প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে নার্স নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল
প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে সিনিয়র স্টাফ নার্স নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। শনিবার বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। যদিও সংস্থাটি বলছে, ‘অনিবার্য কারণবশত’ পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। ওই পদের এমসিকিউ টাইপ লিখিত পরীক্ষার তারিখ ও সময় পরবর্তীতে জানানো হবে।
শুক্রবার রাজধানীর ১২টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা নেয়া হয়। সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরু হলেও আগের রাত থেকে কথিত প্রশ্নপত্র ইন্টারনেটের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরীক্ষার অন্তত চার ঘণ্টা আগে গণমাধ্যমকর্মীরা এ প্রশ্ন হাতে পান। একটি সেটে পরীক্ষা নেয়া হলেও ছাপানো চার সেট প্রশ্নই ফাঁস হয়ে যায়। এসব তথ্যের ওপর ভিত্তি করে শনিবার গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এরপর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও পিএসসি নড়েচড়ে বসে।
দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, মন্ত্রণালয় এবং পিএসসি ফাঁস হওয়া প্রশ্ন বিভিন্ন মাধ্যমে সংগ্রহ করে তাদের ছাপানো প্রশ্নপত্রের সঙ্গে মেলায়। এর পরই পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত আসে। পিএসসির এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
মন্ত্রণালয়ের তথ্য কর্মকর্তা পরীক্ষিত চৌধুরী এটি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে শুক্রবার সকালে অনুষ্ঠিত সিনিয়র স্টাফ নার্স নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন বৃহস্পতিবার রাতে ফাঁস হয় বলে জোরালো অভিযোগ ওঠে।
একটি চক্র চড়ামূল্যে ওই প্রশ্ন বিক্রি করেছে। বিপিএসসি পরীক্ষার জন্য চার সেট প্রশ্নপত্র ছাপায় কামিনী, হাসনাহেনা, রজনীগন্ধা ও শিউলি। চার সেটই ফাঁস হয়ে যায়। তবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে কামিনী সেটে। ফাঁস হওয়া কামিনী সেট ও পরীক্ষা নেয়া কামিনী সেটে হুবহু মিল রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১০ আগস্ট বিপিএসসি চার হাজার সিনিয়র স্টাফ নার্স নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। পরীক্ষায় অংশ নিতে ১৬ হাজার ৯০০ জন আবেদন করেন। শুক্রবার রাজধানীর ১২টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার আগেই প্রশ্ন ফাঁস হওয়ায় অনেক প্রার্থী ও অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা ওই পরীক্ষা বাতিলের দাবি জানান। একইসঙ্গে প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িতদের কঠোর শাস্তি দাবি করেন।