• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

চট্টগ্রামে স্মরণসভায় ওবায়দুল কাদের

মওদুদের মুখে ‘জাল’ কথাটি ভূতের মুখে রাম-নাম: কাদের

প্রকাশ:  ১০ অক্টোবর ২০১৭, ০১:৪৩ | আপডেট : ১০ অক্টোবর ২০১৭, ১৯:১২
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কোনো ইস্যুতে জনগণের সাড়া না পেয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডনে বসে ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত করছেন। তাঁরা যে ষড়যন্ত্রের জাল বুনছেন তা জাতি জানতে চায়। আওয়ামী লীগের প্রয়াত সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আতাউর রহমান খান কায়সারের স্মরণে এক সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেওয়ার সময় ওবায়দুল কাদের এই মন্তব্য করেন। সোমবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ যৌথভাবে মুসলিম ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এই স্মরণসভার আয়োজন করে। ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘মা-ছেলের (খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান) এই ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের তদন্ত করতে ব্রিটেনের গোয়েন্দা সংস্থা এমআই-৫, এম আই-৬ ও স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। দেশে বন্যা ও রোহিঙ্গা সংকটের মধ্যে মানুষের পাশে নেই খালেদা জিয়া। অথচ বিদেশ থেকে কখন মহারানি (খালেদা জিয়া) বিজয়ী বেশে আসবেন, এসে হারানো সিংহাসনে বসবেন-সেই আশায় প্রহর গুনছেন।’ ওবায়দুল কাদের বলেন, খালেদা জিয়া দেশে নেই চার মাস। তাই নেতা-কর্মীরা হতাশ। আর মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও চট্টগ্রামের কয়েকজন নেতা ফটোসেশন করে বেড়াচ্ছেন। কিছু না পেয়ে ফখরুল ইসলাম মাঝে মাঝে কেঁদে ফেলেন। কাঁদতে কাঁদতে তিনি চোখের পানি শুকিয়ে ফেলেছেন। ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, প্রধান বিচারপতি ক্যানসারে ভুগছেন। তিনি ছুটি নিয়েছেন। এখন বলা হচ্ছে তাঁর স্বাক্ষর নাকি জাল। কে বলছেন? বিএনপি নেতা মওদুদ আহমেদ। আসলে মওদুদের জীবনটাই জাল। তিনি বাড়ি আত্মসাৎ করতে গিয়ে যে কাগজপত্র জমা দিয়েছেন তা জাল বলে আদালত বলেছেন। মওদুদের মুখে ‘জাল’ কথাটি ভূতের মুখে রাম-নাম। আতাউর রহমান খান কায়সারকে সর্বজন শ্রদ্ধেয় নেতা অভিহিত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাঁর বহুমুখী প্রতিভা ছিল। তিনি হিংসার রাজনীতি ঘৃণা করতেন। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ, দুই সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক ও মহিবুল হাসান চৌধুরী, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালাম, দুই নারী সাংসদ ওয়াশিকা আয়েশা খানম ও সাবিহা মুসা প্রমুখ বক্তব্য দেন। হাছান মাহমুদ বলেন, যুগে যুগে বহু নেতা বেইমানি করেছেন। কিন্তু এক-এগারোর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দুই নেত্রীকে বাদ দেওয়ার ষড়যন্ত্রের সময় আতাউর রহমান খান বলেছিলেন, ‘নো হাসিনা, নো আওয়ামী লীগ।’ এনামুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগ প্রশ্নে আতাউর রহমান খান কোনো দিন আপস করেননি। তিনি দুঃসময়ে আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ করে রেখেছিলেন। মোছলেম উদ্দিন আহমেদ বলেন, আখতারুজ্জামান চৌধুরী একটি মামলার আসামি হয়ে ভারতে চলে যান। তখন এই মামলার প্রত্যাহারের দাবিতে ডাকা সব কর্মসূচিতে আতাউর রহমান খান উপস্থিত থাকতেন। আসলে তিনি গ্রুপিংয়ের রাজনীতিতে বিশ্বাসী ছিলেন না। টানেল এলাকা পরিদর্শন : সোমবার দুপুরে পতেঙ্গায় কর্ণফুলীর তলদেশে নির্মাণাধীন টানেল এলাকা পরিদর্শন করেছেন ওবায়দুল কাদের। তিনি এ সময় সাংবাদিকদের বলেন, টানেল নির্মাণে চীন থেকে অর্থ ছাড় নিয়ে জটিলতা নেই। বিদেশি ঋণের অর্থছাড়ে কিছু প্রক্রিয়া থাকে। সেই প্রক্রিয়া চলছে। এ ব্যাপারে যে সমস্যা মনে করা হচ্ছে, এমন কোনো সমস্যা আমরা মোকাবিলা করছি না। তবে হলি আর্টিজানে হামলার পর থেকে আমাদের বিদেশি প্রকল্প কিছুটা ধীর হয়ে গিয়েছিল। সংগত কারণে পরামর্শক তাঁদের জীবনের নিরাপত্তার কথা বলেছেন। মেট্রোরেলেও সমস্যা হয়েছিল। এখন কাজ চলছে। টানেলের কাজও চলছে। ওবায়দুল কাদের বলেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযানের মুখে জীবন বাঁচাতে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে এসেছে। তাদের আমরা মানবিক সাহায্য করছি। তাদের ফেরত পাঠানো সরকারের মূল লক্ষ্য। রোহিঙ্গারা যাতে অপরাধী চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে না পড়ে সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। জাতিসংঘের মাধ্যমে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হবে।

সর্বাধিক পঠিত