রোহিঙ্গাদের বিশাল শরণার্থী শিবির তৈরির পরিকল্পনা বিপদজনক: জাতিসংঘ
বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবির নির্মাণের বাংলাদেশের পরিকল্পনা বিপদজনক বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। সংস্থাটির আশঙ্কা এত বিপুল সংখ্যক মানুসের বসবাসে কলেরার মতো রোগের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসন বিষয়ক সমন্বয়ক রবার্ট ওয়াটকিনস বলেন, এর পরিবর্তে দেশটির উচিত শরণার্থী শিবির স্থাপনের জন্য নতুন স্থান বেছে নেয়া।
তিনি বলেন, ছোট একটি জায়গায় অধিক সংখ্যক মানুষ, বিশেষ করে যাদের রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি অনেক বেশি, তা অত্যন্ত বিপজ্জনক। সেখানে ছোঁয়াচে রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশংকা রয়েছে, দ্রুত এই রোগ ছড়িয়ে পড়বে।
একটি মাত্র শিবিরে সবাইকে না রেখে বিভিন্ন স্থানে একাধিক শিবিরে শরণার্থীদের রাখা হলে তাদেরকে সামাল দেয়া, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি মোকাবেলা সহজ হবে বলে ওই কর্মকর্তা মনে করেন।
২৫ আগস্ট রাখাইন রাজ্যে সহিংসতার পর মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর নিধনযজ্ঞ থেকে বাঁচতে পাঁচ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। তাদের জন্য কক্সবাজার ও কুতুপালংয়ের আশ্রয়কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে।
তাদের আশ্রয়ে ১২০০ হেক্টর জায়গা ব্যবহারের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। সেখানে গড়ে তোলা হবে মেগাক্যাম্প। এজন্য আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থারও সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
তবে রবার্ট মনে করেন, এত বিপুল সংখ্যক মানুষ বসবাসের ক্ষেত্রে রোগের ঝুঁকি খুবই বেশি। যেকোনও সংক্রামক রোগ খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে।
এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবির রয়েছে উগান্ডা ও কেনিয়াতে। দুই ক্যাম্পেই প্রায় ৩ লাখ শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছে। বাংলাদেশের পরিকল্পনার সফল হলে আট লাখের মতো শরণার্থী থাকবে আশ্রয়কেন্দ্রে।