মন্দির থেকে পুরোহিত ও তাঁর স্ত্রীর লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায় একটি মন্দির থেকে এক পুরোহিত ও তাঁর স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে ‘মা মগেদশ্বরী’ মন্দির থেকে পুলিশ ওই দম্পতির লাশ উদ্ধার করে। পুরোহিতের নাম স্বপন দে (৬০), তাঁর স্ত্রী চিনু রানী (৪৭)। এলাকাবাসীর ধারণা, স্বপন দে স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়েছিলেন। ওই দেনা শোধ করতে না পারায় তাঁরা আত্মহত্যা করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, পারিপার্শ্বিক অবস্থা থেকে তাদের ধারণা, ওই দম্পতি বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন।
এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, স্বপন দে ও তাঁর স্ত্রী চিনু রানী প্রায় ১০-১২ বছর আগে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলা থেকে সাতকানিয়া উপজেলার পুরানগড় ইউনিয়নের ফকিরখিল গ্রামে আসেন। স্বপন দে প্রথমে দিনমজুরের কাজ করতেন। পরে তিনি নিজেকে এলাকায় পুরোহিত বা সাধু পরিচয় দিয়ে একটি মন্দির প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় মা মগেদশ্বরী নামের একটি মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। ওই দম্পতি মন্দিরটিতেই বাস করতেন। এর মধ্যে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে স্বপনের সুসম্পর্ক তৈরি হয়। স্বপন বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে টাকা ধার নেন। এই দেনা শোধ করতে না পারায় স্ত্রীকে নিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে স্থানীয় লোকজন ধারণা করছেন।
পুলিশ জানায়,সকালে স্থানীয় এক বাসিন্দা মন্দিরে পূজা দিতে গিয়ে শোয়ার ঘরের মেঝেতে ওই দম্পতিকে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে তিনি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের জানান। পরে পুলিশ খবর পেয়ে দুপুর ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। ওই দম্পতির বিষ্ণু দে নামের এক ছেলে রয়েছে। বিষ্ণু চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে বাস করেন।
পুরানগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আ ক ম মাহবুবুল হক শিকদার বলেন, তাঁরা স্থানীয় বাসিন্দাদের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান। গিয়ে পুলিশকে খবর দেন। সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, লাশ দুটি মুখে ফেনা ছিল। এ ছাড়া পারিপার্শ্বিক অন্যান্য অবস্থা দেখে তাঁরা ধারণা করছেন, বিষপানে ওই দম্পতি আত্মহত্যা করেছেন।