সুবহান, আজহার ও কায়সারের আপিল শুনানি ২১ নভেম্বর
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর সিনিয়র নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য মাওলানা আব্দুস সুবহান, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম এবং জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতা সাবেক কৃষি প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের আপিল শুনানি পিছিয়ে আগামী ২১ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।
মঙ্গলবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞার নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্যের আপিল বেঞ্চ এই দিন ধার্য করেন। আদালতে সুবহান ও আজাহারের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন এবং শিশির মুনির। আর কায়সারের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এসএম শাজাহান। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
মঙ্গলবার নির্ধারিত দিন হিসেবে মামলার শুনানির কথা থাকলেও আসামিপক্ষের সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন দেশের বাইরে থাকায় শুনানি করতে সময় লাগবে জানিয়ে ৮ সপ্তাহের সময় আবেদন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। পরে আদালত তাদের ৬ সপ্তাহের সময় মঞ্জুর করেন।
এর আগে দীর্ঘ এক বছরেরও বেশি সময় পর শুনানির জন্য আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় আসে এই আসামিদের মামলাগুলো। ২০১৫ সালের ১৮ মার্চ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আব্দুস সুবহানের খালাস চেয়ে আপিল আবেদন করেন। আর ওই বছরের ২৮ জানুয়ারি এটিএম আজহারুল ইসলামের খালাস চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করা হয়।
২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় এটিএম আজহারকে ফাঁসির দণ্ড দেন।
২০১২ সালের ২২ আগস্ট মগবাজারের বাসা থেকে এটিএম আজহারুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। অন্যদিকে ২০১৫ সালের ১৯ জানুয়ারি মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসির দণ্ডাপ্রাপ্ত জাতীয় পার্টির নেতা ও এরশাদ আমলের কৃষি প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার বেকসুর খালাসের আরজি জানিয়ে আপিল দায়ের করেন। আপিল আবেদনে ফাঁসির দণ্ড বাতিলের পক্ষে মোট ৫৬টি কারণ দেখানো হয়।