• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

মিয়ানমারের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াচ্ছে রাশিয়া

প্রকাশ:  ১০ অক্টোবর ২০১৭, ১৫:০৩
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট

মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও অংশীদারিত্ব বাড়াতে একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে রাশিয়া। দুই দেশের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতাবিষয়ক রাশিয়া-মিয়ানমার আন্তঃসরকার কমিশনের (আরএমআইসি) মাঝে মস্কোতে এই চুক্তি সাক্ষর হয়েছে।

রাশিয়া কমিশনের চেয়ারম্যান ও দেশটির মন্ত্রী মাকসিম ওরেশকিন এবং মিয়ানমারের পরিকল্পনা ও অর্থায়নবিষয়ক মন্ত্রী ইউ কিয়াও উইন ইয়াঙ্গুনে রাশিয়ার একটি বাণিজ্যিক প্রতিনিধি অফিস চালুর লক্ষ্যে ওই চুক্তি সই করেন।

গত ২৫ আগস্ট রাখাইনে পুলিশি তল্লাশি চৌকিতে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের হামলার জেরে দেশটির সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা বিরুদ্ধে মিয়ানমার সেনাবাহিনী কঠোর অভিযান শুরু করে। সেনা অভিযানে ৫ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন। সেনাবাহিনীর রোহিঙ্গাবিরোধী এই অভিযান ঘিরে আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে রয়েছে মিয়ানমার।

সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে রোহিঙ্গা নিধন নিয়ে অনুষ্ঠিত বিতর্কে মিয়ানমারের পক্ষ নেয় রাশিয়া। রাশিয়ার পথ ধরে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সঙ্কটকে অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে সাফাই গায় প্রতিবেশি চীনও।

গত মাসে মস্কোতে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে দুই দেশের প্রতিনিধিরা বাণিজ্যবিষয়ক এই চুক্তিতে সাক্ষর করেন। বৈঠকে ওরেশকিন গত বছর দুই দেশের মাঝে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য দ্বিগুণ হয়েছে বলে জানান।

রুশ দূতাবাস বলছে, গত বছর রাশিয়া-মিয়ানমারের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ১৫৮ দশমিক ৩ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছায়; যা আগের বছরের চেয়ে প্রায় ১০০ শতাংশ বেশি। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত ১৩৮ দশমিক ৯ মিলিয়ন ডলার বাণিজ্য হয়েছে; যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

মিয়ানমারে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত নিকোলে লিসতোপাদভ বলেন, পারস্পরিক সহযোগিতার প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে আগামী তিন বছরে বার্ষিক দ্বিপাক্ষিক লেনদেন ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে বৃদ্ধি করা। তিনি বলেন, লক্ষ্য পূরণে ইয়াঙ্গুনে রুশ বাণিজ্যিক কার্যালয় চারটি চ্যানেল ব্যবহার করবে।

জার্মানির ইউনিভার্সিটি অব রোস্টকের সহযোগী অধ্যাপক ড. লুডমিলা লুটজ-অরাস বলেন, রাশিয়া এশিয়ায় মিয়ানমারকে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে মনে করে। আসিয়ানভূক্ত দেশগুলোর মধ্যে রাশিয়ার উপস্থিতি সম্প্রসারণ করাই এর মূল লক্ষ্য।

তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক স্তরে নিজেদের অবস্থান জানতে মিয়ানমারের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা রাশিয়ার জন্য একটি ভালো সুযোগ। নাইপিদোর উন্নয়নে বেইজিং, নয়াদিল্লি ও ওয়াশিংটনের সঙ্গে মিয়ানমারের সম্পর্কে নতুন ভারসাম্যপূর্ণ ভূমিকা রাখছে রাশিয়া।

সূত্র: দ্য মিয়ানমার টাইমস।