• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে

ছাত্রলীগ সভাপতির মামলায় আসামি সাধারণ সম্পাদক

প্রকাশ:  ০৮ অক্টোবর ২০১৭, ১৪:০৭ | আপডেট : ০৮ অক্টোবর ২০১৭, ১৪:০৮
যশোর প্রতিনিধি
প্রিন্ট

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মশিউর রহমান হলে হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদকসহ ২৫ জনকে আসামি করে মামলা একটি মামলা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সুব্রত বিশ্বাস শনিবার রাতে কোতোয়ালি থানায় এ মামলা করেন।

কোতোয়ালি থানার ওসি একেএম আজমল হুদা জানান, মামলায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম শামীম হাসানসহ ২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

অন্য আসামিরা হলেন- যশোর শহরের ষষ্ঠিতলাপাড়ার মেহবুব রহমান ম্যানসেল, রায়পাড়া সার গোডাউন এলাকার রাকিব, শঙ্করপুর গোলপাতা মসজিদ এলাকার নয়ন, রেল রোড ফুড গোডাউন এলাকার শুভ, ষষ্ঠিতলাপাড়ার শিশির, চূড়ামনকাটির মেহেদী হাসান রুনু, ঝাউদিয়ার রাজ্জাক, চূড়ামনকাটির শাহীন, ঝাউদিয়ার মেহের আলী, বিজয়নগরের বিদ্যুৎ, বাগেরহাট সদরের হাকিমপুর গ্রামের তানভির, ফকিরহাটের বিপ্লবকুমার দে, ঢাকার আশুলিয়ার মাসুদুর রহমান রনি, ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার গাড়াগঞ্জ এলাকার আল মামুন শিমন, ময়মনসিংহ সদরের তানভির আহমেদ তানিন, বাগেরহাট সদরের মো. আশিক খন্দকার, যশোরের বাঘারপাড়ার রাজিব হাসান রাজু, মনিরামপুরের রোহিতা গ্রামের এ এম মামুন হোসেন, একই উপজেলার কোমলপুর গ্রামের উত্তম বিশ্বাস ও শিমুল বিশ্বাস।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ৫ অক্টোবর রাত পৌনে ১২টার দিকে পিস্তল, বোমা, রামদা, রড, হাতুড়ি নিয়ে ৮-১০টি মাইক্রোবাসে করে ‘একদল সন্ত্রাসী’ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করে।

এ সময় তারা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র মেহেদী হাসান সোহান, তারেক হোসেন, সোহরাব হোসেন, গৌরব ঘোষ, আজিজুল রহমান, আলামীন, নওরোজ, রাব্বানী, শরীফ, জসিম, হাসান, মাহাবুব, তৈয়বুর, আসিফ, রায়হান, সুমনসহ আরও কয়েকজনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে।

এরপর তারা শহীদ মশিউর রহমান হলে ঢুকে ১২০-১৩০টি ল্যাপটপ এবং তিনশর বেশি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। রএক পর্যায়ে তারা সুব্রতকে হলের তিনতলা থেকে নিচে ফেলে দেয়।পরে গুলি ও হাতবোমা ফাটিয়ে হামলাকারীরা পালিয়ে যায় বলে উল্লেখ করা হয় এজাহরে।

শহীদ মসিউর রহমান হলে ওই ঘটনার পর থেকে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজির শিক্ষার্থী শামীম ও তার অনুসারীদের দায়ী করে আসছেন সভাপতি সুব্রত বিশ্বাসের অনুসারীরা। ওই ঘটনার পর শনিবার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাত নেতাকে সাময়িক বহিষ্কার করে কর্তৃপক্ষ, যার মধ্যে শামীমও রয়েছেন।

এদিকে শনিবার দুপুরে যশোর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে শামীম বলেন, দলীয় কোন্দেলের জেরে সুব্রত ও তার অনুসারীরা হল থেকে তাকে এবং তার অনুসারীদের বের করে দিয়েছিল। এ কারণে অনেকে হলে উঠতে পারছিল না। কিন্তু সামনে নতুন সেমিস্টারের ক্লাস ‍শুরু হবে। এ কারণে তারা হলে গিয়েছিল। এ সময় সুব্রতও তার সহযোগীরা তাদের মারধর করে।

ওই ছাত্রদের নাম এবং তারা কোন সেমিস্টারের ছাত্র তা সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে শামীম এ প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ জানান, ২০১৪ সালে ছাত্রলীগকর্মী রিয়াদ হত্যার ঘটনায় সুব্রত বিশ্বাস ও শামীমকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। পরে তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য বহিষ্কারাদেশ তুলে নেওয়া হয়।

সর্বাধিক পঠিত