• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

ওয়ানডেতে ভাগ্য পরিবর্তন চায় টাইগাররা

প্রকাশ:  ১১ অক্টোবর ২০১৭, ০২:০৪ | আপডেট : ১১ অক্টোবর ২০১৭, ০২:২৯
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রিন্ট

টেস্ট ক্রিকেটে ভিন্ন কন্ডিশন, উইকেট ও স্বাগতিক পেসার সামনে হতাশাজক পারফরম্যান্স দেখিয়েছে বাংলাদেশ। সেই দুঃস্মৃতি ভুলে সামনে তাকানোর পালা। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির ক্রিকেটে হতাশা কাটিয়ে ওঠার স্বপ্ন টাইগারদের। এ লক্ষ্যে নিজেদের ঝালিয়ে নিচ্ছেন তারা। সম্প্রতি ওয়ানডে ক্রিকেটে দারুণ খেলছে বাংলাদেশ। আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার কৃতিত্ব দেখিয়েছে। বিদেশের মাটিতে নিজেকে প্রমাণ করেছেন মাশরাফিরা। এ সাফল্যের ধারাবাহিকতা দক্ষিণ আফ্রিকা সফরেও ধরে রাখার চেষ্টায় থাকবেন তারা। মঙ্গলবার ইমরুল কায়েস এমনটাই বলেছেন। তিনি বলেন, অ্যাওয়েতে এসে ম্যাচ জেতা সম্ভব। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে আমরা ম্যাচ জেতা শুরু করেছি। এখানে ভালো একটা সিরিজ হবে। যদি আমরা ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি, ভালো একটা ফল হওয়া সম্ভব।

বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের সব মনোযোগ এখন ওয়ানডে ক্রিকেটের দিকে। ইমরুল বলেন, যেহেতু সামনে খেলা, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি আছে। সেগুলোর দিকেই আমাদের ফোকাস। টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে আমরা যেভাবে প্রত্যাশা করছিলাম, হয়তোবা সেভাবে করতে পারিনি। যেটা চলে গেছে, ওটা নিয়ে চিন্তা করে লাভ নেই। আসলে এখন ওয়ানডের দিকেই সবার ফোকাস। যেহেতু সাকিব, মাশরাফি ভাই সবাই চলে এসেছেন, টিমের ব্যালেন্স ভালো হয়ে গেছে। সবাই ওয়ানডের দিকে মনোযোগী।

টেস্ট ক্রিকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে বাজে পারফরম্যান্সের কারণ কন্ডিশন। এমন কন্ডিশনে খেলে অভ্যস্ত নয় বাংলাদেশ। ইমরুল জানালেন, আমরা যেমন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ খেলেছি, এখানে ভিন্ন কন্ডিশন। এ কন্ডিশনে আপনি যখন ধারাবাহিক সিরিজ খেলবেন, এসব বোলারের বিরুদ্ধে খেলবেন, তখন আপনি উন্নতি করবেন। আমার মনে হয়, এ সফর থেকে অনেক কিছুই শেখা গেছে, যেটা হয়তো ভবিষ্যতে কাজে দেবে। বাজে পারফরম্যান্সের সমালোচনা হলেও তাতে কান দেননি ক্রিকেটাররা। ইমরুলও ব্যতিক্রম নন। 

তিনি বলেন, অনেকে অনেক কথা বলে, কিন্তু যারা ক্রিকেট খেলে, আমরা যারা মাঠে খেলি, আমরা বুঝি আসলে বাস্তবিক জিনিসটা কী হচ্ছে। আমরা যতই ইনডোরে প্র্যাকটিস করি, ওই প্র্যাকটিস আর এখানে এসে এ উইকেটে প্র্যাকটিস দুইটা ভিন্ন জিনিস। আপনার পাঁচ দিন বা এক সপ্তাহ নেটে প্র্যাকটিস করে এখানে সব কিছু মানিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। আমার মনে হয়, এখানে অনেক বড় বড় টিম এসে অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। তার পরও আমাদের টিমে অনেক সিনিয়র ক্রিকেটার ছিল না। এ জন্য হয়তো একটা সমস্যা হয়েছে। টেস্ট ক্রিকেটের একজন সিনিয়র ক্রিকেটার থাকা মানে দলে ব্যালেন্স থাকে। তামিম খেলতে পারেননি, সাকিব ছিলেন না। আমার মনে হয় যে এ সফরে অনেকে অনেক কিছুই শিখেছে।

উৎসাহ ও অনুপ্রেরণার আরেক নাম মাশরাফি। তিনি দলে থাকা মানেই ক্রিকেটারদের মধ্যে চাঙ্গা মনোভাব।ইমরুলও তা-ই মনে করেন। বলেন, মাশরাফি ভাই থাকলে আমরা সবাই একসঙ্গে উপভোগ করি। তিনি অনেক মজা করেন। যার জন্য হয়তোবা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের যে চাপটা, সেটা অনেক সময় আমরা বুঝতে পারি না। এটা অবশ্যই একটা পজিটিভ জিনিস। উনি এসে সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে যে মোটিভেট করেন, এটা অবশ্যই অনেক বড় জিনিস।

টেস্ট সিরিজ হারের হতাশা ভুলে সামনে চোখ টাইগারদের। ইমরুল বলেন, এখানে আমাদের বা উপমহাদেশের দলগুলোর এসে ভালো করা খুব কঠিন। আমরা চেষ্টা করেছি মানিয়ে নেওয়ার। টেস্ট ক্রিকেট অবশ্যই কঠিন। তবে ওয়ানডেতে ভালো একটা খেলা হবে। ওয়ানডেতে ভালো পারফরম্যান্স করবে বাংলাদেশ- এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করে ইমরুল বলেন, স্কিলের দিক থেকে আমাদের দলের সবাই ভালো। আগের চেয়ে অনেক ভালো। সব শটই খেলতে পারে সবাই। বড় ইনিংসও খেলতে পারে। ওদিক দিয়ে কোনো সমস্যা নেই। আপনারা দেখেছেন, ওরা যে পরিকল্পনা করে বোলিং করে, যে বাউন্স দেয়, আমাদের দেশে চাইলেও তেমন করতে পারবে না। ওরা এক জায়গায় বোলিং করতে থাকে। 

যখন এক জায়গায় বোলিং করতে থাকে, তখন ব্যাটসম্যান উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে, এখান থেকে সারভাইভ করতে হবে। এই স্কিলগুলো ওদের অনেক ভালো। এ সফর থেকে অনেকে অনেক কিছু শিখেছে, পরে যখন এ ধরনের কন্ডিশনে খেলা হবে, আগে থেকে টেকনিক্যালি বলব না, মানসিকভাবে অনেক তৈরি থাকবে। তিনি আরও বলেন, ওয়ানডেতে ওরা রান বেশি করতে চাইবে। রান বেশি করার জন্য ফ্ল্যাট ট্র্যাক বানাতে পারে। তার ওপর নির্ভর করবে খেলাটা কেমন হবে।

টেস্টে আপনি উইকেটে থিতু হয়েও আউট হয়েছেন ইমরুল। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আপনি ওয়ানডেতে চাইলে অনেক কিছু করতে পারেন। থিতু হয়ে গেলে ইচ্ছামতো রান বের করতে পারেন। টেস্ট ক্রিকেটে চাইলেও আপনি ইচ্ছামতো রান বের করতে পারবেন না। যেদিকে শট খেলতে চাইবেন সেদিকে ফিল্ডার রাখে। সেখানে আউট হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। ওয়ানডেতে বোলার চিন্তা করে ডট বল করার বা নিজের বোলিং ফিগারটা ভালো রাখার। 

ব্যাটসম্যানরা চেষ্টা করে রান করার। এ জন্য ব্যাটসম্যান-বোলার উভয়েরই সংগ্রাম করতে হয়। আমার মনে হয়, টেস্টে বোলারদের অনেক সুযোগ থাকে ব্যাটসম্যানদের আউট করার জন্য। ওয়ানডেতে এটা ভিন্ন হবে।

সর্বাধিক পঠিত