• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

ঘিরে রাখা বাড়িটি থেকে একের পর এক বিস্ফোরণের শব্দ

প্রকাশ:  ০৯ অক্টোবর ২০১৭, ১৭:৫৫
যশোর প্রতিনিধি
প্রিন্ট

যশোর শহরের যে বাড়িটিতে পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে, সেখান থেকে একের পর এক বিস্ফোরণের শব্দ আসছে। পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান বলছেন, ফ্ল্যাটটিতে রাখা বোমা নিষ্ক্রিয় করছেন পুলিশের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট। প্রথম বিস্ফোরণটি হয় বিকেল চারটা ৪০ মিনিটে। এর প্রায় ১৬ মিনিট পর দ্বিতীয়বার বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। চারটা ৫৪ মিনিটে আরেকবার শব্দ শোনা যায়।

পুলিশ সুপার বলছেন, বাড়িটিতে যত বোমা আছে, তা সবই নিক্রিয় করা হবে। এর জন্য কত সময় লাগবে, তা তিনি নিশ্চিত নন। সংবাদকর্মীরা বাড়িটি  থেকে প্রায় ১০০ মিটার দূরে অবস্থান করছেন। ফলে বাড়িটিতে ঠিক কী ঘটছে, তা তারা নিশ্চিত হতে পারছেন না। তবে খাদিজা ও তার তিন শিশুসন্তানকে পুলিশ নিয়ে যাওয়ার পর পরই বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য বাড়িটিতে ঢোকে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা সংবাদকর্মীরা নিশ্চিত করেছেন।

এর ঘিরে রাখা বাড়িটিতে অবস্থান করা নারী খাদিজা তার তিনটি শিশু সন্তান নিয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। এরই মধ্যে সংবাদকর্মীদের কাছে একটি ছবি আসে, যেখানে এক নারী ও তিনটি শিশুকে জানালার গ্রিল ধরে দাড়িয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে। ছবিতে ওই নারীকে খুবই চিন্তিত এবং তার শিশু সন্তানদের বিষণ্ন মনে হয়েছে সংবাদকর্মীদের কাছে। ছবিতে পাওয়া নারীই হলেন খাদিজা; আর শিশু তিনটি তার সন্তান। বিকেল সোয়া তিনটার দিকে খাদিজা আত্মসমর্পণ করেন বলে যশোরে পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান জানিয়েছেন।

'আত্মসমর্পণের' পর পরই খাদিজা ও তার তিন সন্তানকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে পেছনের রান্তা দিয়ে নিয়ে যায় পুলিশ। তবে তাদেও কোথায় নেওয়া হয়েছে, পুলিশের কোনো সূত্র থেকে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এর আগে বেলা পৌনে তিনটার দিকে খাদিজার বাবা-মাকে শহরের ঘোপ নওয়াপাড়া  রোডের ঘিরে রাখা বাড়িটিতে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, খাদিজাকে আত্মসমর্পণে রাজি করাতে তার বাবা-মাকে পাবনা থেকে আনা হয়েছে।

খাদিজার বাড়ি পাবনায়। তিনি স্বামীর সঙ্গে যশোরের ওই বাড়ির একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন। কিছুদিন আগে তার স্বামীকে রাজধানী থেকে গ্রেফতার করা হয় বলে শোনা যাচ্ছে। তবে এ খবর নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

গতরাত ২টা থেকে শহরের ঘোপ নওয়াপাড়া রোডের একটি বাড়ি ঘিরে রাখে পুলিশ; যেটির মালিক যশোর জিলা স্কুলের এক শিক্ষক। পরে মাইকযোগে খাদিজাকে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানান পুলিশ কর্মকর্তারা। সকালেই পুলিশের বিশেষায়িত টিম সোয়াত ঢাকা থেকে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। মারজান গত ৬ জানুয়ারি দিনগত রাতে রাজধানীতে 'বন্দুকযুদ্ধে' নিহত হয়েছিলেন তিনি।

সর্বাধিক পঠিত