গাড়ির হাইড্রোলিক হর্ন থানায় জমা দিতে নির্দেশ
ঢাকা মহানগরীর সব গাড়ির হাইড্রোলিক হর্ন ১৫ দিনের মধ্যে থানায় জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা হওয়ার রোববার বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর বেঞ্চ থেকে এ আদেশ আসে।
পাশাপাশি থানায় জমা হওয়া সব হাইড্রোলিক হর্ন ধ্বংস করতে আদালত পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে বলে রিট আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস।
হাইড্রোলিক হর্ন বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষ থেকে করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২৩ অগাস্ট একই বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেয়। আদেশে বলা হয়, ঢাকার রাস্তায় চলাচলকারী যানবাহনে হাইড্রোলিক হর্নের ব্যবহার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিয়ে দুই সপ্তাহের মধ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে হবে।
বাজারে থাকা সব হাইড্রোলিক হর্ন আগামী সাত দিনের মধ্যে জব্দ করে চার সপ্তাহের মধ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে পুলিশ প্রধান, পুলিশ কমিশনার, ডিআইজি (হাইওয়ে), যুগ্ম কমিশনার (ট্রাফিক) এবং বিআরটিএর চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেওয়া হয়। বিবাদীরা রোববার অগ্রগতির প্রতিবেদন দাখিল করার পর হাইড্রোলিক হর্ন থানায় জমা দেওয়ার আদেশ এল।
পরে এইচআরপিবির সভাপতি মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের বলেন, যে সব গাড়িতে এখনো হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহার করা হচ্ছে, ওইসব গাড়ির মালিকদের আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দিতে বলা হয়েছে। আর পুলিশ কর্তৃপক্ষকে বলেছেন, যেসব হাইড্রোলিক হর্ন জমা হবে সেগুলো ধ্বংস।
এছাড়া হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ করা সংক্রান্ত আদালত যে আদেশ দিয়েছিল তা বহাল আছে বলেও জানান এ আইনজীবী।
তিনি বলেন, ঢাকাসহ সারা দেশে শব্দ দূষণের অন্যতম কারণ হলো যানবাহনে ব্যবহৃত হাইড্রোলিক হর্ন। প্রশাসন শত শত হাইড্রোলিক হর্ণ জব্দ করলেও আইনে শাস্তি হিসেবে মাত্র ১০০ টাকা জরিমানা থাকায় তা পরিশোধ করে পরে তা আবার ব্যবহার করছে।
মটরযান বিধি অনুযায়ী, অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার ব্রিগেড, পুলিশের গাড়ি ছাড়া অন্য কোনো গাড়িতে এই হর্ন ব্যবহার নিষিদ্ধ বলে জানান মনজিল। এরই প্রেক্ষিতে এর আগে আদালত সাত দিনের নোটিশ দিয়েছিল। এই সাত দিনের মধ্যে প্রশাসন হর্ন জব্দ করবেন এবং তা বন্ধ করবেন। সেগুলো কিছু কিছু বন্ধ হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
আগের আদেশে, ২৭ আগস্টের পর কোনো গাড়িতে হাইড্রোলিক হর্ন থাকলে সে গাড়ি জব্দ এবং হাইড্রোলিক হর্নের আমদানি বন্ধ করাসহ বাজারে যেসব হর্ন রয়েছে, তা জব্দের নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট।