ফকিরপাড়া এলাকা থেকে ছাত্রদল মিছিল বের করে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। পরে পুলিশ তাদের কার্যালয়ের ভিতরে যেতে বাধ্য করে। রাঙামাটি : জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে সমাবেশে মিলিত হয় শত শত নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা। এ সময় পুলিশ এসে তাদের ঘিরে ফেলে। পরে সেখানেই পুলিশ বেষ্টনীর মধ্যে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। গাজীপুর : পুলিশের বাধায় বিক্ষোভ মিছিল করতে না পারলেও দলীয় কার্যালয়ে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা করেছে নেতা-কর্মীরা। রূপগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে জেলা ছাত্রদল নেতা অ্যাডভোকেট আমিরুল ইসলাম ইমন সমর্থিত রূপগঞ্জ ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক আবু মোহাম্মদ মাসুমের নেতৃত্বে কাঞ্চন ব্রিজ সংলগ্ন এশিয়ান হাইওয়ে এলাকায় এ বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। এ ছাড়া বগুড়া, ময়মনসিংহ, জামালপুর, নীলফামারী ও চাঁদপুর বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠন।
সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন