প্রধান বিচারপতির ছুটির আবেদনে প্রধানমন্ত্রী-আইনমন্ত্রীর স্বাক্ষর
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার ছুটির আবেদনে স্বাক্ষর করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বুধবার ওই আবেদনে স্বাক্ষরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন আইনমন্ত্রীর নিজস্ব সহকারী ড. মো. রেজাউল করিম। এখন নিয়ম অনুসারে ছুটির আবেদনটিতে রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর নিতে হবে। তবে রাষ্ট্রপতি ঢাকার বাইরে অবস্থান করায় তার স্বাক্ষর এই মুহূর্তে নেওয়া সম্ভব হবে না বলে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
তবে রাষ্ট্রপতি ঢাকায় ফিরে আবেদনে স্বাক্ষর করলেই প্রধান বিচারপতির বিদেশ যেতে কোনো বাধা থাকবে না বলেও জানান তিনি। প্রসঙ্গত, প্রধান বিচারপতির রোববার রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের এসকিউ-৪৪৭ ফ্লাইটে অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করার কথা। কিন্তু বিদেশ যাওয়া সংক্রান্ত চিঠি আইন মন্ত্রণালয়ে না যাওয়ায় সেদিন তার যাওয়া হয়নি।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ার ভিসা সেন্টারে গিয়ে ভিসার আবেদন করেন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা ও তার স্ত্রী সুষমা সিনহা। এরপর শনিবার প্রধান বিচারপতির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে তার হেয়ার রোডের বাসায় যান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সজল কৃষ্ণ ব্যানার্জি।
এদিকে মঙ্গলবার দুপুরে বিদেশ যাওয়ার বিষয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদকে অবহিত করে চিঠি দেন প্রধান বিচারপতি। নিয়ম অনুসারে প্রধান বিচারপতির পক্ষ থেকে দেওয়া রাষ্ট্রপতিকে অবহিতকরণ চিঠিটি আইন মন্ত্রণালয়ে পৌঁছে।
প্রসঙ্গত, প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা এক মাসের ছুটিতে গেলে গত ২ অক্টোবর রাত সাড়ে ১১টায় বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞাকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয়। অসুস্থতাজনিত কারণে রাষ্ট্রপতির কাছে ছুটি চান প্রধান বিচারপতি। ছুটির বিষয়টি আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তবে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির অভিযোগ, বিচারপতিদের অভিশংসন সংক্রান্ত সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করায় প্রধান বিচারপতিকে জোরপূর্বক ছুটিতে পাঠানো হচ্ছে। উল্লেখ্য, প্রধান বিচারপতির বড় মেয়ে সূচনা সিনহা দীর্ঘদিন অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করছেন। সেখানেই প্রধান বিচারপতি সস্ত্রীক অবস্থান করবেন বলে জানা গেছে। তার আরেক মেয়ে কানাডায় থাকেন।