• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

মিয়ানমারে আরসা’র অস্ত্র বিরতির মেয়াদ শেষ

প্রকাশ:  ১০ অক্টোবর ২০১৭, ১০:৪৩ | আপডেট : ১০ অক্টোবর ২০১৭, ১০:৪৭
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট

মিয়ানমারের রোহিঙ্গা বিদ্রোহী সংগঠন আরসা (Arakan Rohingya Salvation Army)’র এক মাসের অস্ত্র বিরতির মেয়াদ সোমবার শেষ হয়েছে। মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ স্বীকার করেছে, এই সময়ের মধ্যে রাখাইনে কোনো ধরনের জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেনি। যদিও জঙ্গি দমন অভিযানের নামে সু চি সরকার রোহিঙ্গাদের বিতারিত করার প্রক্রিয়া ঠিকই চলামন রেখেছে।

নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের ত্রাণ সহায়তার সুবিধার্থে গত ১০ সেপ্টেম্বর এক মাসের অস্ত্র বিরতির ঘোষণা দেয় বিদ্রোহী সংগঠন আরসা। সংগঠনটির ঘোষিত এই সময়সীমা সোমবার শেষ হয়। মিয়ানমার সরকার অবশ্য ওই অস্ত্র বিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে।

গত ২৪ আগস্ট আরসা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের একাধিক সেনা চৌকিতে হামলা চালায়। জবাবে ওই রাজ্যে জঙ্গি বিরোধী অভিযানের নামে রোহিঙ্গা নিধন শুরু করে দেশটির সেনাবাহিনী। হত্যা করা হয় ৫ সহস্রাধিক রোহিঙ্গাকে। জ্বালিয়ে দেয়া হয় রোহিঙ্গাদের সবগুলো গ্রাম।

এমন অবস্থায় হত্যা, নির্যাতন ও ধর্ষণ থেকে বাঁচতে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে সাড়ে ৫ লাখ মানুষ। মিয়ানমার সরকারের দাবি, জঙ্গি বিরোধী অভিযানের ফলে চলমান সহিংসতায় মোটের উপর ৫শ’ জন প্রাণ হারিয়েছে। কিন্তু জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থার দাবি, এই সংখ্যা ৫ হাজারেরও বেশি।

রোহিঙ্গাদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে সংগঠিত বিদ্রোহী দল আরসা রাখাইনে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর উপর চোরাগোপ্তা হামলা চালালেও তেমন একটা দাগ কাটতে পারেনি। বিশ্লেষকদের মতে, বরং হামলার মাধ্যমে মিয়ানমার সরকারকে রোহিঙ্গা নিধনে উস্কানি দিতে সাহায্য করেছে দুর্বল এই সংগঠনটি।

গত ২৪ আগস্টে হামলার পর মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা যেভাবে ঢেলে সাজিয়েছে, তাতে অস্ত্র বিরতি ঘোষণার মাধ্যমে আরসা নিজেদের মান বাঁচিয়েছে বলেই নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের কেউ কেউ মনে করেন।

আরসা’ অস্ত্র বিরতি’র সময় সীমা শেষ হওয়ায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্য সরকারের মুখপাত্র মিন আং। মঙ্গলবার সাংবাদিকদের তিনি জানান, ‘নিরাপত্তা বাহিনীর উপর আরসা হামলা চালাতে পারে বলে তথ্য থাকলেও তা বাস্তবে ফলেনি। তবে হামলা হলে মিয়ানমার বাহিনী সমুচিত জবাব দেবে।’

সর্বাধিক পঠিত