একাই লড়লেন লিটন দাস
১৪৭ রানে অলআউট, লজ্জাজনক ফলোঅনে বাংলাদেশ
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে ব্যাট করতে নেমে ১৪৭ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের করা চার উইকেটে ৫৭৩ রানের বিশাল সংগ্রহের জবাবে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৬৫ রানে দলের টপঅর্ডারের ছয় ব্যাটসম্যান আউট হয়ে যায়। পরে লিটন দাস একাই ক্রিজে লড়াই করে যান। কিন্তু ব্যক্তিগত ৭০ রান করা লিটন দাস দলীয় ১৪৩ রানের মাথায় আউট হওয়ার পর আর কেউ উইকেটে টিকে থাকতে পারেনি। ইনিংসের ৪২.৫ ওভারে ১৪৭ রানে অলআউট হয় মুশফিকবাহিনী।
দলীয় ১৩ রানেই উদ্বোধনী জুটি ভেঙে যায়। ২৬ রানে মাথায় দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটে। দলীয় ৩৬ রানে তৃতীয় উইকেট পতন হয়। ইনিংসের ৭ম ওভারে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তামিমের বদলে দলে সুযোগ পাওয়া সৌম্য সরকার।তিনি ব্যক্তিগত ৯ রান করে রাবাদার বল ঠেকাতে ব্যর্থ হয়ে বোল্ড হন।
১০ম ওভারে দলীয় ২৬ রানে বিদায় নেন দলের অন্যতম সেরা টেস্ট ব্যাটসম্যান মুমিনুল হক। ১২তম ওভারে অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম আউট হয়ে দলকে চরম বিপদে ফেলে দেন। ১৫তম ওভারে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আউট হন, দলীয় রান তখন ৪৯। ১৮তম ওভারে দলীয় ৬১ রানে সাজঘরে ফেরেন ইমরুল কায়েস।
২০তম ওভারে দলীয় ৬৫ রানে আউট হন সাব্বির রহমান। ৩২তম ওভারে দলীয় ১১৫ রানে আউট হন তাইজুল ইসলাম।
৩৯তম ওভারে দলীয় ১৪৩ রানে আউট হন দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭০ রান সংগ্রহকারী লিটন দাশ। ৪০তম ওভারে মুস্তাফিজ ও ৪৩তম ওভারে রুবেল আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন।
এর আগে আমলা-ডুপ্লেসিসের দুরন্ত সেঞ্চুরির ওপর ভর করে বাংলাদেশের বিপক্ষে চার উইকেটে ৫৭৩ রান করে ইনিংস ডিক্লেয়ার করে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা। ব্লুমফন্টেইন টেস্টের দ্বিতীয় দিনেও টাইগার বোলারদের একেবারে হেসেখেলে পাড়ার ক্রিকেট দল বানিয়েছেন প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানরা।
ইনিংস ঘোষণার অাগে নবাংলাদেশের বিপক্ষে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করে সাজঘরে ফিরে যান দলের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান হাশিম আমলা। প্রথম টেস্টের পর দ্বিতীয় টেস্টেও তিনি সেঞ্চুরি করে রানের পাহাড় গড়তে প্রোটিয়া ইনিংসে বিশেষ অবদান রেখেছেন। ১৩২ রান করে তিনি শুভাশীষের বলে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। ১৬৩ বলে করা তার ইনিংসটি ছিল ১৭টি বাউন্ডারি দিয়ে সাজানো। টেস্ট ক্যারিয়ারে এটি তার ২৮তম সেঞ্চুরি।
আমলা চলে যাওয়ার পর ক্রিজে নামে ডি কক। এসেই তিনি উইকেটে ঝড় তোলেন। তাইজুলের এক ওভারে নেন ২১ রান। সর্বশেষ তিনি ২৭ বলে ২৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন। তার এ ছোট্ট ইনিংসে দুটি চার ও দুটি ছক্কার মার রয়েছে। অপর সেঞ্চুরিয়ান ব্যাটসম্যান ডু প্লেসিস অপরাজিত থাকেন ১৩৫ রানে।
এর আগে উদ্বোধনী জুটিতে ২৪৩ রান তোলেন ডিন এলগার আর এইডেন মার্করাম।