বি. চৌধুরীর ৮৭তম জন্মদিন আজ
দেশের খ্যাতিমান চিকিৎসক, প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক এ.কিউ.এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী ৮৮ বছরে পা রাখলেন। বুধবার তার ৮৭তম জন্মদিন। বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী বি. চৌধুরী ১৯৩০ সালের ১১ অক্টোবর কুমিল্লা শহরে নানাবাড়িতে (প্রখ্যাত মুন্সেফ বাড়ি) জন্ম গ্রহণ করেন।
সাবেক এই রাষ্ট্রপতির পিতা অ্যাডভোকেট কফিল উদ্দিন চৌধুরী কৃষক-প্রজা পার্টির সহ-সভাপতি,যুক্তফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক ও তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর থানার মজিদপুর দয়হাটা গ্রামে।
বদরুদ্দোজা চৌধুরী একজন কৃতি ছাত্র। ১৯৪৭ সালে ঢাকার সেন্ট গ্রেগরি স্কুল থেকে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিকুলেশন এবং ১৯৪৯ ঢাকা কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে আইএসসি পাস করেন। তিনি ১৯৫৪-৫৫ সালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি সব পরীক্ষাতেই মেধা তালিকায় ছিলেন।
বি.চৌধুরী যুক্তরাজ্যের রয়েল কলেজ অব ফিজিশিয়ানস, এডিনবার্গ ও গ্লাসগো-এই তিনটি কলেজের নির্বাচিত ফেলো-এফআরসিপি এবং বাংলাদেশের (সম্মানিত) এফসিপিএস। তিনি রোগ বিজ্ঞানে দেশের একজন শীর্ষ অধ্যাপক, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং রোগ বিজ্ঞান বিষয়ে টেলিভিশন অনুষ্ঠানের জনপ্রিয় উপস্থাপক। সফল পার্লামেন্টারিয়ান বি. চৌধুরী জাতিসংঘে তিন বার বক্তৃতা দেন। তিনি স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিত্ব এবং বহু গ্রন্থের প্রণেতা।
সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের অনুরোধে বি. চৌধুরী ১৯৭৮ সালে রাজনীতি শুরু করেন। তিনি মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর থেকে ১৯৭৯ সালে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং কেবিনেট মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯১ সালে তিনি দ্বিতীয় বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং প্রথমে শিক্ষামন্ত্রী ও পরে সংসদ উপনেতা হন। ১৯৯৬ সালে তিনি সংসদে বিরোধী দলীয় উপনেতার দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ ২০০১ সালে তিনি পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ওই বছরের অক্টোরব থেকে নভেম্বর পর্যন্ত তিনি ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বি. চৌধুরী ২০০১ সালের ১৪ নভেম্বর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।
রাজনৈতিক কারণে ২০০২ সালের ২১ জুন রাষ্ট্রপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন। তিনি ২০০৪ সালের ৮মে বিকল্পধারা বাংলাদেশ নামে রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে তিনি দলটির প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছেন।
বি. চৌধুরীর স্ত্রী হাসিনা ওয়ার্দা চৌধুরী। অধ্যাপক চৌধুরী দুই মেয়ে এবং এক ছেলের জনক। তার বড় মেয়ে মুনা চৌধুরী পেশায় ব্যারিস্টার। ছোট মেয়ে শায়লা শারমিন চৌধুরী পেশায় চিকিৎসক। তিনি ঢাকার উত্তরা মহিলা মেডিক্যাল কলেজে অধ্যাপনা করেন। একমাত্র ছেলে মাহী বি. চৌধুরী রাজনীতিবিদ,সাবেক সংসদ সদস্য এবং মিডিয়া ব্যক্তিত্ব।
বি. চৌধুরীর জন্মদিন উপলক্ষে বুধবার সন্ধ্যা ছয়টায় কুড়িল বিশ্বরোডের দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। এতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।