সরকারের পরিণতি হবে ভয়াবহ: গয়েশ্বর
প্রধান বিচারপতিকে বাধ্য করে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে এমন অভিযোগ এনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, এ যাত্রায় সরকার নিজেদের সফল ভাবলেও তাদের পরিণতি হবে ভয়াবহ।
সোমবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে তিনি এসব কথা বলেন। সর্বোচ্চ আদালত ধ্বংসের নীল নকশার বিরুদ্ধে এই প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোট।
এসময় গয়েশ্বর আরো বলেন, প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা কোন বিষয়বস্তু না, বিষয়বস্তু হলো বিচারবিভাগ। আওয়ামী লীগের লোকেরা অশ্রাব্য এবং অসংশোধনীয় ভাষায় গালাগালি করে, তাতে কী আদালত অবমাননা এবং মানহানি মামলা হয় না? প্রধান বিচারপতির এই ছুটির আগে ১ মাসের ছুটি নিয়ে কিন্তু তিনি জাপান এবং কানাডা সফর করেছেন, সেই ছুটির চিঠি কিন্তু আইন মন্ত্রী টেলিভিশনে দেখাননি। এবারের চিঠিতে পাঁচটি ভুল নিয়ে প্রধান বিচারপতি স্বাক্ষর করেছেন, আদৌ উনি কি স্বাক্ষর করেছেন?
তিনি বলেন, উনি ( প্রধান বিচারপতি) অসুস্থ কিন্তু কই গেলেন? ঢাকেশ্বরী, গেলেন অষ্ট্রেলিয়ান এ্যাম্বাসীতে, সরকারের ফরমায়েশ লোকেরা তার সাথে দেখা করতে পারেন কিন্তু আইনজীবিদের দেখা করতে দেয়া হলো না। গোটা ব্যবস্থাটা ই কিন্তু বিচার বিভাগের ওপর নগ্ন হামলা। তাহলে রাষ্ট্রের অস্তিত্ব কোথায়? আর গণতন্ত্র শব্দটা বাদ দেন, সেটা কাগজে কলমে আছে।
এসময় বিএনপির এই নেতা আরো বলেন, বিচার বিভাগ সরকারের নয় জনগণের, সুতরাং জনগণের কথা বলার অধিকার আছে। ২০১৪ সালের জানুয়ারী মার্কা নির্বাচন শেখ হাসিনার পক্ষে সম্ভব নয়, অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন তার পক্ষে সম্ভব নয়, তার অধীনে কোন নির্বাচন হবে না। শেখ হাসিনার পতনই এখন মূল উদ্দেশ্য এর আগে নির্বাচন নিয়ে কোন কথা নয়। এস কে সিনহা তো বিষয় না, তিনি অষ্ট্রেলিয়া যাবেন, যান, সেখানে গিয়ে আবার কী বলেন, দেখেন।
ষোড়শ সংশোধনীর রায় নিয়ে গয়েশ্বর বলেন, ষোড়শ সংশোধনীর রায় তো ৭জন একসাথেই ঐক্যমতের ভিত্তিতে একসাথেই স্বাক্ষর করেছেন, এস কে সিনহার ছুটি নিতে হয়, বাকি ৬জনও ছুটি নেন না কেন?, এস কে সিনহার জন্য জ্বলে, বাকিদের জন্য জ্বলে না? এসময় গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নগ্ন হামলার বিরুদ্ধেই কলম চালানোর জন্য সাংবাদিকদের প্রতিও আহবান জানান।
বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ও শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়া, সাংবাদিক নেতা কাদের গণি চৌধুরী, কিন্ডার গার্টেন এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মিজানুর রহমানসহ অন্যান্য নেতাকর্মী।