• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছিলেন শেখ রেহানা

প্রকাশ:  ০৭ অক্টোবর ২০১৭, ১৫:১৩
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার বিষয়ে ছোট বোন শেখ রেহানা আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

শেখ রেহানার উদ্ধৃতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘রেহানা বলেছিল, ‘১৬ কোটি লোককে ভাত খাওয়াচ্ছো, আর সাত-আট লাখ মানুষকে খাওয়াতে পারবা না!’ এই কথাটা আমাকে আত্মবিশ্বাস এনে দিয়েছিল। এছাড়া নেতাকর্মীরাও মানবিক দিক বিবেচনায় পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছেন। সব মিলিয়ে আমরা পেরেছি।’’

যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে প্রায় তিন সপ্তাহের সফর শেষে দেশে ফেরার পর শনিবার (০৭ অক্টোবর) সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সহিংসতার জেরে লাখ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন। তাদের জন্য অনেকেই দরজা বন্ধ করে দিয়েছে। সে দরজা খুলেছে বাংলাদেশ।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘অসহায় এই মানুষগুলোর জন্য তখনই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম―যদি প্রয়োজন হয়, একবেলা খাবো এবং আরেক বেলার খাবার তাদেরকে ভাগ করে দেবো। বাংলাদেশ যদি এই উদ্যোগ না নিতো,  তবে রোহিঙ্গা সংকট আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়েরও এতোটা দৃষ্টি কাড়তো না।’

মিয়ানমারকে ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা এমন একটা ভাব দেখালো,  যেন যুদ্ধই বেঁধে যাবে। উস্কানি দেওয়া এবং এমন একটা পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাইলো, যেন বিশ্ব অন্যদিকে দৃষ্টি ফেরাবে। তখন আমি ধৈর্যের সঙ্গে মোকাবিলার কথা বলি। আমার নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত যেন কোনোকিছুতে না জড়াই,  সে কথাও বলি। অন্যদিকে, রোহিঙ্গারা যারা আসছেন, তাদের সহযোগিতায় যা যা দরকার তাই করতে থাকি।’

তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা আমাদেরকে শিখিয়েছেন, মানুষকে সহায়তা করতে। যখন কোনও সিদ্ধান্ত নেই, তার চেয়েও বড় বিষয় দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া। আর সেই সিদ্ধান্ত যখন সঠিক হয়, সে সময়ই সফলতা পায়। সবার সমর্থন পাই। রোহিঙ্গা ইস্যুটিও ঠিক তেমনি।’ 

‘আশ্রয় যখন দিয়েছি, তখন তাদের ভালোভাবে রেখে সম্মানের সঙ্গে নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা নেবো’- যোগ করেন তিনি। 

নোয়াখালীর ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের অস্থায়ী বাসস্থান গড়ে পুনর্বাসন করা হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এসময় দেশের বাইরে থাকলেও অফিসের কাজ করে গেছেন এবং তার কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ ছিল বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

এর আগে সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। অবতরণের পর বিমানবন্দরের ভিভিআইপি লাউঞ্জে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো এবং ১৪ দলের নেতারাসহ সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা দেন।

সর্বাধিক পঠিত