কর্মকর্তাদের জন্য অস্ত্র চায় এনবিআর
ঝুঁকিপূর্ণ পদে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরাপত্তার স্বার্থে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে অন্ত্র চায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় এনবিআর সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত নিরাপত্তা বিষয়ক অংশীদারিত্বমূলক সংলাপে এই প্রস্তাবনা দেয়া হয়। এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধে বলা হয়, নিরাপত্তার স্বার্থে এনবিআরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিয়ে সক্ষমতা বাড়ানো দরকার। এরপর ঝুঁকিপূর্ণ পদে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রাতিষ্ঠানিকভাবে অস্ত্র সরবরাহ করা দরকার। অনুষ্ঠানে আরও বলা হয়, এজন্য বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে অংশীদারিত্ব আরও জোরদার করা যেতে পারে।
এছাড়া নিরাপত্তা বাহিনী তৈরিরও প্রস্তাব দেয়া হয় সংলাপে। এ প্রস্তাবনায় বলা হয়, ডেপুটেশনে অন্যান্য বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে সশস্ত্র ফোর্স গঠন করা হবে। একই সঙ্গে স্থায়ীভাবে নিজস্ব রাজস্ব সশস্ত্র ‘রেভিনিউ ফোর্স’ গঠন করতে হবে।অনুষ্ঠানের শুরুতেই বক্তব্য রাখেন এমএ মান্নান। তিনি জোরপূর্বক ও ভয়ভীতি না দেখিয়ে সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে কর আদায় করার পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, নিরাপত্তার দরকার আছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে এটা যেন আবার ভীতির কারণ না হয়। কর আদায় করতে হবে, একই সঙ্গে সবার মনও জয় করতে হবে। অ্যাডিশনাল আইজি মোখলেসুর রহমান বলেন, নিরাপত্তার জন্য ফোর্স গঠন করা যেতে পারে। এজন্য কম্পোজিট ফোর্সের দরকার নেই। একক বাহিনী করা যেতে পারে।
অনুষ্ঠানে পুলিশ, নৌবাহিনী, বিজিবি, আনসার, মাদক বিভাগ, ফায়ার সার্ভিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অন্য বক্তারা বলেন, আলাদা বাহিনী করার আগে ভাবতে হবে। এর চেয়ে পুলিশের আলাদা ইউনিট করা যেতে পারে। যে ট্যুরিস্ট পুলিশ, শিল্প পুলিশ দেয়া হয়েছে।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, রাজস্ব দেশের উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি। রাজস্ব আদায়ে এনবিআর সব সময় সৌহার্দপূর্ণ আচরণ করে আসছে। কিন্তু কিছু দুষ্ট করদাতা রয়েছেন, তাদের জন্য অনেক সময় এনবিআর কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা হুমকির মধ্যে পড়ে। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই এনবিআরেরর জন্য আলাদা বাহিনী করার চিন্তা করা হয়েছে। এজন্য সবার সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে।